এ
কারণে
২১
ডিসেম্বর
পর্যন্ত
মন্ত্রিসভাকে
ভারতে
থাকতে
হয়
এবং
২২
ডিসেম্বর
তারা
ঢাকায়
ফেরত
আসে।
কিন্তু
এ
সময়
কী
কী
সিদ্ধান্ত
বা
চুক্তি
হয়েছিল,
এটা
বাধ্যবাধকতা
তৈরি
করেছিল
কি
না,
এ
বিষয়ে
গ্রন্থে
পরিষ্কার
কিছু
পাওয়া
যায়
না।
তবে
কোনো
যুক্তিতেই
প্রবাসী
সরকারের
বিলম্বে
আগমন
গ্রহণযোগ্য
হয়
না।
পুরো
মুক্তিযুদ্ধে
শেখ
মুজিব
শারীরিকভাবে
অনুপস্থিত
থাকলেও
তিনিই
ছিলেন
নেতা,
সরকারের
রাষ্ট্রপতি।
কিন্তু
তাজউদ্দীনই
ছিলেন
প্রধান
সংগঠক।
১০
জানুয়ারি
শেখ
মুজিবের
প্রত্যাবর্তনের
আগপর্যন্ত
বিভিন্ন
নীতি
নির্ধারণ,
দেশের
গতিমুখ
নির্ধারণে
তাজউদ্দীনের
ভূমিকাই
ছিল
মুখ্য।
শেখ
মনিসহ
অসন্তুষ্ট
বিরোধী
অনেকেই
শেখ
সাহেবের
প্রত্যাবর্তনের
অপেক্ষায়।
প্রত্যাবর্তনের
পরদিন
সকালে
সরকার
পুনর্গঠন
নিয়ে
শেখ
মুজিব
ও
তাজউদ্দীন
আলোচনায়
বসেন।
শেখ
মুজিবুর
রহমান
প্রধানমন্ত্রীর
দায়িত্ব
গ্রহণ
করেন।
গ্রন্থে
এরপর
বলা
হয়েছে,
‘বাইরে
অপেক্ষমাণ
অসংখ্য
দর্শনার্থীর
অধৈর্য
ভিড়।
সকাল
দশটায়
আহূত
মন্ত্রিসভার
বৈঠকে
যোগদানের
তাড়া।
ফলে
দু’জনের
আলোচনা
আর
এগোতে
পারেনি।
তাজউদ্দীন
জানান
তাঁর
আরো
কিছু
জরুরী
কথা
বলার
ছিলো—মুক্তিযুদ্ধের
এই
সাড়ে
ন’মাসে
কোথায়
কী
ঘটেছে,
কোন
নীতি
ও
কৌশলের
অবলম্বনে,
কোন
রাজনৈতিক
দ্বন্দ্ব-সমন্বয়ের
মধ্য
দিয়ে
অর্জিত
হয়েছে
এই
রাজনৈতিক
স্বাধীনতা,
কী
পরিবর্তন
ঘটেছে
দেশবাসীর
মনোজগতে,
তরুণদের
প্রত্যাশা
ও
মূল্যবোধে।
কেননা,
এসবকিছুর
মাঝেই
নিহিত
ছিল
দেশের
পরবর্তী
সংগ্রামের,
তথা,
দেশের
গণতান্ত্রিক
কাঠামোকে
সংহত
ও
স্থিতিশীল
করার
এবং
সাধারণ
দেশবাসীর
অর্থনৈতিক
মুক্তির
লড়াইকে
সাফল্যমণ্ডিত
করার
মূল
সূত্র।
কিন্তু
তখন
এসবকিছুই
আলোচনার
সময়
ছিল
না।
পরেও
কখনো
সে
সুযোগ
তাজউদ্দীনের
ঘটে
ওঠেনি।’
(পৃ.
২৩৯)
তাজউদ্দীন
আহমদ
যুক্তরাষ্ট্র,
বিশ্বব্যাংকের
সঙ্গে
সম্পর্ক,
‘বিদেশি
সাহায্য’,
উন্নয়ন,
পরিকল্পনা
যেভাবে
চিন্তা
করেছিলেন,
তার
সঙ্গে
শেখ
মুজিবের
অবস্থানের
ভিন্নতা
ক্রমে
ক্রমে
স্পষ্ট
হতে
থাকে।
সম্ভবত
এ
কারণেই
১৯৭৪
সালে
ঢাকায়
যুক্তরাষ্ট্রের
পররাষ্ট্রসচিব
হেনরি
কিসিঞ্জারের
সফরের
আগে
আগে
তাজউদ্দীন
মন্ত্রিপরিষদ
থেকে
বহিষ্কৃত
হন।
‘নতুন’
রাষ্ট্র
পুরোনো
উন্নয়ন
ধারাতেই
ফেরত
যেতে
থাকে।
রক্ষীবাহিনী
গঠন,
বাকশালসহ
নানা
উদ্যোগের
সঙ্গেও
তাজউদ্দীন
একমত
ছিলেন
না।
এরপর
সেই
আওয়ামী
লীগ
১৯৯৬
থেকে
২০০১
নির্বাচিত,
আবার
২০০৮
থেকে
একটানা
নির্বাচিত–অনির্বাচিত
অবস্থায়
ক্ষমতায়
থেকেছে
১৫
বছরের
বেশি।
শেষের
১০
বছরে
চারদিকে
নামকরণের
উন্মাদনা
দেখেছি।
কিন্তু
এত
সবে
একাত্তরের
মুক্তিযুদ্ধের
কেন্দ্রীয়
সংগঠক
তাজউদ্দীন
আহমদের
কোনো
স্থান
ছিল
না,
তাঁর
নামও
উচ্চারিত
হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধের
কেন্দ্রীয়
ব্যক্তির
এই
পরিণতি
কেন?
মুক্তিযুদ্ধে
কার
কী
ভূমিকা
ছিল?
এত
ত্যাগ
ও
সংগ্রামের
পরও
এই
দেশের
এই
হাল
কেন?
এই
প্রশ্নগুলো
ঘুরছে,
বাড়ছে।
উত্তর
পেতে
হলে
আরও
অনেক
বই–দলিলপত্রের
সঙ্গে
মূলধারা
’৭১ও
পাঠ্যতালিকায়
রাখতে
হবে।
এডমিন 













