ডি ওয়াল বলেন, গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড ইতিহাসের অন্যান্য দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি চেয়ে আলাদা। কারণ, আধুনিক ইতিহাসে এমন কোনো উদাহরণ নেই, যেখানে এক ঘণ্টা বা তার কম সময়ের দূরত্বে একটি সক্ষম আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও এত সূক্ষ্মভাবে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা হয়েছে।
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, যদি ইসরায়েল চাইত যে গাজার প্রতিটি শিশু আগামীকাল সকালে নাশতা করবে, তাহলে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নির্দেশ দিলেই তা ঘটতে পারত।
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনবিষয়ক শরণার্থী সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) কর্মকর্তারা মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছেন, গত চার মাসের বেশি সময় ধরে তাঁরা মিশর ও জর্ডানে প্রায় ছয় হাজার ট্রাক খাদ্য ও চিকিৎসাসামগ্রী মজুত করে রেখেছেন। কিন্তু ইসরায়েলের অনুমতি না পাওয়ায় সেগুলো এখনো গাজায় প্রবেশ করতে পারেনি।
ইসরায়েলের অবরোধের আগে সহায়তা সংগঠনগুলো গাজায় প্রতিদিন প্রায় ৬০০ ট্রাক ত্রাণ পাঠাতে পারত। ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি গত মে মাসে বলেছিলেন, এই ত্রাণ দিয়ে উপত্যকাটির বাসিন্দাদের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ হতো।