০৫:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্ট্যানলি কুবরিকের দর্শন ও অস্তিত্বের সিনেফ্রেম

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০১:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • 1

কুবরিক
যে
অর্থে
গল্পগুলো
চিত্রায়ণ
করতেন,
তাতে
মানবপ্রকৃতির
স্বরূপ
ফুটে
উঠত
এবং
তা
হতে
পারে
মাঝেমধ্যে
খুবই
উদ্ভট।
এসব
বিখ্যাত
চলচ্চিত্রের
দিকে
লক্ষ
করলেই
বোঝা
যায়
যে
কুবরিকের
বর্ণনার
এই
শৈলী

কাঠামোর
মধ্যে
কিছু
দার্শনিক
ধারণাও
কাজ
করে।
অনেকে
পপকালচারে
প্রসিদ্ধ

প্রচলিত
সিনেমায়
দার্শনিকতার
ব্যাপারটা
হয়তো
সহজে
নিতে
পারেন
না।
তাঁরা
বিকল্প
ধারার
কিছু
কাজের
ভেতর
দার্শনিক
অভীক্ষাগুলোর
দেখা
পেয়ে
থাকেন।
তবে
কুবরিকের
যে
স্বজ্ঞা

প্রজ্ঞা,
তাঁদের
জন্য
বিষয়টা
আবার
খুব
একটা
সুবিধারও
হবে
না।
বলছিলাম
যে,
সেই
সব
তো
কেবলই
দৃশ্যের
শক্তি
নয়।
কুবরিকের
ফ্রেমে
যে
মানবপ্রকৃতির
অসংখ্য
দিক
খোলামেলাভাবে
উঠে
এসেছে,
সেটা
তাঁর
বিস্তৃত
দৃষ্টি

দর্শনের
কারণেই
এমনভাবে
দৃশ্যে
উপস্থাপিত
হয়
এবং
ভাষা
পায়। 

কুবরিক
প্রচণ্ড
উচ্চাকাঙ্ক্ষী

খুঁতখুঁতে
ধরনের
মানুষ
ছিলেন।
উঁচু

নিচুস্তরের
সংস্কৃতি
থেকে
শুরু
করে
ভালোবাসা

যৌনতা,
ভয়

আত্মজিজ্ঞাসা,
ইতিহাস,
যুদ্ধ,
অপরাধ,
পাগলামি,
স্পেস,
প্রযুক্তি
ইত্যকার
বৈচিত্র্যময়
অঞ্চলে
তিনি
কাজ
করে
গেছেন।
তাঁর
কাজের
ধারাবাহিকতা
এই
দৃষ্টিকোণ
থেকে
লক্ষ
করলে
বোঝা
যায়,
কোনো
একটা
জটিল

সমৃদ্ধ
দার্শনিক
প্রবণতা
কুবরিকের
মধ্যে
কাজ
করে,
যেটাকে
অস্তিত্ববাদও
বলা
যেতে
পারে। 

ঊনবিংশ

বিংশ
শতাব্দীতে
মানবপ্রকৃতি
নিয়ে
দার্শনিক
প্রস্তাব
এসেছে
যে
মানুষ
একা
এবং
সম্পূর্ণ
স্বাধীন
সত্তা,
তার
ইচ্ছা

সিদ্ধান্ত
গ্রহণের
ক্ষেত্রে
পূর্ণরূপে
কর্তা
এই
ব্যক্তি
নিজেই—এই
সব
প্রস্তাব
এই
নির্মাতার
ফ্রেমেও
দেখতে
পাওয়া
যায়।
ফ্রেডরিখ
নিৎশে,
মার্টিন
হাইডেগার,
আলব্যের
কামু,
জঁ
পল
সার্ত্রে,
সিমোন
দ্য
বোভোয়া—এদের
মাধ্যমে
যে
একটি
বিশ্বচিন্তা
তৈরি
হয়েছে,
যা
পরবর্তীকালে
পপুলার
কালচারেও
বড়
অর্থে
প্রভাব
বিস্তার
করেছে,
সেই
তরঙ্গ,
বলাই
বাহুল্য
স্ট্যানলি
কুবরিকের
সিনেফ্রেমকেও
প্রভাবিত
করে
গেছে।
আর
তিনি
নিজ
হাতে
নতুনভাবে
তাঁর
অস্তিত্ববাদী
অনুমান

বিশ্বচিন্তার
গড়ন
দিয়েছেন
তাঁর
চলচ্চিত্রগুলোয়। 

‘প্যাথস
অব
গ্লোরি’
(১৯৫৭)
তাঁর
অন্য
চলচ্চিত্রগুলোর
মতো
অতটা
বিখ্যাত
নয়।
যুদ্ধের
সিনেমা
হিসেবে
‘ফুল
মেটাল
জ্যাকেট’
(১৯৮৭
খ্রি.)
যতটা
দর্শকনন্দিত,
এই
চলচ্চিত্র
সেই
অনুপাতে
কম
মনোযোগ
পেয়েছে।
তবে
এটা
তাঁর
খুবই
গুরুত্বপূর্ণ
নির্মাণ,
নান্দনিকভাবেও।
যুদ্ধবিরোধী
সিনেমার
ঐতিহাসিক
মাইলফলক
হিসেবে
অনেকেই

চলচ্চিত্রকে
বিবেচনা
করে
থাকেন।
তবে
‘পাথস
অব
গ্লোরি’
যতটা
যুদ্ধবিরোধী
সিনেমা,
তার
চেয়ে
বেশি
এটা
আসলে
যুদ্ধের
ভয়াবহতায়
মানবচরিত্রের
বিদ্‌ঘুটেপনাকে
প্রকাশ
করে।
কুবরিক
চলচ্চিত্রে
এই
স্বাধীন
মানবচরিত্রের
সত্তাকে
অন্বেষণ
করে
গেছেন
গল্পের
বিভিন্ন
চরিত্রের
মধ্য
দিয়ে।
সেই
সব
চরিত্র
যেসব
অবস্থায়

পরিপ্রেক্ষিতে
স্বাধীন
ইচ্ছায়
সিদ্ধান্ত
গ্রহণ
করে
এবং
আচরণ
করে,
তা
খুব
নির্লিপ্ত
ভঙ্গিতে
দর্শককে
অস্তিত্বগত
জিজ্ঞাসার
মুখোমুখি
দাঁড়
করায়।

ট্যাগঃ

মেঘনার পানি বাড়ায় দুর্ভোগে লক্ষাধিক মানুষ

স্ট্যানলি কুবরিকের দর্শন ও অস্তিত্বের সিনেফ্রেম

আপডেট সময়ঃ ১২:০১:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

কুবরিক
যে
অর্থে
গল্পগুলো
চিত্রায়ণ
করতেন,
তাতে
মানবপ্রকৃতির
স্বরূপ
ফুটে
উঠত
এবং
তা
হতে
পারে
মাঝেমধ্যে
খুবই
উদ্ভট।
এসব
বিখ্যাত
চলচ্চিত্রের
দিকে
লক্ষ
করলেই
বোঝা
যায়
যে
কুবরিকের
বর্ণনার
এই
শৈলী

কাঠামোর
মধ্যে
কিছু
দার্শনিক
ধারণাও
কাজ
করে।
অনেকে
পপকালচারে
প্রসিদ্ধ

প্রচলিত
সিনেমায়
দার্শনিকতার
ব্যাপারটা
হয়তো
সহজে
নিতে
পারেন
না।
তাঁরা
বিকল্প
ধারার
কিছু
কাজের
ভেতর
দার্শনিক
অভীক্ষাগুলোর
দেখা
পেয়ে
থাকেন।
তবে
কুবরিকের
যে
স্বজ্ঞা

প্রজ্ঞা,
তাঁদের
জন্য
বিষয়টা
আবার
খুব
একটা
সুবিধারও
হবে
না।
বলছিলাম
যে,
সেই
সব
তো
কেবলই
দৃশ্যের
শক্তি
নয়।
কুবরিকের
ফ্রেমে
যে
মানবপ্রকৃতির
অসংখ্য
দিক
খোলামেলাভাবে
উঠে
এসেছে,
সেটা
তাঁর
বিস্তৃত
দৃষ্টি

দর্শনের
কারণেই
এমনভাবে
দৃশ্যে
উপস্থাপিত
হয়
এবং
ভাষা
পায়। 

কুবরিক
প্রচণ্ড
উচ্চাকাঙ্ক্ষী

খুঁতখুঁতে
ধরনের
মানুষ
ছিলেন।
উঁচু

নিচুস্তরের
সংস্কৃতি
থেকে
শুরু
করে
ভালোবাসা

যৌনতা,
ভয়

আত্মজিজ্ঞাসা,
ইতিহাস,
যুদ্ধ,
অপরাধ,
পাগলামি,
স্পেস,
প্রযুক্তি
ইত্যকার
বৈচিত্র্যময়
অঞ্চলে
তিনি
কাজ
করে
গেছেন।
তাঁর
কাজের
ধারাবাহিকতা
এই
দৃষ্টিকোণ
থেকে
লক্ষ
করলে
বোঝা
যায়,
কোনো
একটা
জটিল

সমৃদ্ধ
দার্শনিক
প্রবণতা
কুবরিকের
মধ্যে
কাজ
করে,
যেটাকে
অস্তিত্ববাদও
বলা
যেতে
পারে। 

ঊনবিংশ

বিংশ
শতাব্দীতে
মানবপ্রকৃতি
নিয়ে
দার্শনিক
প্রস্তাব
এসেছে
যে
মানুষ
একা
এবং
সম্পূর্ণ
স্বাধীন
সত্তা,
তার
ইচ্ছা

সিদ্ধান্ত
গ্রহণের
ক্ষেত্রে
পূর্ণরূপে
কর্তা
এই
ব্যক্তি
নিজেই—এই
সব
প্রস্তাব
এই
নির্মাতার
ফ্রেমেও
দেখতে
পাওয়া
যায়।
ফ্রেডরিখ
নিৎশে,
মার্টিন
হাইডেগার,
আলব্যের
কামু,
জঁ
পল
সার্ত্রে,
সিমোন
দ্য
বোভোয়া—এদের
মাধ্যমে
যে
একটি
বিশ্বচিন্তা
তৈরি
হয়েছে,
যা
পরবর্তীকালে
পপুলার
কালচারেও
বড়
অর্থে
প্রভাব
বিস্তার
করেছে,
সেই
তরঙ্গ,
বলাই
বাহুল্য
স্ট্যানলি
কুবরিকের
সিনেফ্রেমকেও
প্রভাবিত
করে
গেছে।
আর
তিনি
নিজ
হাতে
নতুনভাবে
তাঁর
অস্তিত্ববাদী
অনুমান

বিশ্বচিন্তার
গড়ন
দিয়েছেন
তাঁর
চলচ্চিত্রগুলোয়। 

‘প্যাথস
অব
গ্লোরি’
(১৯৫৭)
তাঁর
অন্য
চলচ্চিত্রগুলোর
মতো
অতটা
বিখ্যাত
নয়।
যুদ্ধের
সিনেমা
হিসেবে
‘ফুল
মেটাল
জ্যাকেট’
(১৯৮৭
খ্রি.)
যতটা
দর্শকনন্দিত,
এই
চলচ্চিত্র
সেই
অনুপাতে
কম
মনোযোগ
পেয়েছে।
তবে
এটা
তাঁর
খুবই
গুরুত্বপূর্ণ
নির্মাণ,
নান্দনিকভাবেও।
যুদ্ধবিরোধী
সিনেমার
ঐতিহাসিক
মাইলফলক
হিসেবে
অনেকেই

চলচ্চিত্রকে
বিবেচনা
করে
থাকেন।
তবে
‘পাথস
অব
গ্লোরি’
যতটা
যুদ্ধবিরোধী
সিনেমা,
তার
চেয়ে
বেশি
এটা
আসলে
যুদ্ধের
ভয়াবহতায়
মানবচরিত্রের
বিদ্‌ঘুটেপনাকে
প্রকাশ
করে।
কুবরিক
চলচ্চিত্রে
এই
স্বাধীন
মানবচরিত্রের
সত্তাকে
অন্বেষণ
করে
গেছেন
গল্পের
বিভিন্ন
চরিত্রের
মধ্য
দিয়ে।
সেই
সব
চরিত্র
যেসব
অবস্থায়

পরিপ্রেক্ষিতে
স্বাধীন
ইচ্ছায়
সিদ্ধান্ত
গ্রহণ
করে
এবং
আচরণ
করে,
তা
খুব
নির্লিপ্ত
ভঙ্গিতে
দর্শককে
অস্তিত্বগত
জিজ্ঞাসার
মুখোমুখি
দাঁড়
করায়।