পাবনায় মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত হাদিস প্রামাণিক নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। শনিবার (২৬ জুলাই) বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুপুরে ওই এলাকার ৪-৫টি বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
নিহত হাদিস প্রামাণিক সাঁথিয়া উপজেলার তলট গ্রামের শুকুর প্রামাণিকের ছেলে। তিনি বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের জামাই। তিনি শ্বশুরবাড়ি এলাকাতেই থাকতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, নিহত হাদিস প্রামাণিক নতুন মসজিদের পক্ষের সমর্থক ছিলেন। তার মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছানোর পর উত্তেজিত লোকজন প্রতিপক্ষের (পুরোনো মসজিদের সমর্থকদের) তিন-চারটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। এছাড়া কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওলিউর রহমান বলেন, ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আছি। বৃহস্পতিবারের ঘটনায় আহত একজনের মৃত্যুর পর গ্রামে ফের সহিংসতা ছড়ায়। অন্তত তিনটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
কয়েক বছর আগে বেড়া উপজেলায় পুরোনো মসজিদে মিলাদ মাহফিলে কিয়াম পড়া নিয়ে একটি ঝামেলা হয়। মসজিদের তৎকালীন ক্যাশিয়ার মতিনসহ একটি পক্ষ কিয়াম পড়ার পক্ষে অবস্থান নিয়ে নতুন মসজিদ নির্মাণ করেন। সম্প্রতি এ মসজিদের বারান্দা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু একই গ্রামে দুটি মসজিদ নির্মাণে আপত্তি জানায় আরেকটি পক্ষ।
এ নিয়ে শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণ করতে গেলে তাতে বাধা দেয় ওই পক্ষ। এসময় হাঁসুয়া, ট্যাটা ও লাঠি নিয়ে উভয়পক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হন। সবশেষ একজনের মৃত্যু হলো।
আলমগীর হোসাইন নাবিল/জেডএইচ/এমএস