গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হতে পারলে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত। তৃতীয় হওয়া দলগুলোর মধ্যে সেরা দুইয়ে থাকতে পারলেও পাওয়া যাবে নকআউট পর্বের টিকিট। নারী এশিয়ান কাপে বাংলাদেশ যে গ্রুপে পড়েছে, তাতে দলের সম্ভাবনা নিয়ে কতটা আশাবাদী হওয়া যায়?
কোচ পিটার বাটলার কিংবা অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার গ্রুপিং নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবেন পরে। তবে গ্রুপের তিন প্রতিপক্ষের শক্তি বিশ্লেষণ করলে পরিষ্কার যে, বাংলাদেশের সামনে কঠিন এক পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে।
যে ১২ দেশ এশিয়ান কাপে খেলবে তাদের মধ্যে কাগজ-কলমে সবার নিচে বাংলাদেশই। লাল-সবুজ জার্সিধারী মেয়েরা প্রথমবারের মতো পা রাখছে এশিয়ার সেরা টুর্নামেন্টে। ৪৫ বছর আগে পুরুষ দল একবার খেলেছিল এশিয়ান কাপে। তারপর এই মঞ্চে বাংলাদেশের খেলা হয়নি।
নারী এশিয়ান কাপের সবচেয়ে সফল দেশ হলো চীন। সর্বশেষ আসরসহ ৯ বার চ্যাম্পিয়ন তারা। এশিয়ান কাপে খেলেছে ১৪ বার। বিশ্বকাপেও প্রায় নিয়মিত খেলে থাকে চীন। এ পর্যন্ত ৮ বার বিশ্বকাপে খেলে দেশটি একবার রানার্সআপও হয়েছে। ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ফাইনালে চীন ট্রাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হেরেছিল স্বাগতিকদের কাছে। সর্বশেষ ফিফা র্যাংকিংয়ে চীনের অবস্থান ১৯ নম্বরে।
২০২২ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান কাপের ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশের দুই গ্রুপ প্রতিপক্ষ চীন ও উত্তর কোরিয়া। তীব্র লড়াইয়ের পর ইনজুরি সময়ে গোল করে উত্তর কোরিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে নবমবারের মতো এশিয়ান কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল চীন। সর্বশেষ আসরের দুই ফাইনালিস্টকেই গ্রুপ পর্বে মোকাবিলা করতে হবে আফঈদা খন্দকারদের।
উত্তর কোরিয়া বিশ্বকাপ খেলেছে চারবার। ২০০৭ সালে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ওঠাই তাদের বিশ্বকাপের সেরা সাফল্য। দশবার এশিয়ান কাপ খেলে উত্তর কোরিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ২০০১, ২০০৩ ও ২০০৮ সালে। দেশটি অলিম্পিক গেমসে খেলেছে দুইবার। ফিফা র্যাকিংয়ে উত্তর কোরিয়ার অবস্থান ৯ নম্বরে।
বাংলাদেশ গ্রুপের চতুর্থ দল উজবেকিস্তান। ফিফা র্যাংকিংয়ে ৫১ নম্বরে থাকা দেশটি ৫ বার এশিয়ান কাপ খেলে বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকেই। দেশটি কখনো বিশ্বকাপ বা অলিম্পিকে খেলতে পারেনি।
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হওয়া বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছে ৭০টি। এশিয়ান কাপে গ্রুপের তিন প্রতিপক্ষের মধ্যে চীন ও উত্তর কোরিয়ার সাথে প্রথম দেখা হবে বাংলাদেশের মেয়েদের। আগে উজবেকিস্তানের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ, হেরেছিল ৩-০ গোলে।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে হারিয়েছিল। উজবেকিস্তান এগিয়ে ৭৭ ধাপ। মিয়ানমারকে হারাতে পারা বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ উজবেকিস্তানের বিপক্ষে। বাকি দুই প্রতিপক্ষ অনেকটাই ধরাছোঁয়ার বাইরে।
আরআই/এমএমআর/এএসএম