সর্বশেষ আয়াল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জুনের ১৫ তারিখ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ব্রিডি ক্রিকেট ক্লাব মাঠে আইরিশদের ৬২ রানে হারিয়েছিল ক্যারিবীয়রা। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে।
এরপর জয় কী জিনিস, সেটাই ভুলে গিয়েছিল যেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঘরের মাঠে দুই ফরম্যাটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছিল ৮টি ম্যাচ। প্রথমে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ, এরপর ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। দুই ফরম্যাট মিলিয়ে ৮ ম্যাচের সবগুলোতেই হার। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতেও হারতে হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
টানা ৯ ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেল ক্যারিবীয়রা। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-২০ তে ২ উইকেটের ব্যবধানে স্বস্তির জয় পেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ফ্লোরিডার লডারহিলে টস হিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানীয় ব্যাটাররা রানই করতে পারেনি। ৯ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৩৩ রান। জবাব দিতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ একেবারে শেষ বলে এসে ২ উইকেটের স্বান্তনার জয় তুলে নেয়।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৮ রান। ওভারের দ্বিতীয় বলে রোমারিও শেফার্ডের উইকেট নিলেও একেবারে শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে ক্যারিবীয়দের জয় এনে দেন জেসন হোল্ডার।
পাকিস্তানের হাসান নওয়াজ করেছিলেন সর্বোচ্চ ৪০ রান। ৩৮ রান করেন সালমান আলি আগা। ২০ রান করেন ফাখর জামান। ক্যারিবীয় বোলার জেসন হোল্ডার নেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট নেন গুদাকেশ মোতি।
জবাব দিতে নেমে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের গুদাকেশ মোতি। ২১ রান করেন সাই হোপ। ১০ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থেকে জয় এনে দেন হোল্ডার। তিনিই ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন।
আইএইচএস/