০৪:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক বছরেও শেষ হয়নি তদন্ত, বিচারের অপেক্ষায় শহীদ পরিবার

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
  • 3

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যখন শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান, তার কিছুক্ষণ আগে রাজশাহী শহরে শাহ মখদুম কলেজ এলাকায় আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং পুলিশের যৌথ হামলার শিকার হন আন্দোলনকারীরা। ওইসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ও হামলায় নিহত হন শিক্ষার্থী রায়হান আলী ও সাকিব আনজুম। ওই ঘটনার এক বছর হয়ে গেলেও মামলার রায়তো দূরের কথা, এখনো তদন্তই শেষ হয়নি। সাকিব আনজুম ও রায়হান আলীর হত্যা মামলার মতো ওই সময় সংঘটিত কোনো হত্যাকাণ্ডের তদন্তই শেষ হয়নি। এতে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের তথ্যমতে, জুলাই অভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজশাহী বিভাগে ১২৮টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২২টি হত্যা মামলা। হত্যা মামলা সর্বোচ্চ ৯টি হয়েছে বগুড়ায়। এছাড়া সিরাজগঞ্জে আটটি, রাজশাহীতে দুটি, জয়পুরহাটে দুটি এবং পাবনায় একটি করা হয়।

গণঅভ্যুত্থানের ঘটনায় উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে রাজশাহীতে। তবে রাজশাহী জেলার কোনো থানায় হত্যাকাণ্ডের মামলা হয়নি, অন্যান্য ধারায় মামলা হয়েছে ১৬টি। রাজশাহী মহানগর পুলিশের তদন্তে রয়েছে দুটি হত্যাসহ ২৯টি মামলা।

হত্যা মামলা ছাড়াও রাজশাহী বিভাগের যে ৯৬টি মামলা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে রাজশাহী মহানগর পুলিশের কাছে রয়েছে ২৭টি, জয়পুরহাটে আটটি, বগুড়ায় ২৩টি, সিরাজগঞ্জে ছয়টি, পাবনায় পাঁচটি, নাটোরে চারটি, নওগাঁয় চারটি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনটি।

বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১২৮ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা আট হাজার ৩৯৩ জন। আর হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা এক হাজার ৯৪৯জন। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন এক হাজার ৯০০ জন।

পুলিশ বলছে, এসব হত্যা মামলা বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতেই কিছুটা বাড়তি সময় লাগছে। এছাড়া আগস্ট পরবর্তী সময়ে হাওয়া বেশ কিছু মামলায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কিছু মামলা তালিকা থেকে বাদও দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত ছাত্র অভ্যুত্থানের ঘটনায় ২২টি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন ধারার ১১৮টি মামলাকে পুলিশের বিশেষ কমিটি মনিটরিং করছে। এরই মধ্যে এসব মামলার ছয়টির তদন্ত শেষ করেছে পুলিশ। আগামী মাসের মধ্যেই আরও একাধিক হত্যা মামলার পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন জমা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

চব্বিশের জুলাইয়ে রাজশাহী বিভাগজুড়ে ছিল শিক্ষার্থীদের দুর্বার আন্দোলন। এসব আন্দোলনের বেশিরভাগই ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক। তবে, শেষ সময় আন্দোলনের মাত্রা বেড়ে গেলে তা ছড়িয়ে পড়ে পাড়া-মহল্লাতেও। শেষ সময়ে আন্দোলনে হামলার ঘটনা বেড়ে যায়। প্রতিদিনই বাড়তে থাকে হতাহতের সংখ্যা। রাজশাহীতে ছাত্র আন্দোলনের একেবারে শেষ সময়ে শহীদ হন দুজন। এরা হলেন শিক্ষার্থী রায়হান আলী ও সাকিব আনজুম।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, ৫ আগস্ট থেকে কয়েকদিন পুলিশের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে কার্যক্রম শুরু হলেও তদন্তকাজ শুরু করতে বেশ কিছুটা সময় কেটে যায়। আবার অভ্যুত্থানের এসব ঘটনায় যেসব মামলা হয়েছে, একটা বিশেষ পরিস্থিতির মামলার কারণে কিছুটা অসঙ্গতি তৈরি হয়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজেদের ইচ্ছেমতো আসামি করেন। আবার কেউ কেউ মামলার সত্যতা প্রমাণ করার জন্য যেসব তথ্য দরকার সেগুলো উল্লেখ করেননি বা যথাযথ আলামত দেননি। এসব নানান কারণে অভ্যুত্থান পরবর্তী মামলাগুলো নিয়ে পুলিশ তদন্তের শুরুতে কিছুটা হোঁচট খায়।

সূত্র জানায়, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাজশাহীতে দুই শতাধিক মামলা হয়। তবে প্রাথমিক পর্যায়ের তদন্ত শেষে ১১৮টি মামলাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে তদন্ত কমিটি। এসব মামলার মধ্যে রয়েছে ২২টি হত্যা মামলা। বাকিগুলো বিস্ফোরণ, হামলাসহ অন্যান্য ধারার মামলা।

রাজশাহীর শহীদ সাকিব আনজুমের বাবা মাইনুল হক বলেন, ‘প্রথম দিকে মামলার তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও এখন পুলিশের কার্যক্রমে স্বস্তিতে আছি। আগে যারা পুলিশের পক্ষ থেকে মামলাটি দেখছিলেন, তারা বিগত সরকারের দোসর ছিলেন। তবে এখন যারা পুলিশে কাজ করছেন তাদের কাজের গতি ভালো। তবে শেষ পর্যন্ত বিচারে খুনিরা শাস্তি পেলেই স্বস্তি মিলবে।’

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, যারা এসব ঘটনায় ছিলেন আমরা তাদের চিহ্নিত করে ফেলেছি। আমরা চাই নিরপরাধ কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন। আমাদের তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন আমরা কিছু ভিডিও ফুটেজ ফরেনসিক করাচ্ছি। রিপোর্টগুলো পেয়ে গেলে তদন্ত শেষ হয়ে যাবে। তখন চার্জশিট দেওয়া শুরু হবে।

পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, কোনো নিরপরাধ মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। আশা করছি খুব কম সময়ের মধ্যেই এসব মামলার তদন্ত শেষ করে নিয়ে আসতে পারবো।

তদন্তে বিলম্ব প্রসঙ্গে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য-উপাত্তগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এজন্য একটু বেশি সময় লাগছে।

এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

সরকারি কর্মচারীদের খরচ তুলে ধরে পে কমিশন চেয়ারম্যানকে খোলা চিঠি

এক বছরেও শেষ হয়নি তদন্ত, বিচারের অপেক্ষায় শহীদ পরিবার

আপডেট সময়ঃ ১২:০৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যখন শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান, তার কিছুক্ষণ আগে রাজশাহী শহরে শাহ মখদুম কলেজ এলাকায় আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং পুলিশের যৌথ হামলার শিকার হন আন্দোলনকারীরা। ওইসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ও হামলায় নিহত হন শিক্ষার্থী রায়হান আলী ও সাকিব আনজুম। ওই ঘটনার এক বছর হয়ে গেলেও মামলার রায়তো দূরের কথা, এখনো তদন্তই শেষ হয়নি। সাকিব আনজুম ও রায়হান আলীর হত্যা মামলার মতো ওই সময় সংঘটিত কোনো হত্যাকাণ্ডের তদন্তই শেষ হয়নি। এতে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের তথ্যমতে, জুলাই অভ্যুত্থানের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজশাহী বিভাগে ১২৮টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২২টি হত্যা মামলা। হত্যা মামলা সর্বোচ্চ ৯টি হয়েছে বগুড়ায়। এছাড়া সিরাজগঞ্জে আটটি, রাজশাহীতে দুটি, জয়পুরহাটে দুটি এবং পাবনায় একটি করা হয়।

গণঅভ্যুত্থানের ঘটনায় উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে রাজশাহীতে। তবে রাজশাহী জেলার কোনো থানায় হত্যাকাণ্ডের মামলা হয়নি, অন্যান্য ধারায় মামলা হয়েছে ১৬টি। রাজশাহী মহানগর পুলিশের তদন্তে রয়েছে দুটি হত্যাসহ ২৯টি মামলা।

হত্যা মামলা ছাড়াও রাজশাহী বিভাগের যে ৯৬টি মামলা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, সেগুলোর মধ্যে রাজশাহী মহানগর পুলিশের কাছে রয়েছে ২৭টি, জয়পুরহাটে আটটি, বগুড়ায় ২৩টি, সিরাজগঞ্জে ছয়টি, পাবনায় পাঁচটি, নাটোরে চারটি, নওগাঁয় চারটি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনটি।

বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ১২৮ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা আট হাজার ৩৯৩ জন। আর হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা এক হাজার ৯৪৯জন। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন এক হাজার ৯০০ জন।

পুলিশ বলছে, এসব হত্যা মামলা বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতেই কিছুটা বাড়তি সময় লাগছে। এছাড়া আগস্ট পরবর্তী সময়ে হাওয়া বেশ কিছু মামলায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কিছু মামলা তালিকা থেকে বাদও দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত ছাত্র অভ্যুত্থানের ঘটনায় ২২টি হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন ধারার ১১৮টি মামলাকে পুলিশের বিশেষ কমিটি মনিটরিং করছে। এরই মধ্যে এসব মামলার ছয়টির তদন্ত শেষ করেছে পুলিশ। আগামী মাসের মধ্যেই আরও একাধিক হত্যা মামলার পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন জমা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

চব্বিশের জুলাইয়ে রাজশাহী বিভাগজুড়ে ছিল শিক্ষার্থীদের দুর্বার আন্দোলন। এসব আন্দোলনের বেশিরভাগই ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানভিত্তিক। তবে, শেষ সময় আন্দোলনের মাত্রা বেড়ে গেলে তা ছড়িয়ে পড়ে পাড়া-মহল্লাতেও। শেষ সময়ে আন্দোলনে হামলার ঘটনা বেড়ে যায়। প্রতিদিনই বাড়তে থাকে হতাহতের সংখ্যা। রাজশাহীতে ছাত্র আন্দোলনের একেবারে শেষ সময়ে শহীদ হন দুজন। এরা হলেন শিক্ষার্থী রায়হান আলী ও সাকিব আনজুম।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, ৫ আগস্ট থেকে কয়েকদিন পুলিশের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে কার্যক্রম শুরু হলেও তদন্তকাজ শুরু করতে বেশ কিছুটা সময় কেটে যায়। আবার অভ্যুত্থানের এসব ঘটনায় যেসব মামলা হয়েছে, একটা বিশেষ পরিস্থিতির মামলার কারণে কিছুটা অসঙ্গতি তৈরি হয়। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজেদের ইচ্ছেমতো আসামি করেন। আবার কেউ কেউ মামলার সত্যতা প্রমাণ করার জন্য যেসব তথ্য দরকার সেগুলো উল্লেখ করেননি বা যথাযথ আলামত দেননি। এসব নানান কারণে অভ্যুত্থান পরবর্তী মামলাগুলো নিয়ে পুলিশ তদন্তের শুরুতে কিছুটা হোঁচট খায়।

সূত্র জানায়, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাজশাহীতে দুই শতাধিক মামলা হয়। তবে প্রাথমিক পর্যায়ের তদন্ত শেষে ১১৮টি মামলাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে তদন্ত কমিটি। এসব মামলার মধ্যে রয়েছে ২২টি হত্যা মামলা। বাকিগুলো বিস্ফোরণ, হামলাসহ অন্যান্য ধারার মামলা।

রাজশাহীর শহীদ সাকিব আনজুমের বাবা মাইনুল হক বলেন, ‘প্রথম দিকে মামলার তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও এখন পুলিশের কার্যক্রমে স্বস্তিতে আছি। আগে যারা পুলিশের পক্ষ থেকে মামলাটি দেখছিলেন, তারা বিগত সরকারের দোসর ছিলেন। তবে এখন যারা পুলিশে কাজ করছেন তাদের কাজের গতি ভালো। তবে শেষ পর্যন্ত বিচারে খুনিরা শাস্তি পেলেই স্বস্তি মিলবে।’

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, যারা এসব ঘটনায় ছিলেন আমরা তাদের চিহ্নিত করে ফেলেছি। আমরা চাই নিরপরাধ কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হন। আমাদের তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন আমরা কিছু ভিডিও ফুটেজ ফরেনসিক করাচ্ছি। রিপোর্টগুলো পেয়ে গেলে তদন্ত শেষ হয়ে যাবে। তখন চার্জশিট দেওয়া শুরু হবে।

পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, কোনো নিরপরাধ মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। আশা করছি খুব কম সময়ের মধ্যেই এসব মামলার তদন্ত শেষ করে নিয়ে আসতে পারবো।

তদন্তে বিলম্ব প্রসঙ্গে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য-উপাত্তগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এজন্য একটু বেশি সময় লাগছে।

এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।