গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার দৃশ্যমান করা, দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক গণসমাবেশে এসদ দাবি তুলে ধরেন দলটির নেতারা।
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। এতে উপস্থিত ছিলেন-দলটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, ঢাকা মহানগর ইনচার্জ নিখিল দাস, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ, শ্রমিক নেতা খালিকুজ্জামান লিপন, রুখসানা আফরোজ আশা প্রমুখ।
গণসমাবেশে বক্তারা বলেন, এ দেশের মানুষ অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি বলে ২০২৪ সালে অভ্যুত্থান করেছে। কিন্তু জনগণ জীবন ও রক্তের বিনিময়ে যে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে, পরবর্তীতে শাসকরা পরাজিতদের আশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে এবং তাদের পথই অনুসরণ করে। এক দখলবাজের পরিবর্তে আর এক দখলবাজ, এক দুর্নীতিবাজের পরিবর্তে আর একজন ক্ষমতায় আসীন হয়। তাই অভ্যুত্থানের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা বারবার ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়।
সরকারের নানান কর্মকাণ্ড জনমনে অস্বস্তি তৈরি করেছে বলে সমাবেশে অভিযোগ করেন বাসদ নেতারা। তারা বলেন, জনমনে প্রশ্ন, সরকার কী তাহলে মবকে প্রশ্রয় দিচ্ছে? অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বক্তব্য-বিবৃতি, নানান পদক্ষেপ জনগণের মধ্যে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের জন্ম দিচ্ছে। স্বৈরাচার পতনের পর এমনটা হবে মানুষ সেটা চায়নি।
সংগঠনের দাবিগুলো হলো
১. গণঅভ্যুত্থানে হত্যার বিচার দৃশ্যমান করা। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা।
২. মব সন্ত্রাস বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু এবং আদিবাসীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। নিপীড়নকারীদের শান্তি দেওয়া।
৩. দেশের স্বার্থ বিপন্ন করে চট্টগ্রাম বন্দর ইজারা দেওয়া, রাখাইনে করিডোর, তুরস্ক-কাতারের সঙ্গে সমরাস্ত্র কারখানা নির্মাণের চুক্তি করা চলবে না। স্টারলিংকের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাতিল করা।
৪. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের আঙ্ক্ষা পূর্ণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবিতে সংগ্রাম জারি রাখা।
আরএএস/কেএসআর