জোর করে কোচিং করানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।
এদিন সকালে মাইলস্টোনের সামনে মানববন্ধনে কিছু অভিভাবক শিক্ষার্থীদের জোর করে কোচিং করতে বাধ্য করানোর অভিযোগ তোলেন। তাদের মধ্যে নিহত একজন শিক্ষার্থীর মা তার বক্তব্যে অভিযোগ করেন, কোচিং না করালে স্কুলের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের আদর করেন না। এমন অভিযোগ ওঠার পর তীব্র সমালোচনার মুখে রাতে এই বিজ্ঞপ্তি দিলো মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের যৌক্তিক দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করছে। মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ গুণগতমানের শিক্ষা প্রদান করে আসছে, যা তাদের একাডেমিক ফলাফলের পরিসংখ্যানে ফুটে উঠবে।
এতে বলা হয়, প্রয়োজনে রিকোভারি বা বিশেষ ক্লাসের মাধ্যমে পাঠ সম্পন্ন করা হয়। মূলত বিমান দুর্ঘটনার দিনের হতাহত শিশুরা ছিলেন ক্লাস শেষে খেলাধুলা, গল্প-আড্ডারত। কেউ কেউ অপেক্ষা করছিলেন অভিভাবক কখন এসে তাদের নিয়ে যাবে। বাস্তবে জোর করে আটকে রাখার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মানববন্ধন চলাকালে মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলমের বরাতে একটি চিঠির প্রসঙ্গ আসে; যাতে জোর করে অভিভাবকদের স্বাক্ষর গ্রহণ করার কথা জানানো হয়। মূলত সাংবাদিকদের মাধ্যমেই অপতথ্যমূলক এরূপ চিঠি কলেজ অধ্যক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। বাস্তবতা হলো- চিঠিটি মাইলস্টোন সংশ্লিষ্ট নয়। উল্লেখিত চিঠি মাইলস্টোন কলেজের নির্ধারিত প্যাডে বা অধ্যক্ষের কোনো স্বাক্ষরও প্রদর্শিত হয়নি। তাই কলেজ কর্তৃপক্ষ এ ধরনের চিঠির কোনো দায় গ্রহণ করবে না।
নানা ধরনের অপতথ্য ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দিয়াবাড়ি স্থায়ী ক্যাম্পাসটি নিয়ে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাস্তবতা হলো, বিমান চলাচলের কারণে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাস কোনোরূপ ঝুঁকির মধ্যে নেই। ইতোমধ্যে বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে তাদের অভিমত জানিয়েছেন। এছাড়া ক্যাম্পাসের প্রতিটি ভবন যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে নির্মিত।
সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে যে কোনো অনৈতিক প্রচারণা বা গুজবে কান না দেওয়া জন্য সবাইকে অনুরোধও জানিয়েছে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এএএইচ/জেডএইচ/