০৪:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে, খাবারের অভাবে’

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০০:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
  • 90

রাজশাহীতে একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, মিনারুল ইসলাম তার স্ত্রী-সন্তানদের মেরে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। এসময় মিনারুলের মরদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। যাতে লেখা- ‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে, খাবারের অভাবে’।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে পবার বামুনশিকড় এলাকায় একটি বাসা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- মিনারুল ইসলাম (৩০), তার স্ত্রী মনিরা বেগম (২৮), ছেলে মাহিম (১৩) ও দেড় বছর বয়সী মেয়ে মিথিলা।

পুলিশ বলছে, মিনারুল স্ত্রীকে ওড়না দিয়ে, মেয়েকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন।

উদ্ধার করা চিরকুটে লেখা রয়েছে- ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম। এই কারণে যে, আমি যদি মরে যাই, তাহলে আমার ছেলে-মেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে। কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। তাই আমরা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম সেই ভালো। কারো কাছে কিছুই চাইতে হবে না। আমার জন্য কাউকে কারো কাছে ছোট হতে হবে না। আমার জন্য আমার বাবা অনেক লোকের কাছে ছোট হয়েছে। আর হতে হবে না। চিরদিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।’

আরও পড়ুন:

স্থানীয়রা জানান, মিনারুল একসময় জুয়া খেলতেন ও মাদকাসক্ত ছিলে। এতে তিনি অনেক টাকা ঋণ করেন। সম্প্রতি বাবার জমি বিক্রি করে ঋণ কিছুটা শোধ করলেও আর্থিক সংকটে ছিলেন। অনেক সময় দুবেলা খাবার জুটতো না।

রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সব বিষয়ে মাথায় রেখে তদন্ত করছে পুলিশ।

সাখাওয়াত হোসেন/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে, খাবারের অভাবে’

আপডেট সময়ঃ ০৬:০০:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

রাজশাহীতে একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, মিনারুল ইসলাম তার স্ত্রী-সন্তানদের মেরে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। এসময় মিনারুলের মরদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়। যাতে লেখা- ‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে, খাবারের অভাবে’।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে পবার বামুনশিকড় এলাকায় একটি বাসা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- মিনারুল ইসলাম (৩০), তার স্ত্রী মনিরা বেগম (২৮), ছেলে মাহিম (১৩) ও দেড় বছর বয়সী মেয়ে মিথিলা।

পুলিশ বলছে, মিনারুল স্ত্রীকে ওড়না দিয়ে, মেয়েকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন।

উদ্ধার করা চিরকুটে লেখা রয়েছে- ‘আমি নিজ হাতে সবাইকে মারলাম। এই কারণে যে, আমি যদি মরে যাই, তাহলে আমার ছেলে-মেয়ে কার আশায় বেঁচে থাকবে। কষ্ট আর দুঃখ ছাড়া কিছুই পাবে না। আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে। তাই আমরা বেঁচে থাকার চেয়ে মরে গেলাম সেই ভালো। কারো কাছে কিছুই চাইতে হবে না। আমার জন্য কাউকে কারো কাছে ছোট হতে হবে না। আমার জন্য আমার বাবা অনেক লোকের কাছে ছোট হয়েছে। আর হতে হবে না। চিরদিনের জন্য চলে গেলাম। আমি চাই সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।’

আরও পড়ুন:

স্থানীয়রা জানান, মিনারুল একসময় জুয়া খেলতেন ও মাদকাসক্ত ছিলে। এতে তিনি অনেক টাকা ঋণ করেন। সম্প্রতি বাবার জমি বিক্রি করে ঋণ কিছুটা শোধ করলেও আর্থিক সংকটে ছিলেন। অনেক সময় দুবেলা খাবার জুটতো না।

রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সব বিষয়ে মাথায় রেখে তদন্ত করছে পুলিশ।

সাখাওয়াত হোসেন/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।