০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্টিল বিল্ডিং নির্মাণ খাতের উন্নয়নে বিএসবিএমএ-লিমরার মধ্যে চুক্তি

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০১:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
  • 1

স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসবিএমএ) এবং এমএস লিমরা এক্সিবিশনসের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। আগামী ২০ থেকে ২২ নভেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে অনুষ্ঠেয় মেটাল এক্সপো বাংলাদেশ ২০২৫ সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে এ চুক্তি সই হয়।

বুধবার (২০ আগস্ট) ঢাকার বনানীর বুয়েট গ্র্যাজুয়েটস ক্লাব লিমিটেডে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, এসবিএমএ’র সাবেক ও বর্তমান নেতা এবং ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সিলভান টেকনোলজিস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) প্রকৌশলী মামুন অর রশিদ।

ব্যবসায়ীরা জানান, শিল্পায়নের ক্ষেত্রে প্রিফেব্রিকেটেড স্টিলশিল্পের ভূমিকা অপরিহার্য। অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিবহন, জ্বালানি, ভারি প্রকৌশল ও নির্মাণ খাতে স্রিফেব্রিকেটেড স্টিলশিল্পের উপাদান অপরিহার্য। গত কয়েক বছরে দেশের প্রবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে স্টিলশিল্পে ২০ শতাংশের বেশি সম্প্রসারণ ঘটেছে। বর্তমানে বাজারের আকার ৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে এবং বার্ষিক টার্নওভার দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি।

অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শুল্কমুক্ত তৈরি পণ্য আমদানি বন্ধ, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন-বহির্ভূত ম্যানুফ্যাকচারারদের ভ্যাটের আওতায় আনা, সরকারি প্রকল্পের টেন্ডারে সমান সুযোগ দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড শিল্পকে বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এসবিএমএ’র সাবেক সভাপতি ও সরকার স্টিলের এমডি জাকির হোসেন সরকার বলেন, দেশে প্রায় ৪০০টির বেশি স্টিল মিল রয়েছে, যাদের বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ৪ লাখ টন। বর্তমানে ২ লাখ টন ইস্পাতের চাহিদা পূরণের পর অবশিষ্ট অংশ রফতানির সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এরই মধ্যে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে রফতানির সুযোগ রয়েছে। ভবিষ্যতে আরও নতুন বাজারেও রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করছি।

এসবিএমএ নেতা এবং কম্পোজিটর স্টিল স্ট্রাকচার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আরমান বলেন, ‘আমরা বছরে সরকারের রাজস্বে ২০০ কোটি টাকারও বেশি অবদান রাখি। অথচ এ খাতের জন্য কোনো রপ্তানি প্রণোদনা নেই। আমরা চাই বিশেষ তহবিল গঠন করা হোক, যাতে রপ্তানিতে আরও অবদান রাখতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, এ খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ ব্যাপক। প্রতিটি কারখানায় শ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক মজুরি ১৫-২০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয় এবং কয়েক বছরের মধ্যে তা ৩০-৪০ হাজার টাকায় উন্নীত হয়। এছাড়া দেশের বাইরে কাজ করা আমাদের থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ শ্রমিকরা মাসে তিন থেকে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।

নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মেটাল এক্সপো বাংলাদেশ ২০২৫ কে ঘিরে দেশের প্রিফেব্রিকেটেড শিল্পের অগ্রগতি, সম্ভাবনা এবং রপ্তানি সক্ষমতা তুলে ধরার সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।

ইএআর/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

স্টিল বিল্ডিং নির্মাণ খাতের উন্নয়নে বিএসবিএমএ-লিমরার মধ্যে চুক্তি

আপডেট সময়ঃ ০৬:০১:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

স্টিল বিল্ডিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসবিএমএ) এবং এমএস লিমরা এক্সিবিশনসের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। আগামী ২০ থেকে ২২ নভেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে অনুষ্ঠেয় মেটাল এক্সপো বাংলাদেশ ২০২৫ সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে এ চুক্তি সই হয়।

বুধবার (২০ আগস্ট) ঢাকার বনানীর বুয়েট গ্র্যাজুয়েটস ক্লাব লিমিটেডে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, এসবিএমএ’র সাবেক ও বর্তমান নেতা এবং ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সিলভান টেকনোলজিস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) প্রকৌশলী মামুন অর রশিদ।

ব্যবসায়ীরা জানান, শিল্পায়নের ক্ষেত্রে প্রিফেব্রিকেটেড স্টিলশিল্পের ভূমিকা অপরিহার্য। অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিবহন, জ্বালানি, ভারি প্রকৌশল ও নির্মাণ খাতে স্রিফেব্রিকেটেড স্টিলশিল্পের উপাদান অপরিহার্য। গত কয়েক বছরে দেশের প্রবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে স্টিলশিল্পে ২০ শতাংশের বেশি সম্প্রসারণ ঘটেছে। বর্তমানে বাজারের আকার ৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে এবং বার্ষিক টার্নওভার দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি।

অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শুল্কমুক্ত তৈরি পণ্য আমদানি বন্ধ, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন-বহির্ভূত ম্যানুফ্যাকচারারদের ভ্যাটের আওতায় আনা, সরকারি প্রকল্পের টেন্ডারে সমান সুযোগ দেওয়াসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড শিল্পকে বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এসবিএমএ’র সাবেক সভাপতি ও সরকার স্টিলের এমডি জাকির হোসেন সরকার বলেন, দেশে প্রায় ৪০০টির বেশি স্টিল মিল রয়েছে, যাদের বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা ৪ লাখ টন। বর্তমানে ২ লাখ টন ইস্পাতের চাহিদা পূরণের পর অবশিষ্ট অংশ রফতানির সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এরই মধ্যে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে রফতানির সুযোগ রয়েছে। ভবিষ্যতে আরও নতুন বাজারেও রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করছি।

এসবিএমএ নেতা এবং কম্পোজিটর স্টিল স্ট্রাকচার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আরমান বলেন, ‘আমরা বছরে সরকারের রাজস্বে ২০০ কোটি টাকারও বেশি অবদান রাখি। অথচ এ খাতের জন্য কোনো রপ্তানি প্রণোদনা নেই। আমরা চাই বিশেষ তহবিল গঠন করা হোক, যাতে রপ্তানিতে আরও অবদান রাখতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, এ খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ ব্যাপক। প্রতিটি কারখানায় শ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক মজুরি ১৫-২০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয় এবং কয়েক বছরের মধ্যে তা ৩০-৪০ হাজার টাকায় উন্নীত হয়। এছাড়া দেশের বাইরে কাজ করা আমাদের থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ শ্রমিকরা মাসে তিন থেকে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।

নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মেটাল এক্সপো বাংলাদেশ ২০২৫ কে ঘিরে দেশের প্রিফেব্রিকেটেড শিল্পের অগ্রগতি, সম্ভাবনা এবং রপ্তানি সক্ষমতা তুলে ধরার সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।

ইএআর/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।