বিগত সরকার পাওয়ার প্ল্যান্ট ক্যাপাসিটি চুক্তির মাধ্যমে তাদের পছন্দের ব্যবসায়ীদের চুরির লাইসেন্স দিয়েছিল এবং এই চুক্তির মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি চুরি হয়েছে। এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (২১আগস্ট) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে প্রেস সচিব এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এই কমিশনগুলোর মধ্যে সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন ছাড়া বাতি ১০টি কমিশনের মোট ৩৬৭টি সুপারিশ আশু বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এরইমধ্যে বেশ কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়ন শুধু যে ১০টি কমিশনেই হচ্ছে তা নয়। এ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় স্ব স্ব উদ্যোগে সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের জন্য কাজ করেছে। প্রত্যেকটা মন্ত্রণালয় কয়েকশ সংস্কারের কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন দেবে সে আশায় মন্ত্রণালয়গুলো বসে থাকেনি।
আইন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্টের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি চুরি হয়েছে। যার ফলে, বিগত সরকার তাদের যারা পছন্দের ব্যবসায়ী ছিলেন তাদের এ চুক্তির মাধ্যমে চুরির লাইসেন্স দিয়েছিল।
শফিকুল আলম আরও জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা দ্রুততম সময়ে সংস্কার সুপারিশ বাস্তবায়নের তাগিদ দেন।
প্রেস উইং থেকে প্রতি সপ্তাহে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের ব্যাপারে অবহিত করা হবে বলেও জানান প্রেস সচিব।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
এমইউ/এএমএ/জিকেএস
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।