০৯:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দুদকের অনুসন্ধান: পাথর লুটে জড়িত ৪২ নেতা–ব্যবসায়ী, ভাগ পেতেন ডিসি–এসপি

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০০:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫
  • 19


‘পাথর–বাণিজ্যের
কমিশন
পান
ডিসি-ইউএনও’

দুদকের
এনফোর্সমেন্ট
টিম
অভিযানকালে
সাদাপাথর
এলাকায়
দর্শনার্থী,
ব্যবসায়ীসহ
অনেককে
জিজ্ঞাসাবাদ
করেছে।
এতে
তারা
জানতে
পেরেছে,
জেলা
প্রশাসক,
ইউএনও,
সহকারী
কমিশনার
(ভূমি),
তহসিলদারসহ
(এ
পদের
বর্তমান
নাম
ইউনিয়ন
ভূমি
সহকারী
কর্মকর্তা)
অনেকেই
অবৈধভাবে
উত্তোলিত
পাথর–বাণিজ্যের
কমিশন
পান।
প্রতি
ট্রাক
থেকে

হাজার
এবং
প্রতি
বারকি
নৌকা
থেকে
৫০০
টাকা
স্থানীয়
প্রশাসন
কমিশন
পায়।

সিভিল
প্রশাসনের
ক্ষেত্রে
কমিশনের
ভাগ
জেলা

উপজেলা
প্রশাসনে
বণ্টন
হয়ে
থাকে
বলে
দুদক
অভিযানকালে
জানতে
পেরেছে।
সংশ্লিষ্ট
ভূমি
অফিস

উপজেলা
প্রশাসনের
নির্দিষ্ট
সোর্স

কর্মচারীর
মাধ্যমে
কমিশনের
টাকা
সংগ্রহ
করা
হয়।
পাথর
উত্তোলনে
নিষেধাজ্ঞা
থাকা
সত্ত্বেও
লুটপাট
ঠেকাতে
সিলেটের
জেলা
প্রশাসক
(গত
সোমবার
তাঁকে
বিশেষ
ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা
করে
বদলি
করা
হয়)
মোহাম্মদ
শের
মাহবুব
মুরাদের
সদিচ্ছার
অভাব,
অবহেলা,
ব্যর্থতা

নিষ্ক্রিয়তা
রয়েছে
বলে
দুদক
প্রতিবেদনে
উল্লেখ
করেছে।

ছাড়া
ডিসি
তাঁর
অধীন
থাকা
কোম্পানীগঞ্জ
উপজেলা
প্রশাসনকে
সাদাপাথর
পর্যটনকেন্দ্র
রক্ষায়
সঠিক
দিকনির্দেশনা
দিতেও
অদক্ষতার
পরিচয়
দিয়েছেন।

গত
এক
বছরে
কোম্পানীগঞ্জ
উপজেলায়
বিশেষ
করে
সাদাপাথর
পর্যটন
এলাকায়
দিনদুপুরে
উপজেলা
প্রশাসনের
গোচরেই
পাথর
লুটপাট
হয়েছে
বলে
দুদক
উল্লেখ
করেছে।
তারা
বলেছে,
লুটপাট
চলাকালে
বিভিন্ন
সময়ে
উপজেলাটিতে
চারজন
ইউএনও
দায়িত্বরত
ছিলেন।
তাঁরা
হলেন
আবিদা
সুলতানা,
ঊর্মি
রায়,
মোহাম্মদ
আবুল
হাছনাত

আজিজুন্নাহার
(গত
সোমবার
তাঁকে
বদলি
করা
হয়)।
তাঁরা
নামমাত্র

লোকদেখানো
কিছু
ব্যবস্থা
নেওয়া
ছাড়া
পাথর
লুট
বন্ধে
তেমন
কোনো
ব্যবস্থা
নেননি।
এদিকে
সিলেটের
বিভাগীয়
কমিশনার
খান
মো.
রেজা-উন-নবী
পাথর
লুটপাটকে
প্রশ্রয়
দিয়েছেন
বলে
দুদক
উল্লেখ
করেছে।
তাদের
পর্যবেক্ষণ
এমন,
২০২০
সালের
১৮
ফেব্রুয়ারি
থেকে
সরকারি
নির্দেশে
পাথর
তোলা
নিষিদ্ধ
রয়েছে।
অথচ
গত

জুলাই
বিভাগীয়
কমিশনার
তাঁর
কার্যালয়ে
পাথরসংশ্লিষ্ট
ব্যবসায়ী,
পরিবহনশ্রমিক

রাজনৈতিক
নেতাদের
সঙ্গে
বৈঠকে
বলেন,
‘সারা
দেশে
পাথর
উত্তোলন
করা
গেলে
সিলেটে
যাবে
না
কেন?
এর
সঙ্গে
মানুষের
জীবন

জীবিকা
জড়িত।’
তাঁর

বক্তব্য
বিভিন্ন
গণমাধ্যমে
প্রচারিত
হলে
তা
সাদাপাথর
লুটপাটের
ক্ষেত্রে
ব্যাপক
উৎসাহ
জুগিয়েছে।

তবে
গতকাল
বিভাগীয়
কমিশনার
কোম্পানীগঞ্জ
উপজেলায়
এক
মতবিনিময়
শেষে
সাংবাদিকদের
প্রশ্নের
জবাবে
বলেন,
‘গত

জুলাই
আমরা
ইজারা
নিয়ে
কথা
বলেছি।
পাথর
চুরি
নিয়ে
কিছু
বলা
হয়নি।
পাথরচোরদের
উৎসাহিত
করার
মতো
কিছু
আমি
বলিনি।
তেমন
কিছু
কেউ
বললে
বা
ছড়ালে
সেটা
ভুল
মেসেজ।’

এদিকে
গত
সোমবার
বিশেষ
ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা
(ওএসডি)
হয়ে
সদ্য
বিদায়ী
সিলেটের
জেলা
প্রশাসক
মোহাম্মদ
শের
মাহবুব
মুরাদ
দুই
দিন
আগে
প্রথম
আলোকে
বলেন,
‘সাধ্যমতো
পাথর
লুট
ঠেকাতে
চেষ্টা
করেছি।
আমার
কোনো
নিষ্ক্রিয়তা
ছিল
না।’

ছাড়া
কোম্পানীগঞ্জের
সদ্য
বিদায়ী
ইউএনও
আজিজুন্নাহার
সোমবার
প্রথম
আলোকে
বলেন,
‘পাথর
লুটকারীদের
সহায়তা
করে
একটি
টাকা
নিয়েছি—এটা
কেউ
প্রমাণ
করতে
পারবে
না।’
 

ট্যাগঃ

দুদকের অনুসন্ধান: পাথর লুটে জড়িত ৪২ নেতা–ব্যবসায়ী, ভাগ পেতেন ডিসি–এসপি

আপডেট সময়ঃ ১২:০০:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫


‘পাথর–বাণিজ্যের
কমিশন
পান
ডিসি-ইউএনও’

দুদকের
এনফোর্সমেন্ট
টিম
অভিযানকালে
সাদাপাথর
এলাকায়
দর্শনার্থী,
ব্যবসায়ীসহ
অনেককে
জিজ্ঞাসাবাদ
করেছে।
এতে
তারা
জানতে
পেরেছে,
জেলা
প্রশাসক,
ইউএনও,
সহকারী
কমিশনার
(ভূমি),
তহসিলদারসহ
(এ
পদের
বর্তমান
নাম
ইউনিয়ন
ভূমি
সহকারী
কর্মকর্তা)
অনেকেই
অবৈধভাবে
উত্তোলিত
পাথর–বাণিজ্যের
কমিশন
পান।
প্রতি
ট্রাক
থেকে

হাজার
এবং
প্রতি
বারকি
নৌকা
থেকে
৫০০
টাকা
স্থানীয়
প্রশাসন
কমিশন
পায়।

সিভিল
প্রশাসনের
ক্ষেত্রে
কমিশনের
ভাগ
জেলা

উপজেলা
প্রশাসনে
বণ্টন
হয়ে
থাকে
বলে
দুদক
অভিযানকালে
জানতে
পেরেছে।
সংশ্লিষ্ট
ভূমি
অফিস

উপজেলা
প্রশাসনের
নির্দিষ্ট
সোর্স

কর্মচারীর
মাধ্যমে
কমিশনের
টাকা
সংগ্রহ
করা
হয়।
পাথর
উত্তোলনে
নিষেধাজ্ঞা
থাকা
সত্ত্বেও
লুটপাট
ঠেকাতে
সিলেটের
জেলা
প্রশাসক
(গত
সোমবার
তাঁকে
বিশেষ
ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা
করে
বদলি
করা
হয়)
মোহাম্মদ
শের
মাহবুব
মুরাদের
সদিচ্ছার
অভাব,
অবহেলা,
ব্যর্থতা

নিষ্ক্রিয়তা
রয়েছে
বলে
দুদক
প্রতিবেদনে
উল্লেখ
করেছে।

ছাড়া
ডিসি
তাঁর
অধীন
থাকা
কোম্পানীগঞ্জ
উপজেলা
প্রশাসনকে
সাদাপাথর
পর্যটনকেন্দ্র
রক্ষায়
সঠিক
দিকনির্দেশনা
দিতেও
অদক্ষতার
পরিচয়
দিয়েছেন।

গত
এক
বছরে
কোম্পানীগঞ্জ
উপজেলায়
বিশেষ
করে
সাদাপাথর
পর্যটন
এলাকায়
দিনদুপুরে
উপজেলা
প্রশাসনের
গোচরেই
পাথর
লুটপাট
হয়েছে
বলে
দুদক
উল্লেখ
করেছে।
তারা
বলেছে,
লুটপাট
চলাকালে
বিভিন্ন
সময়ে
উপজেলাটিতে
চারজন
ইউএনও
দায়িত্বরত
ছিলেন।
তাঁরা
হলেন
আবিদা
সুলতানা,
ঊর্মি
রায়,
মোহাম্মদ
আবুল
হাছনাত

আজিজুন্নাহার
(গত
সোমবার
তাঁকে
বদলি
করা
হয়)।
তাঁরা
নামমাত্র

লোকদেখানো
কিছু
ব্যবস্থা
নেওয়া
ছাড়া
পাথর
লুট
বন্ধে
তেমন
কোনো
ব্যবস্থা
নেননি।
এদিকে
সিলেটের
বিভাগীয়
কমিশনার
খান
মো.
রেজা-উন-নবী
পাথর
লুটপাটকে
প্রশ্রয়
দিয়েছেন
বলে
দুদক
উল্লেখ
করেছে।
তাদের
পর্যবেক্ষণ
এমন,
২০২০
সালের
১৮
ফেব্রুয়ারি
থেকে
সরকারি
নির্দেশে
পাথর
তোলা
নিষিদ্ধ
রয়েছে।
অথচ
গত

জুলাই
বিভাগীয়
কমিশনার
তাঁর
কার্যালয়ে
পাথরসংশ্লিষ্ট
ব্যবসায়ী,
পরিবহনশ্রমিক

রাজনৈতিক
নেতাদের
সঙ্গে
বৈঠকে
বলেন,
‘সারা
দেশে
পাথর
উত্তোলন
করা
গেলে
সিলেটে
যাবে
না
কেন?
এর
সঙ্গে
মানুষের
জীবন

জীবিকা
জড়িত।’
তাঁর

বক্তব্য
বিভিন্ন
গণমাধ্যমে
প্রচারিত
হলে
তা
সাদাপাথর
লুটপাটের
ক্ষেত্রে
ব্যাপক
উৎসাহ
জুগিয়েছে।

তবে
গতকাল
বিভাগীয়
কমিশনার
কোম্পানীগঞ্জ
উপজেলায়
এক
মতবিনিময়
শেষে
সাংবাদিকদের
প্রশ্নের
জবাবে
বলেন,
‘গত

জুলাই
আমরা
ইজারা
নিয়ে
কথা
বলেছি।
পাথর
চুরি
নিয়ে
কিছু
বলা
হয়নি।
পাথরচোরদের
উৎসাহিত
করার
মতো
কিছু
আমি
বলিনি।
তেমন
কিছু
কেউ
বললে
বা
ছড়ালে
সেটা
ভুল
মেসেজ।’

এদিকে
গত
সোমবার
বিশেষ
ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা
(ওএসডি)
হয়ে
সদ্য
বিদায়ী
সিলেটের
জেলা
প্রশাসক
মোহাম্মদ
শের
মাহবুব
মুরাদ
দুই
দিন
আগে
প্রথম
আলোকে
বলেন,
‘সাধ্যমতো
পাথর
লুট
ঠেকাতে
চেষ্টা
করেছি।
আমার
কোনো
নিষ্ক্রিয়তা
ছিল
না।’

ছাড়া
কোম্পানীগঞ্জের
সদ্য
বিদায়ী
ইউএনও
আজিজুন্নাহার
সোমবার
প্রথম
আলোকে
বলেন,
‘পাথর
লুটকারীদের
সহায়তা
করে
একটি
টাকা
নিয়েছি—এটা
কেউ
প্রমাণ
করতে
পারবে
না।’