পরিমিত লিখেও যে ক’জন কথাসাহিত্যিক পাঠকের মন জয় করতে পেরেছিলেন; সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য। বলা হয়ে থাকে, তিনি সব শ্রেণির পাঠকের জন্য লেখেননি। কিন্তু তাঁর উপন্যাস ‘লাল সালু’ পাঠ্য হওয়ায় তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
১৯৫২ সালে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ কর্মোপলক্ষ্যে দেশ ছাড়েন। নানান দেশ ঘুরে ১৯৬১ সালে থিতু হন প্যারিসে। মৃত্যু অবধি তিনি সেখানেই ছিলেন। ‘প্যারিসে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্: প্রসঙ্গ-অনুষঙ্গ’ বইয়ে মূলত ওয়ালীউল্লাহ্র এক দশকের প্যারিস জীবনের টুকরো স্মৃতি ও নানা ঘটনাপ্রবাহ চমৎকারভাবে বর্ণিত হয়েছে।
৪ অধ্যায়ে বিভক্ত ৬৬টি উপশিরোনামে বিন্যস্ত এসব লেখায় উঠে এসেছে তাঁর প্রবাসজীবনের অনেক অজানা কাহিনি। গ্রন্থভুক্ত না হলে এসব চমকপ্রদ ঘটনা হয়তো আমাদের অজানাই থেকে যেত। প্রবাসে থাকলেও সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র মনোভূমিতে ছিল স্বদেশ।
তিনি শুধু একজন লেখকই ছিলেন না, ছিলেন চৌকস কূটনীতিকও। কিন্তু লেখক খ্যাতির আড়ালে চাপা পড়েছে তাঁর সেই পরিচয়। পেশাগত জীবন শুরু করেছিলেন সাংবাদিকতা দিয়ে। ছবিও এঁকেছিলেন বেশ কিছু। কিন্তু ১৯৪৫ সালে ‘নয়নচারা’ প্রশংসিত হলে তিনি পূর্ণমাত্রায় লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন।
প্যারিসে তাঁকে ঘিরে তখন অনেক কৃতি বাঙালির সম্মিলন ঘটে। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ প্যারিসের দিনলিপিনির্ভর এই বই তাঁর অনেক অজানা ঘটনা-স্মৃতির সন্ধান দেবে আমাদের।
‘প্যারিসে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্: প্রসঙ্গ-অনুষঙ্গ’ বইটি লিখেছেন মাহমুদ শাহ কোরেশী। প্রকাশ করেছে বাংলা একাডেমি। প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। ২০২৫ সালে প্রকাশিত ১৪৪ পৃষ্ঠার বইটির মূল্য ৩২০ টাকা। বই বাংলা একাডেমির বিক্রয়কেন্দ্রে পাওয়া যাচ্ছে।
এসইউ/জিকেএস
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।
এডমিন 













