০৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুলতানের দানবীয় মানবেরা কেন হারিয়ে যায়

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
  • 16

জুলাই
অভ্যুত্থানের
মধ্য
দিয়ে
সাধারণ
মানুষের
সাধারণ
একটি
আকাঙ্ক্ষা
এই
ছিল
যে
বাংলাদেশ
রাষ্ট্রটি
হবে
মানবিক।
কিন্তু
জুলাই
ঘোষণাপত্র

সনদে
আবারও
বিরাজনীতিকরণের
লক্ষণ
স্পষ্ট
হয়ে
উঠেছে।
সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ
হয়ে
উঠেছে
আইনসভার
কাঠামো,
উচ্চকক্ষ-নিম্নকক্ষের
বিতর্ক,
প্রধানমন্ত্রীর
মেয়াদ
ইত্যাদি
বিষয়।
অথচ
সাধারণ
মানুষের
প্রাণের
অধিকার,
মতপ্রকাশের
অধিকারসহ
রাষ্ট্রের
অন্যান্য
নিপীড়নমূলক
ব্যবস্থা
থেকে
মুক্তির
কোনো
দিকনির্দেশনা
সেখানে
নেই।
আরও
মারাত্মক
বিষয়
হলো
প্রস্তাবিত
জুলাই
সনদের

নম্বর
অনুচ্ছেদে
যে
জরুরি
অবস্থা
চলাকালে
জীবনের
অধিকার
এবং
মানবাধিকার
খর্ব
না
করার
প্রসঙ্গ
রাখা
হয়েছে,
সে
বিষয়ে
ঐকমত্য
কমিশনে
উপস্থিত
থাকা
৩৫টি
দলের
মধ্যে
ছয়টি
দল
দ্বিমত
পোষণ
করেছে।
তার
মানে,
সাধারণ
মানুষের
প্রাণের
অধিকার
রক্ষার
জন্য
এই
গণ–অভ্যুত্থানে
যে
হাজারখানেক
মানুষ
প্রাণ
দিয়েছেন,
আমাদের
এই
রাজনীতিবিদদের
কাছে
তা
যথেষ্ট
নয়।

ফলে
গণ–অভ্যুত্থানে
এত
গুরুত্বপূর্ণ
অবদান
রাখার
পরও
সুলতানের
সাধারণ
মানুষেরা
কেন
হারিয়ে
যায়,
সেটি
খুব
গুরুত্বপূর্ণ
একটি
প্রশ্ন।
তার
অন্যতম
কারণ
সুলতানের
সাধারণ
মানুষ
হচ্ছে
ইংরেজিতে
যাকে
বলে
‘মাস’।
অর্থাৎ
‘আম’,
তারা
‘পলিটিকো’
নয়।
অর্থাৎ
তারা
রাজনৈতিকভাবে
সংগঠিত
নয়।
সুলতানের
ছবিতে
তাঁর
দানবীয়
মানবের
রাজনৈতিক
চেতনার
কোনো
ইঙ্গিত
পাওয়া
যায়
না।
তারা
অভ্যুত্থানের
নায়ক
হিসেবে
হাজির
হয়
ঠিকই,
কিন্তু
দুর্ভাগ্যজনকভাবে
দ্রুত
হারিয়ে
যায়,
নামচিহ্নহীন
ভিড়ের
মধ্যে।


লেখক:

শিক্ষক,
দর্শন
বিভাগ,
জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়

ট্যাগঃ

ফরিদপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা

সুলতানের দানবীয় মানবেরা কেন হারিয়ে যায়

আপডেট সময়ঃ ১২:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

জুলাই
অভ্যুত্থানের
মধ্য
দিয়ে
সাধারণ
মানুষের
সাধারণ
একটি
আকাঙ্ক্ষা
এই
ছিল
যে
বাংলাদেশ
রাষ্ট্রটি
হবে
মানবিক।
কিন্তু
জুলাই
ঘোষণাপত্র

সনদে
আবারও
বিরাজনীতিকরণের
লক্ষণ
স্পষ্ট
হয়ে
উঠেছে।
সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ
হয়ে
উঠেছে
আইনসভার
কাঠামো,
উচ্চকক্ষ-নিম্নকক্ষের
বিতর্ক,
প্রধানমন্ত্রীর
মেয়াদ
ইত্যাদি
বিষয়।
অথচ
সাধারণ
মানুষের
প্রাণের
অধিকার,
মতপ্রকাশের
অধিকারসহ
রাষ্ট্রের
অন্যান্য
নিপীড়নমূলক
ব্যবস্থা
থেকে
মুক্তির
কোনো
দিকনির্দেশনা
সেখানে
নেই।
আরও
মারাত্মক
বিষয়
হলো
প্রস্তাবিত
জুলাই
সনদের

নম্বর
অনুচ্ছেদে
যে
জরুরি
অবস্থা
চলাকালে
জীবনের
অধিকার
এবং
মানবাধিকার
খর্ব
না
করার
প্রসঙ্গ
রাখা
হয়েছে,
সে
বিষয়ে
ঐকমত্য
কমিশনে
উপস্থিত
থাকা
৩৫টি
দলের
মধ্যে
ছয়টি
দল
দ্বিমত
পোষণ
করেছে।
তার
মানে,
সাধারণ
মানুষের
প্রাণের
অধিকার
রক্ষার
জন্য
এই
গণ–অভ্যুত্থানে
যে
হাজারখানেক
মানুষ
প্রাণ
দিয়েছেন,
আমাদের
এই
রাজনীতিবিদদের
কাছে
তা
যথেষ্ট
নয়।

ফলে
গণ–অভ্যুত্থানে
এত
গুরুত্বপূর্ণ
অবদান
রাখার
পরও
সুলতানের
সাধারণ
মানুষেরা
কেন
হারিয়ে
যায়,
সেটি
খুব
গুরুত্বপূর্ণ
একটি
প্রশ্ন।
তার
অন্যতম
কারণ
সুলতানের
সাধারণ
মানুষ
হচ্ছে
ইংরেজিতে
যাকে
বলে
‘মাস’।
অর্থাৎ
‘আম’,
তারা
‘পলিটিকো’
নয়।
অর্থাৎ
তারা
রাজনৈতিকভাবে
সংগঠিত
নয়।
সুলতানের
ছবিতে
তাঁর
দানবীয়
মানবের
রাজনৈতিক
চেতনার
কোনো
ইঙ্গিত
পাওয়া
যায়
না।
তারা
অভ্যুত্থানের
নায়ক
হিসেবে
হাজির
হয়
ঠিকই,
কিন্তু
দুর্ভাগ্যজনকভাবে
দ্রুত
হারিয়ে
যায়,
নামচিহ্নহীন
ভিড়ের
মধ্যে।


লেখক:

শিক্ষক,
দর্শন
বিভাগ,
জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়