পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২০ লাখের বেশি মানুষ। প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (পিডিএমএ) মহাপরিচালক ইরফান আলী কাঠিয়া রোববার (৩১ আগস্ট) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পাঞ্জাবের তিনটি প্রধান নদীতে (সিন্ধু পানিচুক্তির আওতাধীন শতদ্রু, রাভি ও চেনাব) বিপজ্জনক মাত্রায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চলছে পুরো প্রদেশজুড়ে।
কাঠিয়া বলেন, এখন পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক… আমরা তিনটি বড় নদীতে ভয়াবহ স্রোত দেখছি।
আরও পড়ুন>>
পাকিস্তান যখন নজিরবিহীন বন্যার সঙ্গে লড়ছে, তখন ভারতের বিরুদ্ধে সিন্ধু পানিচুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। ইসলামাবাদের দাবি, নয়াদিল্লি সময়মতো বন্যার আগাম সতর্কতা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছে না।
দেশটিতে চলতি মৌসুমি বৃষ্টির শুরুর পর গত জুনের শেষ দিক থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন বন্যাজনিত ঘটনায় অন্তত ৮৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাপক অবকাঠামো ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।
পিডিএমএ প্রধান জানান, এ পর্যন্ত ২ হাজার ২০০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং বন্যাকবলিত এলাকা থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শুধু ত্রিম্মু ব্যারাজেই এক দিনে পানির প্রবাহ এক লাখ কিউসেক বেড়ে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৬৩৩ কিউসেক হয়েছে।
এটি পাঞ্জাবের ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম উদ্ধার অভিযান, উল্লেখ করে কাঠিয়া বলেন, ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন।
প্রাদেশিক জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেছেন, পাঞ্জাব এক নজিরবিহীন সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিনটি প্রধান নদী একইসঙ্গে ‘সুপার ফ্লাড’-এ পৌঁছেছে।
তিনি জানান, শতদ্রু নদীর গণ্ডা সিং ওয়ালা, খাঙ্কি ও কাদিরাবাদ এলাকায়ও পানির প্রবাহ বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। শুধু রাভি সেতু এলাকায় পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ কিউসেক।
সূত্র: জিও নিউজ
কেএএ/
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।
এডমিন 













