১০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘হাসিনা যদি গণভবনে মারা যেতেন, আ.লীগ বেঁচে যেত’

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:৩৪:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 23

‘শেখ হাসিনা যদি গণভবনে মারা যেতেন, আওয়ামী লীগ বেঁচে যেত’ বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, অনেক ল্যাসপেন্সার গ্রুপ বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে। তবে ১৯৭৫ সালের আগস্ট আর ২০২৪ সালের আগস্ট ভিন্ন। ৭৫’র আগস্টে শেখ মুজিব ঘরে বসে খুন হয়েছিলেন, কেউ পালিয়ে যায়নি। আর ২৪’র আগস্টে হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। নিজের ঘরে মারা গেলে রাজনৈতিকভাবে যে একটা সহানুভূতি হতে পারে, এটা বাংলাদেশে প্রমাণিত হয়েছে। এটা একটি সহানুভূতির রাজনীতি, একটা মন্দিরের রাজনীতি, একটা শোকের রাজনীতি হতো। যেমন শেখ মুজিবকে নিয়ে একটি শোকের রাজনীতি তৈরি হয়েছে। 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে দিয়ে সেই শোকের রাজনীতি তৈরি করা যাবে না। পালাতক সেনাপ্রধানকে দিয়ে পৃথিবীতে কোনো রাজ্য বিজয় হয় না।

এবি পার্টির এই নেতা বলেন, আওয়মী লীগের রাজনীতি থাকবে কিনা- তা নিয়ে আমার ভেতরে সন্দেহ আছে। একজন পলাতক স্বৈরাচার কখনো বিজয়বেশে ক্ষমতায় ফিরে আসে না। এরকম কোনো ইতিহাস নেই। হাসিনা যদি সিদ্ধান্ত নিত যে, আমি গণভবনে থেকেই মরে যাব, তা হয়ে তার দলটা বেঁচে যেত। 

তিনি বলেন, যে দলের নেত্রী পুরো রাষ্ট্রকে নিয়ে পালায় তার রাজনৈতিক আত্মহত্যা হয়েছে। এই নেতা আর কোনো দিন বাংলাদেশে মুখ দেখিয়ে রাজনীতি করতে পারবে না। শেখ হাসিনার কোনো রাজনৈতিক লিনিয়াস নেই, তার ছেলে-মেয়েও অপরাধী। 

তারা কেউ বাংলাদেশকে ওউন করে না উল্লেখ করে ফুয়াদ বলেন, তাদের জন্য বাংলাদেশটা গাই-গরু, এখান থেকে অর্থ নিয়ে বিদেশে মাস্তি করবে। তাই এসব বিবেচনায় আমরা একথা বলতে পারি যে, আওয়মী লীগের রাজনীতি ডেথ পলিটিকস হয়ে গেছে।

বাঁধন/সিইচা/সাএ

ট্যাগঃ

‘হাসিনা যদি গণভবনে মারা যেতেন, আ.লীগ বেঁচে যেত’

আপডেট সময়ঃ ১২:৩৪:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘শেখ হাসিনা যদি গণভবনে মারা যেতেন, আওয়ামী লীগ বেঁচে যেত’ বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সাধারণ সম্পাদক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, অনেক ল্যাসপেন্সার গ্রুপ বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ ফিরে আসবে। তবে ১৯৭৫ সালের আগস্ট আর ২০২৪ সালের আগস্ট ভিন্ন। ৭৫’র আগস্টে শেখ মুজিব ঘরে বসে খুন হয়েছিলেন, কেউ পালিয়ে যায়নি। আর ২৪’র আগস্টে হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। নিজের ঘরে মারা গেলে রাজনৈতিকভাবে যে একটা সহানুভূতি হতে পারে, এটা বাংলাদেশে প্রমাণিত হয়েছে। এটা একটি সহানুভূতির রাজনীতি, একটা মন্দিরের রাজনীতি, একটা শোকের রাজনীতি হতো। যেমন শেখ মুজিবকে নিয়ে একটি শোকের রাজনীতি তৈরি হয়েছে। 

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে দিয়ে সেই শোকের রাজনীতি তৈরি করা যাবে না। পালাতক সেনাপ্রধানকে দিয়ে পৃথিবীতে কোনো রাজ্য বিজয় হয় না।

এবি পার্টির এই নেতা বলেন, আওয়মী লীগের রাজনীতি থাকবে কিনা- তা নিয়ে আমার ভেতরে সন্দেহ আছে। একজন পলাতক স্বৈরাচার কখনো বিজয়বেশে ক্ষমতায় ফিরে আসে না। এরকম কোনো ইতিহাস নেই। হাসিনা যদি সিদ্ধান্ত নিত যে, আমি গণভবনে থেকেই মরে যাব, তা হয়ে তার দলটা বেঁচে যেত। 

তিনি বলেন, যে দলের নেত্রী পুরো রাষ্ট্রকে নিয়ে পালায় তার রাজনৈতিক আত্মহত্যা হয়েছে। এই নেতা আর কোনো দিন বাংলাদেশে মুখ দেখিয়ে রাজনীতি করতে পারবে না। শেখ হাসিনার কোনো রাজনৈতিক লিনিয়াস নেই, তার ছেলে-মেয়েও অপরাধী। 

তারা কেউ বাংলাদেশকে ওউন করে না উল্লেখ করে ফুয়াদ বলেন, তাদের জন্য বাংলাদেশটা গাই-গরু, এখান থেকে অর্থ নিয়ে বিদেশে মাস্তি করবে। তাই এসব বিবেচনায় আমরা একথা বলতে পারি যে, আওয়মী লীগের রাজনীতি ডেথ পলিটিকস হয়ে গেছে।

বাঁধন/সিইচা/সাএ