০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন, এখন

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০৬:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 14

শুরু
করলাম
নিজের
কক্ষটি
দিয়ে,
যে
কক্ষে
আমি
২০০৯
সাল
পর্যন্ত
পাঁচটি
বছর
কাটিয়েছি।
কক্ষটি
বঙ্গবন্ধু
শেখ
মুজিবুর
রহমান
হলে,
১১৩
নম্বর।
গতকাল
সোমবার
গিয়ে
দেখলাম
কক্ষটি
তালাবদ্ধ।
আশপাশের
আরও
কয়েকটি
কক্ষেও
তালা।

জানালার
ভাঙা
কাচের
ফাঁক
দিয়ে
দেখলাম,
কক্ষটিতে
কয়েকটি
খাট,
টেবিল

চেয়ার
আছে।
তবে
খাটে
কোনো
তোশক
নেই,
চাদর
নেই,
বালিশ
নেই।
টেবিলে
বই
নেই,
খাতা
নেই।
ধুলা
পড়ে
আছে।

খোঁজ
নিয়ে
জানা
গেল,
১১৩
নম্বরসহ
বঙ্গবন্ধু
হলের
মূল
ভবনের
নিচতলার
গণরুমগুলো
এখন
আর
ব্যবহৃত
হয়
না।
পাশে
আরেকটি
ভবন
হয়েছে,
নাম
জুলাই
শহীদ
স্মৃতি
ভবন।
ফলে
হলে
আবাসনসংকট
নেই।
আর
গণরুমপ্রথার
বিলুপ্তি
ঘটেছে।
এখন
চারজনের
কক্ষে
চারজন
করে
থাকেন।
এক
খাটে
দুজনকে
ঘুমাতে
হয়
না।
অন্য
হলেও
মোটামুটি
একই
চিত্র।

মনে
পড়ল,
আমাদের
চারজনের
কক্ষটিতে
চারটি
খাটে
আমরা
আটজন
ঘুমাতাম।
মেঝেতে
কখনো
চারজন,
কখনো
ছয়জন
থাকতেন।
১১৩
নম্বর
কক্ষটি
গণরুম
নামে
পরিচিত
ছিল।
হল
নিয়ন্ত্রণ
করত
তৎকালীন
ক্ষমতাসীন
দল
বিএনপির
ছাত্রসংগঠন
ছাত্রদল
(তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের
সময়
ছাত্রলীগ
হলে
ছিল,
তবে
তাদের
হাতে
নিয়ন্ত্রণ
ছিল
না)।

যাঁরা
জানেন
না,
তাঁদের
উদ্দেশে
বলি,
গণরুম
হলো
যে
কক্ষে
একসঙ্গে
অনেক
শিক্ষার্থী
থাকতেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে
প্রথম
বর্ষের
শিক্ষার্থীদের
গণরুমে
তুলতেন
ক্ষমতাসীন
দলের
ছাত্রসংগঠনের
নেতারা।
পাশাপাশি
জ্যেষ্ঠদের
মধ্যে
নিরীহ
কাউকে
কাউকে
গণরুমে
থাকতে
হতো।
আমাদের
কক্ষে
ছিলেন
স্নাতকোত্তরের
দুজন
শিক্ষার্থী।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

পুলিশ শটগান দিয়ে কাছ থেকে আবু সাঈদকে গুলি করে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন, এখন

আপডেট সময়ঃ ১২:০৬:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

শুরু
করলাম
নিজের
কক্ষটি
দিয়ে,
যে
কক্ষে
আমি
২০০৯
সাল
পর্যন্ত
পাঁচটি
বছর
কাটিয়েছি।
কক্ষটি
বঙ্গবন্ধু
শেখ
মুজিবুর
রহমান
হলে,
১১৩
নম্বর।
গতকাল
সোমবার
গিয়ে
দেখলাম
কক্ষটি
তালাবদ্ধ।
আশপাশের
আরও
কয়েকটি
কক্ষেও
তালা।

জানালার
ভাঙা
কাচের
ফাঁক
দিয়ে
দেখলাম,
কক্ষটিতে
কয়েকটি
খাট,
টেবিল

চেয়ার
আছে।
তবে
খাটে
কোনো
তোশক
নেই,
চাদর
নেই,
বালিশ
নেই।
টেবিলে
বই
নেই,
খাতা
নেই।
ধুলা
পড়ে
আছে।

খোঁজ
নিয়ে
জানা
গেল,
১১৩
নম্বরসহ
বঙ্গবন্ধু
হলের
মূল
ভবনের
নিচতলার
গণরুমগুলো
এখন
আর
ব্যবহৃত
হয়
না।
পাশে
আরেকটি
ভবন
হয়েছে,
নাম
জুলাই
শহীদ
স্মৃতি
ভবন।
ফলে
হলে
আবাসনসংকট
নেই।
আর
গণরুমপ্রথার
বিলুপ্তি
ঘটেছে।
এখন
চারজনের
কক্ষে
চারজন
করে
থাকেন।
এক
খাটে
দুজনকে
ঘুমাতে
হয়
না।
অন্য
হলেও
মোটামুটি
একই
চিত্র।

মনে
পড়ল,
আমাদের
চারজনের
কক্ষটিতে
চারটি
খাটে
আমরা
আটজন
ঘুমাতাম।
মেঝেতে
কখনো
চারজন,
কখনো
ছয়জন
থাকতেন।
১১৩
নম্বর
কক্ষটি
গণরুম
নামে
পরিচিত
ছিল।
হল
নিয়ন্ত্রণ
করত
তৎকালীন
ক্ষমতাসীন
দল
বিএনপির
ছাত্রসংগঠন
ছাত্রদল
(তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের
সময়
ছাত্রলীগ
হলে
ছিল,
তবে
তাদের
হাতে
নিয়ন্ত্রণ
ছিল
না)।

যাঁরা
জানেন
না,
তাঁদের
উদ্দেশে
বলি,
গণরুম
হলো
যে
কক্ষে
একসঙ্গে
অনেক
শিক্ষার্থী
থাকতেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে
প্রথম
বর্ষের
শিক্ষার্থীদের
গণরুমে
তুলতেন
ক্ষমতাসীন
দলের
ছাত্রসংগঠনের
নেতারা।
পাশাপাশি
জ্যেষ্ঠদের
মধ্যে
নিরীহ
কাউকে
কাউকে
গণরুমে
থাকতে
হতো।
আমাদের
কক্ষে
ছিলেন
স্নাতকোত্তরের
দুজন
শিক্ষার্থী।