ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশের প্রায় আট কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বারাবো বাসস্ট্যান্ড থেকে যানজটের সূত্রপাত ঘটে। দুপুরের দিকে মহাসড়কের উভয় দিকে কাঁচপুর থেকে বরপা পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার সড়কজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। বিকেলে মহাসড়কের আরিয়াবো এলাকায় সড়ক অবরোধের ঘটনায় যানজট বেড়ে কাচপুর থেকে কর্ণগোপ পর্যন্ত আট কিলোমিটারে ছড়িয়ে পড়ে।

যাত্রাবাড়ী থেকে গাড়িতে উঠেছেন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি জানান, ৪০ মিনিটেরও বেশি সময় লেগেছে তার বরাবো আসতে।
তার গন্তব্য নরসিংদী। কখন পৌঁছাতে পারবেন তা নিয়ে তিনি চিন্তায় আছেন।
শাহীন প্রমাণিক নামের আরেক যাত্রী জানান, তিনি মাধবদী থেকে বাসে উঠেছেন। যাত্রাবাড়ী যাবেন। মৈকুলি থেকে জ্যামে পড়েছেন। আধাঘণ্টা ধরে গাড়িটি একই স্থানে রয়েছে।

ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক মুফাখখির উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রিমিয়ার স্টিল মিলস নামের একটি কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে বিকেলে বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ কারণে বিকেলে যানজট কিছুটা বিস্তৃত হলেও বর্তমানে রাস্তার অবরোধ উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।’
শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘রাস্তার বেশিরভাগ অংশে কাজ চলছে। তার ওপর আবার খানাখন্দে রাস্তার বেহাল অবস্থা। আগে যাওয়ার জন্য নিয়ম ভেঙে চালকরা বিপরীত রুটে গাড়ি ঢুকিয়ে একাধিক লাইন করার কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তবে যানজট নিরসনের যথাসাধ্য চেষ্টা চলছে।’
নাজমুল হুদা/এসআর/জিকেএস
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।
এডমিন 









