০৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে এতে হয়রানির সাগরে পড়েন রোগীরা

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০৪:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 17
  • একশ শয্যার জনবলও নেই আড়াইশ শয্যার হাসপাতালটিতে
  • প্যারাসিটামল ও গ্যাস্ট্রিকের ছাড়া নেই কোনো ওষুধ
  • রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন চিকিৎসক-নার্সরা
  • হাসপাতাল যেন মাদকসেবিদের নিরাপদ আখড়া
  • নিয়মিত ঘটছে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা

চিকিৎসক সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যায় খুঁড়িয়ে চলছে শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। কেবল চিকিৎসকই নয়, নার্স, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, বিনামূল্যের ওষুধ, রোগীদের খাবার সবকিছুতেই যেন হাহাকার। ফলে হাসপাতালটিতে বিনামূল্যে সেবা নিতে আসা নিম্ন আয়ের রোগীরা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা। ইনডোর, আউটডোর ও ইমারজেন্সিতে দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা থাকলেও সংকট মোকাবিলায় শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতিতেই দায় সারছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চাহিদার চেয়েও কয়েকগুণ কম জনবল নিয়ে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় একশ শয্যার হাসপাতালটি। সেসময় একশ শয্যা হাসপাতাল পরিচালনা করার মতো জনবলও ছিল না হাসপাতালটিতে। বর্তমানে হাসপাতালটিতে মোট ৫৮ জন চিকিৎসক প্রয়োজন হলেও কর্মরত আছেন ৩০ জন। ১০ জন সিনিয়র কনসালটেন্ট থাকার কথা থাকলেও সবক’টি পদ শূন্য রয়েছে। এতে দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে এতে হয়রানির সাগরে পড়েন রোগীরা

সম্প্রতি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, বিছানা না পেয়ে নোংরা-আবর্জনার ঝুড়ির পাশেই মেঝেতে শুইয়ে রাখা হয়েছে মাত্র কয়েক দিনের শিশুকে। দুর্গন্ধে বড়দের যেখানে থাকাই কষ্ট, সেখানে শিশুদের ডাস্টবিনের পাশে রেখে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার নমুনা দেখলেই বোঝা যায় জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা নাজুক। বাথরুম অপরিষ্কার ও নোংরা পানিতে ভরে গেছে। নেই বাথরুমের দরজার ছিটকিনি ও লাইট।

আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা ৪৫ বছর বয়সী নারী হোসনে আরা বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। টাকা দিয়ে দামি-দামি ওষুধ কিনতে পারি না, এখানে বিনামূল্যে ওষুধের আশায় আসি। তিন ঘণ্টা রোদে দাঁড়িয়ে সিরিয়াল পেয়েছি। আমাকে ডাক্তার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ লিখেছেন। কিন্তু এখানে প্যারাসিটামল, গ্যাসের বড়ি, আয়রন ট্যাবলেট ছাড়া কিছুই দিলো না। সরকার যে কোটি কোটি টাকার ওষুধ কেনে আমাদের জন্য, সেসব ওষুধ যায় কোথায়।

চিকিৎসা নিতে আসা নালিতাবাড়ীর কলসপাড়ের বাসিন্দা সাবিনা আক্তার বলেন, এক সপ্তাহ ধরে আমরা হাসপাতালে আছি। এসেছি থেকেই দেখছ, বাথরুমগুলোতে নোংরা পানি জমে আছে। সেখানে লাইট থাকলেও সেটা নষ্ট। বাথরুম সবসময় অন্ধকার থাকে। ফলে রাতে রোগীদের যেতে সমস্যা হয়। আবার দরজা থাকলেও ছিটকিনি ভাঙা।

বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে এতে হয়রানির সাগরে পড়েন রোগীরা

শিশু বিভাগের কয়েকজন অভিযোগ করেন, হাসপাতালটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। রাতে টাকাসহ ব্যাগ ও মোবাইল চুরি হয়েছে। সিঁড়ি থেকে কয়েকজন তরুণ মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

আরও পড়ুন-
হৃদরোগ হাসপাতালে দানের মেশিনে ‘মধু’
বাক্সবন্দি মেশিন এখন ‘চায়ের টেবিল’, টেস্ট করাতে হয় বাইরে
বিশ্বমানের হবে পাবনা মানসিক হাসপাতাল, বিদেশিদের পড়াশোনার সুযোগ

মেডিসিন বিভাগের একাধিক রোগী জানার, তাদের হাসপাতাল থেকে কোনো ওষুধ দেওয়া হয়নি। কেবল প্যারাসিটামল আর গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট দিয়েছে। বাকি সব ওষুধ কিনে নিয়ে আসতে হয়।

এদিকে চিকিৎসক ও নার্সদের দুর্ব্যবহারতো রয়েছেই। রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতালে কর্মরতদের খারাপ আচরণে অতিষ্ঠ সেবাপ্রার্থীরা। গত ১৮ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসককে আপা বলায় রেগে গিয়ে রোগী ও স্বজনকে বের করে দেন ডাক্তার মারজিয়া।

এর আগে শিশু বিভাগে এক শিশু কান্না করায় ছুড়ে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন নার্স। পরে রোগীর স্বজন ও স্থানীয়দের প্রতিবাদে কক্ষ ত্যাগ করেন ওই নার্স।

এছাড়া মাদক কারবারিদের নিরাপদ আখড়া এই হাসপাতাল। একাধিক নার্স ও স্টাফ নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, আমাদের কাছ থেকে ইনজেকশনের সুচ, ওষুধ ও এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ইনজেকশন তারা ছিনিয়ে নেয়। না দিলে মারতে আসে। রাতে তাদের জমজমাট আড্ডা বসে হাসপাতালে। তখন রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে ভয় পাই। একপ্রকার নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হয়। কয়েকমাস আগে র‍্যাব ১৪ অভিযান চালিয়ে হাসপাতাল থেকে বিপুল পরিমাণ ওষুধসহ দুইজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে।

বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে এতে হয়রানির সাগরে পড়েন রোগীরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক মামুনুর রহমান বলেন, হাসপাতালের এসব অব্যবস্থাপনার দায় হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার সেলিম কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। আমরা বারবার বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়ে এখন হতাশ।

মানবাধিকার কর্মী আলমগীর আল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, মোটা দাগে বলতে গেলে জেলার ১৬ লাখ মানুষের চিকিৎসার বাতিঘর হাসপাতালটি চিকিৎসা দেওয়ার পরিবর্তে এখন হয়রানির উপযুক্ত স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালটি যেন মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যঅভয়ারণ্য

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহিন জানান, একশ শয্যার হাসপাতাল পরিচালনা করতে যে সংখ্যক জনবল প্রয়োজন, তার চেয়েও কম সংখ্যক জনবল দিয়ে আড়াইশ শয্যা হাসপাতাল পরিচালনা করতে হচ্ছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হাসপাতালটি পরিদর্শন করে গেছেন। তবে আমরা এখনো পর্যন্ত আড়াইশ শয্যার হাসপাতাল পরিচালনা করার কোড পাইনি। কোডটি পেলেই লোকবল নিয়োগ হবে।

এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে এতে হয়রানির সাগরে পড়েন রোগীরা

আপডেট সময়ঃ ০৬:০৪:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • একশ শয্যার জনবলও নেই আড়াইশ শয্যার হাসপাতালটিতে
  • প্যারাসিটামল ও গ্যাস্ট্রিকের ছাড়া নেই কোনো ওষুধ
  • রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন চিকিৎসক-নার্সরা
  • হাসপাতাল যেন মাদকসেবিদের নিরাপদ আখড়া
  • নিয়মিত ঘটছে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা

চিকিৎসক সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যায় খুঁড়িয়ে চলছে শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। কেবল চিকিৎসকই নয়, নার্স, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, বিনামূল্যের ওষুধ, রোগীদের খাবার সবকিছুতেই যেন হাহাকার। ফলে হাসপাতালটিতে বিনামূল্যে সেবা নিতে আসা নিম্ন আয়ের রোগীরা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা। ইনডোর, আউটডোর ও ইমারজেন্সিতে দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা থাকলেও সংকট মোকাবিলায় শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতিতেই দায় সারছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চাহিদার চেয়েও কয়েকগুণ কম জনবল নিয়ে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় একশ শয্যার হাসপাতালটি। সেসময় একশ শয্যা হাসপাতাল পরিচালনা করার মতো জনবলও ছিল না হাসপাতালটিতে। বর্তমানে হাসপাতালটিতে মোট ৫৮ জন চিকিৎসক প্রয়োজন হলেও কর্মরত আছেন ৩০ জন। ১০ জন সিনিয়র কনসালটেন্ট থাকার কথা থাকলেও সবক’টি পদ শূন্য রয়েছে। এতে দূর-দূরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে এতে হয়রানির সাগরে পড়েন রোগীরা

সম্প্রতি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, বিছানা না পেয়ে নোংরা-আবর্জনার ঝুড়ির পাশেই মেঝেতে শুইয়ে রাখা হয়েছে মাত্র কয়েক দিনের শিশুকে। দুর্গন্ধে বড়দের যেখানে থাকাই কষ্ট, সেখানে শিশুদের ডাস্টবিনের পাশে রেখে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার নমুনা দেখলেই বোঝা যায় জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতটা নাজুক। বাথরুম অপরিষ্কার ও নোংরা পানিতে ভরে গেছে। নেই বাথরুমের দরজার ছিটকিনি ও লাইট।

আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা ৪৫ বছর বয়সী নারী হোসনে আরা বেগম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। টাকা দিয়ে দামি-দামি ওষুধ কিনতে পারি না, এখানে বিনামূল্যে ওষুধের আশায় আসি। তিন ঘণ্টা রোদে দাঁড়িয়ে সিরিয়াল পেয়েছি। আমাকে ডাক্তার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ লিখেছেন। কিন্তু এখানে প্যারাসিটামল, গ্যাসের বড়ি, আয়রন ট্যাবলেট ছাড়া কিছুই দিলো না। সরকার যে কোটি কোটি টাকার ওষুধ কেনে আমাদের জন্য, সেসব ওষুধ যায় কোথায়।

চিকিৎসা নিতে আসা নালিতাবাড়ীর কলসপাড়ের বাসিন্দা সাবিনা আক্তার বলেন, এক সপ্তাহ ধরে আমরা হাসপাতালে আছি। এসেছি থেকেই দেখছ, বাথরুমগুলোতে নোংরা পানি জমে আছে। সেখানে লাইট থাকলেও সেটা নষ্ট। বাথরুম সবসময় অন্ধকার থাকে। ফলে রাতে রোগীদের যেতে সমস্যা হয়। আবার দরজা থাকলেও ছিটকিনি ভাঙা।

বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে এতে হয়রানির সাগরে পড়েন রোগীরা

শিশু বিভাগের কয়েকজন অভিযোগ করেন, হাসপাতালটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। রাতে টাকাসহ ব্যাগ ও মোবাইল চুরি হয়েছে। সিঁড়ি থেকে কয়েকজন তরুণ মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

আরও পড়ুন-
হৃদরোগ হাসপাতালে দানের মেশিনে ‘মধু’
বাক্সবন্দি মেশিন এখন ‘চায়ের টেবিল’, টেস্ট করাতে হয় বাইরে
বিশ্বমানের হবে পাবনা মানসিক হাসপাতাল, বিদেশিদের পড়াশোনার সুযোগ

মেডিসিন বিভাগের একাধিক রোগী জানার, তাদের হাসপাতাল থেকে কোনো ওষুধ দেওয়া হয়নি। কেবল প্যারাসিটামল আর গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট দিয়েছে। বাকি সব ওষুধ কিনে নিয়ে আসতে হয়।

এদিকে চিকিৎসক ও নার্সদের দুর্ব্যবহারতো রয়েছেই। রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতালে কর্মরতদের খারাপ আচরণে অতিষ্ঠ সেবাপ্রার্থীরা। গত ১৮ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসককে আপা বলায় রেগে গিয়ে রোগী ও স্বজনকে বের করে দেন ডাক্তার মারজিয়া।

এর আগে শিশু বিভাগে এক শিশু কান্না করায় ছুড়ে ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন নার্স। পরে রোগীর স্বজন ও স্থানীয়দের প্রতিবাদে কক্ষ ত্যাগ করেন ওই নার্স।

এছাড়া মাদক কারবারিদের নিরাপদ আখড়া এই হাসপাতাল। একাধিক নার্স ও স্টাফ নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, আমাদের কাছ থেকে ইনজেকশনের সুচ, ওষুধ ও এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ইনজেকশন তারা ছিনিয়ে নেয়। না দিলে মারতে আসে। রাতে তাদের জমজমাট আড্ডা বসে হাসপাতালে। তখন রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে ভয় পাই। একপ্রকার নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হয়। কয়েকমাস আগে র‍্যাব ১৪ অভিযান চালিয়ে হাসপাতাল থেকে বিপুল পরিমাণ ওষুধসহ দুইজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে।

বিনামূল্যে চিকিৎসা নিতে এতে হয়রানির সাগরে পড়েন রোগীরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক মামুনুর রহমান বলেন, হাসপাতালের এসব অব্যবস্থাপনার দায় হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার সেলিম কোনোভাবেই এড়াতে পারে না। আমরা বারবার বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ দিয়ে এখন হতাশ।

মানবাধিকার কর্মী আলমগীর আল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, মোটা দাগে বলতে গেলে জেলার ১৬ লাখ মানুষের চিকিৎসার বাতিঘর হাসপাতালটি চিকিৎসা দেওয়ার পরিবর্তে এখন হয়রানির উপযুক্ত স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালটি যেন মাদকসেবীদের অভয়ারণ্যঅভয়ারণ্য

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহিন জানান, একশ শয্যার হাসপাতাল পরিচালনা করতে যে সংখ্যক জনবল প্রয়োজন, তার চেয়েও কম সংখ্যক জনবল দিয়ে আড়াইশ শয্যা হাসপাতাল পরিচালনা করতে হচ্ছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হাসপাতালটি পরিদর্শন করে গেছেন। তবে আমরা এখনো পর্যন্ত আড়াইশ শয্যার হাসপাতাল পরিচালনা করার কোড পাইনি। কোডটি পেলেই লোকবল নিয়োগ হবে।

এফএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।