০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পূজা ও নির্বাচনের দায়িত্বে আনসার-ভিডিপির প্রশিক্ষিত সদস্যরাই

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০০:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 16

প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নের অংশ হিসেবে এক বছরে এক লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ জনকে ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং ১৫ হাজার ৮০৭ জনকে উপজেলা আনসার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে আরও এক লাখ ১৪ হাজার জনকে ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং ৩৭ হাজার ৪২৬ জনকে উপজেলা আনসার প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

এসব প্রশিক্ষণে তারুণ্য, মেধা ও যোগ্যতাকে মাপকাঠি হিসেবে ধরা হয়েছে; কোনো প্রকার সুপারিশকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি।প্রশিক্ষিত সদস্যরা শুধু পূজার নিরাপত্তায় নয়, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনসহ রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে স্বল্পকালীন মোতায়েনেও দায়িত্ব পালন করবেন।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) আনসার-ভিডিপির সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদসম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।

আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত টানা নয়দিন সারাদেশের ৩১ হাজার ৫৭৬ পূজামণ্ডপে দুই লক্ষাধিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন থাকবেন।

বাহিনীর চলমান সংস্কার কার্যক্রমের আওতায় প্রায় দুই লাখ তরুণকে গণপ্রতিরক্ষার নতুন ধারায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নব সংযোজিত এভিএমআইএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে সব সদস্যের নিবন্ধন ও হালনাগাদ তথ্য যাচাই করে পূজার নিরাপত্তা দায়িত্ব নির্ধারণ করা হচ্ছে। পূজামণ্ডপে গুজব প্রতিরোধ ও তাৎক্ষণিক ঘটনাপ্রবাহ মোকাবিলার লক্ষ্যে ‘ইনসিডেন্ট রিপোর্ট’ ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে, যা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও দৃঢ় করেছে। তদুপরি, জেলা কমান্ড্যান্ট ও উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তারা মাঠে থেকে সরাসরি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করছেন এবং পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক বলেন, এবারের দুর্গাপূজায় পূজামণ্ডপগুলোকে নিরাপত্তা ঝুঁকির ভিত্তিতে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ৭ হাজার ৫৪টি পূজামণ্ডপে আটজন করে, গুরুত্বপূর্ণ ১০ হাজার ৯৭২টি পূজামণ্ডপে ছয়জন করে এবং সাধারণ ১৩ হাজার ৫৫০টি পূজামণ্ডপে ছয়জন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা শিফট অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া দেশের ৬৪ জেলায় ৯২টি ব্যাটালিয়ন আনসার স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম মোতায়েন করা হয়েছে, যারা নিয়মিত টহল পরিচালনার পাশাপাশি যেকোনো আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত আছে।

এই নিরাপত্তা কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে চালু করা হয়েছে ‘শারদীয় সুরক্ষা অ্যাপস’। এর মাধ্যমে মোতায়েনকৃত সদস্যরা দুর্ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে রিপোর্ট করছেন এবং এসব তথ্য অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ভাগাভাগি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে দায়িত্বশীল ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন সমাজে আস্থা, স্বচ্ছতা ও গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করে। আমরা সাংবাদিক সমাজকে আমাদের অগ্রযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করি এবং আশা করি স্থানীয় প্রতিনিধি ও কেন্দ্রীয় সাংবাদিক সমাজ যাচাই করা তথ্য ও ইতিবাচক উপস্থাপনার মাধ্যমে জনগণের কাছে সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পৌঁছে দেবেন।

টিটি/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

পূজা ও নির্বাচনের দায়িত্বে আনসার-ভিডিপির প্রশিক্ষিত সদস্যরাই

আপডেট সময়ঃ ১২:০০:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নের অংশ হিসেবে এক বছরে এক লাখ ৩৫ হাজার ৫০০ জনকে ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং ১৫ হাজার ৮০৭ জনকে উপজেলা আনসার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যে আরও এক লাখ ১৪ হাজার জনকে ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং ৩৭ হাজার ৪২৬ জনকে উপজেলা আনসার প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

এসব প্রশিক্ষণে তারুণ্য, মেধা ও যোগ্যতাকে মাপকাঠি হিসেবে ধরা হয়েছে; কোনো প্রকার সুপারিশকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি।প্রশিক্ষিত সদস্যরা শুধু পূজার নিরাপত্তায় নয়, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনসহ রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে স্বল্পকালীন মোতায়েনেও দায়িত্ব পালন করবেন।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) আনসার-ভিডিপির সদরদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদসম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।

আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপদ ও নির্বিঘ্নভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে আগামী ২ অক্টোবর পর্যন্ত টানা নয়দিন সারাদেশের ৩১ হাজার ৫৭৬ পূজামণ্ডপে দুই লক্ষাধিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন থাকবেন।

বাহিনীর চলমান সংস্কার কার্যক্রমের আওতায় প্রায় দুই লাখ তরুণকে গণপ্রতিরক্ষার নতুন ধারায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নব সংযোজিত এভিএমআইএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে সব সদস্যের নিবন্ধন ও হালনাগাদ তথ্য যাচাই করে পূজার নিরাপত্তা দায়িত্ব নির্ধারণ করা হচ্ছে। পূজামণ্ডপে গুজব প্রতিরোধ ও তাৎক্ষণিক ঘটনাপ্রবাহ মোকাবিলার লক্ষ্যে ‘ইনসিডেন্ট রিপোর্ট’ ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে, যা নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও দৃঢ় করেছে। তদুপরি, জেলা কমান্ড্যান্ট ও উপজেলা আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তারা মাঠে থেকে সরাসরি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করছেন এবং পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

আনসার বাহিনীর মহাপরিচালক বলেন, এবারের দুর্গাপূজায় পূজামণ্ডপগুলোকে নিরাপত্তা ঝুঁকির ভিত্তিতে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ৭ হাজার ৫৪টি পূজামণ্ডপে আটজন করে, গুরুত্বপূর্ণ ১০ হাজার ৯৭২টি পূজামণ্ডপে ছয়জন করে এবং সাধারণ ১৩ হাজার ৫৫০টি পূজামণ্ডপে ছয়জন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা শিফট অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া দেশের ৬৪ জেলায় ৯২টি ব্যাটালিয়ন আনসার স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম মোতায়েন করা হয়েছে, যারা নিয়মিত টহল পরিচালনার পাশাপাশি যেকোনো আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত আছে।

এই নিরাপত্তা কার্যক্রমকে আরও কার্যকর ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে চালু করা হয়েছে ‘শারদীয় সুরক্ষা অ্যাপস’। এর মাধ্যমে মোতায়েনকৃত সদস্যরা দুর্ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে রিপোর্ট করছেন এবং এসব তথ্য অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ভাগাভাগি করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে দায়িত্বশীল ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন সমাজে আস্থা, স্বচ্ছতা ও গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করে। আমরা সাংবাদিক সমাজকে আমাদের অগ্রযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করি এবং আশা করি স্থানীয় প্রতিনিধি ও কেন্দ্রীয় সাংবাদিক সমাজ যাচাই করা তথ্য ও ইতিবাচক উপস্থাপনার মাধ্যমে জনগণের কাছে সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পৌঁছে দেবেন।

টিটি/এমএএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।