নবীন বুকে প্রাচীন প্রেম
তোমার শ্বাসের ওঠানামা
ধৈবত সুরে সুরে কাঁপে
বুকের গড়ন অবিকল
আমার সৃজন হাত’ মাপে।
গ্রামীণ ছায়াপথ ধরে—
কাহ্নপা হেঁটে যায় ধীর
তোমার নবীনতম বুকে
টেনে দেই প্রেমের শিবির।
মায়াচোখে জল দেখে ভাবি
ওই বুঝি দাহ কেরোসিন
এক্ষুণি পুড়ে যাবো আমি
হয়ে যাবো হাওয়াতে বিলীন।
আমার দখলে থাকা ভূমি
শুনি আজ ভিনলোকে খায়
তোমাকে প্রেমিকা ভেবে আজ
বুদ্ধও দুঃখী থেকে যায়—
***
পায়রা কিংবা একা মেয়ে
পাশের বাসার ছাদে দু’টো পায়রা
কার্নিশে বসে ঠোঁট ঘষে প্রেম করছে
তারই পাশে বিষণ্ণ এক মেয়ে
নিঃসঙ্গতায় একা একা পুড়ছে।
চোখ জোড়া তার গাঢ় অন্ধকার
মেঘগুলো যায় নিরুদ্দেশে ভেসে
ছায়া কিংবা মায়ার যতো কথা
মিলিয়ে যায় শান্ত চোখে এসে।
ছাদের কোণে ছোট একটা গাছ
হাওয়ায় দুলছে বড্ড বেসামাল
তবুও আমার বলতে ইচ্ছে করে
মেয়ের মুখেই সত্য মহাকাল।
হঠাৎ দেখি পায়রা দু’টো নেই—!
কখন কোথায় গেল যে হায় উড়ে
একটা সাদা পালক দেখি একা
পড়ে আছে মেয়েটির অদূরে—!
***
পাওয়া খবর
শুনলাম, আজ তুমি হেঁটেছো
হাত ধরে—অন্য কারো!
হেসে এড়িয়ে যেতে চাইলাম
এমন ভাব নিলাম
যেন ওসবে আমার কিছুই আসে-যায় না।
কিন্তু পেরেছি কী!
কখনো
ধরিনি
তোমার হাত
তবুও
কেন যে
নিজের হাতকে
মুহূর্তেই মনে হলো নিঃস্ব।
এমন অনেক খবরই আসে আজকাল
আমি বরাবরই এড়িয়ে যেতে চাই
কিন্তু জীবিত নদী তো পারে না জলকে এড়িয়ে যেতে।
এসইউ/জিকেএস
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।
এডমিন 
















