০২:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবারও ভারতের `সবচেয়ে নিরাপদ শহর’ কলকাতা, যা বললেন আরজি করে নির্যাতিতার মা

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
  • 12

ভারতের সবচেয়ে নিরাপদ শহরের তালিকায় আবারও শীর্ষে কলকাতা। এ নিয়ে পরপর চারবার গৌরবময় এই খেতাব পেলো পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী।

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর সবশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে অপরাধের অনুপাত হিসাব করে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে।

ভারতজুড়ে মোট ১৯টি শহরকে নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়েছিল। সমীক্ষা অনুযায়ী অপরাধের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি ভারতের কেরালা রাজ্যের কোচিতে। সেখানে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে অপরাধের হার ৩ হাজার ১১৯ দশমিক ৪। এরপরেই নাম রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।

আরও পড়ুন>>
পশ্চিমবঙ্গে বাড়িতে ঢুকে কলেজ শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা
প্রকাশ্যে মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে মারধর, ভিডিও ভাইরাল
কলকাতায় বাংলাদেশি সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর

কলকাতার ক্ষেত্রে এর হার অনেকটাই কম, মাত্র ৮৩ দশমিক ৯। তাই ভারতের সবচেয়ে নিরাপদ শহর হিসেবে বিবেচিত হয়েছে তিলোত্তমা।

এই ধারা অব্যাহত থাকার কারণ হিসেবে কলকাতা পুলিশের উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং পুলিশিং পদ্ধতির সূক্ষ্ম সমন্বয়কে কৃতিত্ব দিয়েছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৬ সাল থেকেই কলকাতায় অপরাধের হার নিম্নমুখী।

কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ-খুনের মতো ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি। এমন অবস্থায় ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো বলছে, কলকাতা শহরে অপরাধ কমেছে।

এ বিষয়ে আরজি করে নির্যাতিতার মা বলেন, আমরা চোখের সামনে যা দেখি, তাতে মনে হচ্ছে, যারা এই প্রতিবেদন বানিয়েছে, তারা ভুল করেছে। রাস্তায় নেমে তারপর প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি, কিছুদিন আগে কলকাতা শহরে কোমর সমান পানি জমে গিয়েছিল। তাতে বেশ কয়েকজন মারা গেছে। আমার মেয়ে কলকাতার শহরের প্রতিষ্ঠিত এক হাসপাতালে ডাক্তার ছিল। সেই হাসপাতালেই তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। তার সুরক্ষা আমরা দিতে পারিনি। কলকাতা শহরে এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত হচ্ছে। তাই আমি এই প্রতিবেদন মানি না।

ডিডি/কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

আবারও ভারতের `সবচেয়ে নিরাপদ শহর’ কলকাতা, যা বললেন আরজি করে নির্যাতিতার মা

আপডেট সময়ঃ ০৬:০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫

ভারতের সবচেয়ে নিরাপদ শহরের তালিকায় আবারও শীর্ষে কলকাতা। এ নিয়ে পরপর চারবার গৌরবময় এই খেতাব পেলো পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী।

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর সবশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে অপরাধের অনুপাত হিসাব করে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে।

ভারতজুড়ে মোট ১৯টি শহরকে নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়েছিল। সমীক্ষা অনুযায়ী অপরাধের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি ভারতের কেরালা রাজ্যের কোচিতে। সেখানে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে অপরাধের হার ৩ হাজার ১১৯ দশমিক ৪। এরপরেই নাম রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।

আরও পড়ুন>>
পশ্চিমবঙ্গে বাড়িতে ঢুকে কলেজ শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা
প্রকাশ্যে মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে মারধর, ভিডিও ভাইরাল
কলকাতায় বাংলাদেশি সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর

কলকাতার ক্ষেত্রে এর হার অনেকটাই কম, মাত্র ৮৩ দশমিক ৯। তাই ভারতের সবচেয়ে নিরাপদ শহর হিসেবে বিবেচিত হয়েছে তিলোত্তমা।

এই ধারা অব্যাহত থাকার কারণ হিসেবে কলকাতা পুলিশের উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার এবং পুলিশিং পদ্ধতির সূক্ষ্ম সমন্বয়কে কৃতিত্ব দিয়েছে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৬ সাল থেকেই কলকাতায় অপরাধের হার নিম্নমুখী।

কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ-খুনের মতো ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি। এমন অবস্থায় ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো বলছে, কলকাতা শহরে অপরাধ কমেছে।

এ বিষয়ে আরজি করে নির্যাতিতার মা বলেন, আমরা চোখের সামনে যা দেখি, তাতে মনে হচ্ছে, যারা এই প্রতিবেদন বানিয়েছে, তারা ভুল করেছে। রাস্তায় নেমে তারপর প্রতিবেদন তৈরি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি, কিছুদিন আগে কলকাতা শহরে কোমর সমান পানি জমে গিয়েছিল। তাতে বেশ কয়েকজন মারা গেছে। আমার মেয়ে কলকাতার শহরের প্রতিষ্ঠিত এক হাসপাতালে ডাক্তার ছিল। সেই হাসপাতালেই তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। তার সুরক্ষা আমরা দিতে পারিনি। কলকাতা শহরে এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত হচ্ছে। তাই আমি এই প্রতিবেদন মানি না।

ডিডি/কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।