০১:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীর বাজারে সরবরাহ কমায় চড়া দাম সবজির

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • 12

রাজশাহীর খুচরা ও পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। সরবরাহ কম থাকায় প্রতি কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

বুধবার (৮ অক্টোবর) নগরীর সাহেব বাজার, মাস্টারপাড়া, কোর্ট বাজার ও খড়খড়ি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে বেগুন কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়, ফুলকপি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়, ঢেড়স ৬০ টাকায়, বরবটি ৬০-৭০ টাকায়, করলা ৭০-৮০ টাকায় এবং কাঁচামরিচ ২৮০-৩০০ টাকায়। লাউ প্রতিটি ৫০ টাকা এবং আলু কেজি প্রতি ১৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তুলনামূলকভাবে বিভিন্ন ধরনের শাকের দাম কিছুটা কম। লাল শাক, পুঁইশাক ও কলমি শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা প্রতি আঁটি এবং পালং শাক ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মাংসের বাজারেও দাম ঊর্ধ্বমুখী। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০০ টাকায়, সোনালী ৩০০, ব্রয়লার ১৭০ এবং সাদা লেয়ার ২৭০ টাকায়।

বাজারে মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮২ থেকে ৯২ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৬২ থেকে ৬৫ টাকা এবং ব্রি২৮ বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে আদা ১০০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১২৫ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা, খেসারির ডাল ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চিনি ১২০ টাকা কেজি, সয়াবিন তেল খোলা ১৬৫, বোতলজাত ১৭৫ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে।

রাজশাহীর বাজারে সরবরাহ কমায় চড়া দাম সবজির

অন্যদিকে চলতি সপ্তাহে মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়াও গরুর মাংস প্রতিকেজি ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

সাহেব বাজারের ক্রেতা দিনমজুর আব্দুর রহিম বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম এত বেশি যে ৫০০ টাকা নিয়েও কিছু কেনা যায় না। আগে বাজার থেকে ডাল, সবজি, মাছ কিনে নিয়ে যেতাম। এখন সবকিছুর দাম আকাশচুম্বী। শেষমেষ আলু নিয়েই বাড়ি ফিরছি। আলু দিয়েই সংসার চলছে।

কলেজ শিক্ষার্থী নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্তদের জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আগে আলু ছিল গৌণ সবজি, এখন সেটিই মূল ভরসা। দাম কম থাকায় আলু দিয়েই দুই-তিন রকম রান্না করা যায়।

বাজারের বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, সবজির দাম আমরা বাড়াই না, পাইকারি বাজার থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে ক্রেতারা যে সমস্যায় আছেন, আমরা বিক্রেতারাও কম সমস্যায় নেই। নিজের বাড়িতেও ভালো সবজি খাওয়ার সুযোগ নেই আমাদেরও শেষ ভরসা এখন আলু।

রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা মাসুদ রানা বলেন, শুধু সরবরাহের ঘাটতিই নয়, পরিবহন ব্যয় ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। যার ফলে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

সাখাওয়াত হোসেন/এমএন/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

রাজশাহীর বাজারে সরবরাহ কমায় চড়া দাম সবজির

আপডেট সময়ঃ ০৬:০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

রাজশাহীর খুচরা ও পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। সরবরাহ কম থাকায় প্রতি কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

বুধবার (৮ অক্টোবর) নগরীর সাহেব বাজার, মাস্টারপাড়া, কোর্ট বাজার ও খড়খড়ি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে বেগুন কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়, ফুলকপি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়, ঢেড়স ৬০ টাকায়, বরবটি ৬০-৭০ টাকায়, করলা ৭০-৮০ টাকায় এবং কাঁচামরিচ ২৮০-৩০০ টাকায়। লাউ প্রতিটি ৫০ টাকা এবং আলু কেজি প্রতি ১৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তুলনামূলকভাবে বিভিন্ন ধরনের শাকের দাম কিছুটা কম। লাল শাক, পুঁইশাক ও কলমি শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা প্রতি আঁটি এবং পালং শাক ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মাংসের বাজারেও দাম ঊর্ধ্বমুখী। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫০০ টাকায়, সোনালী ৩০০, ব্রয়লার ১৭০ এবং সাদা লেয়ার ২৭০ টাকায়।

বাজারে মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮২ থেকে ৯২ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৬২ থেকে ৬৫ টাকা এবং ব্রি২৮ বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে আদা ১০০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১২৫ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা, খেসারির ডাল ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চিনি ১২০ টাকা কেজি, সয়াবিন তেল খোলা ১৬৫, বোতলজাত ১৭৫ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে।

রাজশাহীর বাজারে সরবরাহ কমায় চড়া দাম সবজির

অন্যদিকে চলতি সপ্তাহে মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়াও গরুর মাংস প্রতিকেজি ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

সাহেব বাজারের ক্রেতা দিনমজুর আব্দুর রহিম বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম এত বেশি যে ৫০০ টাকা নিয়েও কিছু কেনা যায় না। আগে বাজার থেকে ডাল, সবজি, মাছ কিনে নিয়ে যেতাম। এখন সবকিছুর দাম আকাশচুম্বী। শেষমেষ আলু নিয়েই বাড়ি ফিরছি। আলু দিয়েই সংসার চলছে।

কলেজ শিক্ষার্থী নুরুল ইসলাম বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্তদের জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আগে আলু ছিল গৌণ সবজি, এখন সেটিই মূল ভরসা। দাম কম থাকায় আলু দিয়েই দুই-তিন রকম রান্না করা যায়।

বাজারের বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বলেন, সবজির দাম আমরা বাড়াই না, পাইকারি বাজার থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে ক্রেতারা যে সমস্যায় আছেন, আমরা বিক্রেতারাও কম সমস্যায় নেই। নিজের বাড়িতেও ভালো সবজি খাওয়ার সুযোগ নেই আমাদেরও শেষ ভরসা এখন আলু।

রাজশাহীর ব্যবসায়ীরা মাসুদ রানা বলেন, শুধু সরবরাহের ঘাটতিই নয়, পরিবহন ব্যয় ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যও নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। যার ফলে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

সাখাওয়াত হোসেন/এমএন/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।