ভারতের কিছু গণমাধ্যম বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ ইস্যুতে ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রকাশিত বাংলা গণমাধ্যমগুলোতে এ প্রবণতা বেশি। দেশটির গণমাধ্যমে বাংলাদেশি নারীদের নিয়ে ভুল তথ্যে সংবাদ প্রকাশ করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে ১৩টি ভুয়া তথ্য ছড়ানো হয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের গণমাধ্যমে এ সংবাদগুলো প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৯ মাসে নারীদের জড়িয়ে অপতথ্যের প্রচারের তালিকায় এসেছে বাংলাদেশ ও ভারতের একাধিক মূলধারার গণমাধ্যমের নাম। ১৩টি ঘটনায় দেশের গণমাধ্যমগুলোতে নারীদের জড়িয়ে ভুয়া তথ্যের প্রচার লক্ষ্য করেছে রিউমর স্ক্যানার। এসব ঘটনার প্রায় ৫৪ শতাংশই রাজনৈতিক।
আরও পড়ুন
২৫ নারী নেত্রীকে জড়িয়ে ‘গুজব’, হাসিনা-জারা-রুমিনকে নিয়ে বেশি
ডাকসু ও জাকসু নির্বাচন ইস্যুতে নারীদের জড়িয়ে যেমন ভুয়া তথ্যের প্রচার ছিল, তেমনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নারী নেত্রীদের (শেখ হাসিনা, তাসনিম জারা, সামান্তা শারমিন) জড়িয়েও ভুয়া তথ্য প্রচার করেছে গণমাধ্যমগুলো।
বাংলাদেশের নারীদের জড়িয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্তত একটি করে অপতথ্য প্রচার করেছে ভারতের মূল ধারার তিনটি সংবাদমাধ্যম। সেগুলো হলো- ইন্ডিয়া টিভি, এশিয়ানেট নিউজ ও টিভি নাইন বাংলা।
এসব অপতথ্যের কোনোটিতে মুসলিম নারীকে হিন্দু এবং মেয়েদের জন্য বাধ্যতামূলক হিজাব পরিধারের জন্য স্লোগান তোলা সংক্রান্ত দাবির মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
আবার কোনোটিতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের বাংলাদেশে চিকিৎসাসেবা দিতে এসে ভারতীয় ডাক্তারের হয়রানির শিকারের ভুয়া দাবির মাধ্যমে জাতিগত দ্বন্দ্ব তৈরির অপচেষ্টা ছিল।
এএএইচ/বিএ/এমএস
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।
এডমিন 













