০৮:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিশুদের জ্বর বাড়লেই খিঁচুনি, করণীয় জানালেন ডা. মারুফ

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০৫:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
  • 13

শিশুদের মধ্যে জ্বরজনিত খিঁচুনি একটি সাধারণ কিন্তু আতঙ্কজনক অবস্থা। অনেক সময় চোখ উল্টে যাওয়া, শরীর কাঁপা, এমনকি প্রস্রাব-পায়খানা হয়ে যাওয়ার কারণে অভিভাবকরা ভয় পেয়ে যান। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এটি সাধারণত কোনো মারাত্মক বা স্থায়ী ক্ষতির কারণ নয়।

শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মারুফ রায়হান খান বলছেন—‘জ্বরজনিত খিঁচুনি সাধারণত মস্তিষ্কে স্থায়ী কোনো ক্ষতি করে না বা মৃত্যু ঘটায় না। তবে সচেতনতা ও দ্রুত সঠিক পদক্ষেপ নেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি জানান, এই খিঁচুনি সাধারণত ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের হয়। সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকে ১৪ থেকে ১৮ মাস বয়সী শিশুরা, এবং ছেলেদের মধ্যে এ সমস্যা কিছুটা বেশি দেখা যায়। পরিবারের কারও মধ্যে একই ধরনের ইতিহাস থাকলে শিশুর ঝুঁকিও বাড়ে।

চিকিৎসকের ভাষায়, যখন শরীরের তাপমাত্রা ১০১.৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে উঠে যায়, তখনই খিঁচুনি দেখা দিতে পারে। এটি সাধারণত পুরো শরীরজুড়ে হয়, দিনে একবারই হয় এবং কয়েক সেকেন্ড থেকে সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট স্থায়ী হয়।

প্রতিকার ও করণীয়
অভিভাবকদের সবসময় খেয়াল রাখতে হবে শিশুর জ্বর বা জ্বরের ভাব আছে কি না। জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ৪ ঘণ্টা পরপর নাপা সিরাপ দিতে হবে এবং সেডিল (Sedil) ট্যাবলেট ওজন অনুযায়ী টানা ৩ দিন খাওয়াতে হবে। জ্বর বেড়ে গেলে অতিরিক্ত কাপড় বা কাঁথা সরিয়ে ফ্যান চালু করতে হবে এবং কুসুম গরম পানি দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে।

খিঁচুনি হলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। যেখানেই যান নাপা সিরাপ ও সেডিল ট্যাবলেট সঙ্গে রাখা উচিত। শিশুর ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওষুধের ডোজও পরিবর্তন হয়, তাই প্রতি ৬ মাস অন্তর চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

আগামী ১৯ অক্টোবর নেক্সটজেন ক্লিনিশিয়ান্সের উদ্যোগে চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ সেশন ‘Practical Management of Common Paediatric Problems for GPs’ পরিচালনা করবেন জনপ্রিয় চিকিৎসক ইসমত আলো। আগ্রহীরা কমেন্টে জানাতে পারেন অথবা ০১৯৩৬-৫৩৩৯৯৩ (হোয়াটসঅ্যাপ)-এ যোগাযোগ করতে পারেন।

এসইউজে/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

শিশুদের জ্বর বাড়লেই খিঁচুনি, করণীয় জানালেন ডা. মারুফ

আপডেট সময়ঃ ০৬:০৫:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

শিশুদের মধ্যে জ্বরজনিত খিঁচুনি একটি সাধারণ কিন্তু আতঙ্কজনক অবস্থা। অনেক সময় চোখ উল্টে যাওয়া, শরীর কাঁপা, এমনকি প্রস্রাব-পায়খানা হয়ে যাওয়ার কারণে অভিভাবকরা ভয় পেয়ে যান। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এটি সাধারণত কোনো মারাত্মক বা স্থায়ী ক্ষতির কারণ নয়।

শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মারুফ রায়হান খান বলছেন—‘জ্বরজনিত খিঁচুনি সাধারণত মস্তিষ্কে স্থায়ী কোনো ক্ষতি করে না বা মৃত্যু ঘটায় না। তবে সচেতনতা ও দ্রুত সঠিক পদক্ষেপ নেওয়াই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি জানান, এই খিঁচুনি সাধারণত ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের হয়। সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকে ১৪ থেকে ১৮ মাস বয়সী শিশুরা, এবং ছেলেদের মধ্যে এ সমস্যা কিছুটা বেশি দেখা যায়। পরিবারের কারও মধ্যে একই ধরনের ইতিহাস থাকলে শিশুর ঝুঁকিও বাড়ে।

চিকিৎসকের ভাষায়, যখন শরীরের তাপমাত্রা ১০১.৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে উঠে যায়, তখনই খিঁচুনি দেখা দিতে পারে। এটি সাধারণত পুরো শরীরজুড়ে হয়, দিনে একবারই হয় এবং কয়েক সেকেন্ড থেকে সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট স্থায়ী হয়।

প্রতিকার ও করণীয়
অভিভাবকদের সবসময় খেয়াল রাখতে হবে শিশুর জ্বর বা জ্বরের ভাব আছে কি না। জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ৪ ঘণ্টা পরপর নাপা সিরাপ দিতে হবে এবং সেডিল (Sedil) ট্যাবলেট ওজন অনুযায়ী টানা ৩ দিন খাওয়াতে হবে। জ্বর বেড়ে গেলে অতিরিক্ত কাপড় বা কাঁথা সরিয়ে ফ্যান চালু করতে হবে এবং কুসুম গরম পানি দিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে।

খিঁচুনি হলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। যেখানেই যান নাপা সিরাপ ও সেডিল ট্যাবলেট সঙ্গে রাখা উচিত। শিশুর ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওষুধের ডোজও পরিবর্তন হয়, তাই প্রতি ৬ মাস অন্তর চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

আগামী ১৯ অক্টোবর নেক্সটজেন ক্লিনিশিয়ান্সের উদ্যোগে চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ সেশন ‘Practical Management of Common Paediatric Problems for GPs’ পরিচালনা করবেন জনপ্রিয় চিকিৎসক ইসমত আলো। আগ্রহীরা কমেন্টে জানাতে পারেন অথবা ০১৯৩৬-৫৩৩৯৯৩ (হোয়াটসঅ্যাপ)-এ যোগাযোগ করতে পারেন।

এসইউজে/এমকেআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।