০৫:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগ

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০৪:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
  • 12

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট মো. মেজবাউল ইসলাম বলেছেন, ২০১৬ সালে দেশের ১৬টি মেডিকেল কলেজে ৩২টি ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টের পদ তৈরি হয়। কিন্তু সেই ৩২ পদের বিপরীতে এখন পর্যন্ত কোনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এই প্রক্রিয়া এখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা সরকারিভাবে দুইজনই ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট আছি। আরেকজন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক জহির উদ্দীন।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) জাগোনিউজ২৪.কম আয়োজিত ‘বিপর্যয়-জরুরি অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

jagonews24

তিনি বলেন, আমি ১৯৯৭ সালে যখন পাবনা মানসিক হাসপাতালে যোগ দেই, তখন একটি পদই ছিল। পর্যায়ক্রমে পদগুলো তৈরি হয়েছে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোগ নেয় যে, আরও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টের পদ দরকার। সেই অনুযায়ী ২০১৬ সালে ৩২টি পদ তৈরি হয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এটি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তও হয়। পদ্গুলোতে নিয়োগের জন্য সরকারি অর্ডার ইস্যু হয়। তবুও নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ এখন নিয়োগ দিতে হলে পিএসসি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন দরকার যেন বাজেট বরাদ্দ হয়। এই প্রক্রিয়া এখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে।

আরও পড়ুন
দুর্যোগের সময় একজন সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলর খুবই জরুরি
হাসপাতালে অক্সিজেন স্বল্পতা রয়েছে, এর দায় সরকারের: স্বাস্থ্যসচিব
শিশু অন্ধত্ব নিবারণে আরওপি সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
হৃদরোগের বাড়তি ঝুঁকিতে বাংলাদেশ, প্রতিরোধই প্রধান অস্ত্র

ওষুধের পাশাপাশি সাইকোথেরাপিও দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি যখন পাবনা মানসিক হাসপাতালে কাজ করি, তখন দেখি ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টের দায়িত্ব অনেক চাপের। কারণ, মানুষ এখন বুঝতে শুরু করেছে, ওষুধের পাশাপাশি কাউন্সেলিং বা সাইকোথেরাপিও দরকার। আগের তুলনায় এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়ছে। মানুষ এখন সাইকিয়াট্রিস্ট বা ডাক্তারদের মাধ্যমে বুঝছে যে, হ্যাঁ, কাউন্সেলিংও প্রয়োজন।

ওষুধ দিয়ে সব মানসিক রোগ নিরাময় করা যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাইকোথেরাপি একটি সলিউশন বা প্রপার ট্রিটমেন্ট, কারণ ওষুধ দিয়ে সব জটিলতা নিরাময় করা যায় না। একজন মানসিক রোগীর চিন্তাভাবনা, আবেগ, অনুভূতি, অ্যাডজাস্টমেন্ট, এসব সমস্যা ওষুধে পুরোপুরি সমাধান হয় না। তার চিন্তার জটিলতার জন্য সাইকোলজিক্যাল ইন্টারভেনশন প্রয়োজন, যেমন কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি। একজন রোগী যদি বুঝতে পারে তার চিন্তা ও আচরণ কীভাবে কাজ করছে, তাহলে সে নিজেই তার সমস্যাকে অনেকাংশে অতিক্রম, মোকাবিলা বা মানিয়ে নিতে সক্ষম হবে।

আরএএস/এএমএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট নিয়োগ

আপডেট সময়ঃ ১২:০৪:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট মো. মেজবাউল ইসলাম বলেছেন, ২০১৬ সালে দেশের ১৬টি মেডিকেল কলেজে ৩২টি ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টের পদ তৈরি হয়। কিন্তু সেই ৩২ পদের বিপরীতে এখন পর্যন্ত কোনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এই প্রক্রিয়া এখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা সরকারিভাবে দুইজনই ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট আছি। আরেকজন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক জহির উদ্দীন।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) জাগোনিউজ২৪.কম আয়োজিত ‘বিপর্যয়-জরুরি অবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

jagonews24

তিনি বলেন, আমি ১৯৯৭ সালে যখন পাবনা মানসিক হাসপাতালে যোগ দেই, তখন একটি পদই ছিল। পর্যায়ক্রমে পদগুলো তৈরি হয়েছে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোগ নেয় যে, আরও ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টের পদ দরকার। সেই অনুযায়ী ২০১৬ সালে ৩২টি পদ তৈরি হয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এটি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তও হয়। পদ্গুলোতে নিয়োগের জন্য সরকারি অর্ডার ইস্যু হয়। তবুও নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ এখন নিয়োগ দিতে হলে পিএসসি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন দরকার যেন বাজেট বরাদ্দ হয়। এই প্রক্রিয়া এখন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আটকে আছে।

আরও পড়ুন
দুর্যোগের সময় একজন সাইকোলজিক্যাল কাউন্সেলর খুবই জরুরি
হাসপাতালে অক্সিজেন স্বল্পতা রয়েছে, এর দায় সরকারের: স্বাস্থ্যসচিব
শিশু অন্ধত্ব নিবারণে আরওপি সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
হৃদরোগের বাড়তি ঝুঁকিতে বাংলাদেশ, প্রতিরোধই প্রধান অস্ত্র

ওষুধের পাশাপাশি সাইকোথেরাপিও দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি যখন পাবনা মানসিক হাসপাতালে কাজ করি, তখন দেখি ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টের দায়িত্ব অনেক চাপের। কারণ, মানুষ এখন বুঝতে শুরু করেছে, ওষুধের পাশাপাশি কাউন্সেলিং বা সাইকোথেরাপিও দরকার। আগের তুলনায় এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়ছে। মানুষ এখন সাইকিয়াট্রিস্ট বা ডাক্তারদের মাধ্যমে বুঝছে যে, হ্যাঁ, কাউন্সেলিংও প্রয়োজন।

ওষুধ দিয়ে সব মানসিক রোগ নিরাময় করা যায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাইকোথেরাপি একটি সলিউশন বা প্রপার ট্রিটমেন্ট, কারণ ওষুধ দিয়ে সব জটিলতা নিরাময় করা যায় না। একজন মানসিক রোগীর চিন্তাভাবনা, আবেগ, অনুভূতি, অ্যাডজাস্টমেন্ট, এসব সমস্যা ওষুধে পুরোপুরি সমাধান হয় না। তার চিন্তার জটিলতার জন্য সাইকোলজিক্যাল ইন্টারভেনশন প্রয়োজন, যেমন কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি। একজন রোগী যদি বুঝতে পারে তার চিন্তা ও আচরণ কীভাবে কাজ করছে, তাহলে সে নিজেই তার সমস্যাকে অনেকাংশে অতিক্রম, মোকাবিলা বা মানিয়ে নিতে সক্ষম হবে।

আরএএস/এএমএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।