আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ছিল এবং কোনোরকম পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার (২৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৫তম সভা শেষে ব্রিফিংকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোতে নিয়োগ ও পদায়নের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব করা হয়নি। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তিনি নির্বাচন সুষ্ঠু ও ভালোভাবে সম্পন্ন হওয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে গতকাল শনিবার তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘সবাই সংঘাতের জন্য মুখিয়ে আছেন এবং আপনারা অবশ্যই এটা অল্প কয়েক মাসের মধ্যে দেখতে পাবেন। আমি আশঙ্কা করছি, যদি এটার সঙ্গে ধর্মীয় যে দৃষ্টিকোণ, এটা যদি যুক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
আরও পড়ুন
আগের তিন নির্বাচনের কর্মকর্তাদের এবার দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা হবে
আমার ছেলে-মেয়ে সবাই দেশে, আমি একা বিদেশে গিয়ে কী করবো
মাজার-দরবারে যে হামলা হয়েছে তা যে কোনো মূল্যে বন্ধ করতে হবে
রাজনৈতিক দলগুলো আসলেই সংঘর্ষের জন্য মুখিয়ে আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনকালীন কতগুলো ঘটনা ঘটে। আমাদের দেশে স্বামী-স্ত্রী একই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। সে সময় ঘরেই ভোট ভাগাভাগি হয়ে যায়। এরকম ছোটখাটো ঘটনা ঘটতে থাকবে। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সমস্যা সমাধান করবে এবং জনগণ যদি সচেতন থাকে তাহলে নির্বাচন ভালোভাবে হবে।
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি আসেনি। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আগেও ছিল, বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাইফ জ্যাকেট পরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, এসব প্রতিরোধ শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে হবে না, সবাইকে সচেতন হতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক অসত্য, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার হয় মন্তব্য করে এসব বিভ্রান্তি দূর করতে সাংবাদিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, বর্তমানে একজন ব্যক্তির ১০টি সিম ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এটি নির্বাচনের আগে সর্বোচ্চ ৭টির মধ্যে নিয়ে আসতে পারি। এ সীমা পর্যায়ক্রমে পাঁচটি থেকে দুটিতে নিয়ে আসা হবে।
টিটি/এমকেআর/জেআইএম
এডমিন 












