রাজউকের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা তিনটি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৭৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
সোমবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এ দুটি মামলায় তিনজন সাক্ষ্য দেন। পরে বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
আজ তিন মামলার মধ্যে একটিতে দুদকের সহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আফনান জান্নাত কেয়া শেখ হাসিনাসহ ১২ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। পরে আসামিপক্ষ তাকে জেরা শুরু করলেও তা শেষ হয়নি।
আরেক মামলায় দুদকের সহকারী পরিচালক এসএম রাশেদুল হাসান ও রাজউক কর্মকর্তা তানজিলুর রহমান সাক্ষ্য দেন। ওই মামলায়ও আসামিপক্ষ তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শুরু করে শেষ করতে পারেননি।
অন্যদিকে শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা অন্য একটি মামলায় আজ কোনো সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
দুদকের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) দেলোয়ার জাহান রুমি জাগো নিউজকে বলেন, তিনটি মামলার সাক্ষ্য প্রায় শেষ পর্যায়ে। শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুটি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাদের জেরা চলছে। পুতুলের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখও নির্ধারিত আছে। আইন অনুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হলেই সাক্ষ্যগ্রহণের ধাপ শেষ হবে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এই তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। একই দিনে বিশেষ জজ আদালত-৪ বাকি তিনটি অনুরূপ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।
এর আগে গত ১ জুলাই আদালত শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জন আসামির হাজিরার জন্য গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
দুদক ২০২৫ সালের ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে ছয়টি মামলা করে। ওই বছরের ১০ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
এমডিএএ/এমকেআর/এএসএম
এডমিন 












