তুরস্কে বন্দি বিরোধী নেতা ও ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে নিয়ে প্রতিবেদন করায় ছয় সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ইস্তাম্বুলের প্রধান সরকারি কৌঁসুলির দপ্তরের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সাংবাদিকদের ডাকা হয়েছে তথাকথিত ‘ইমামোগলু অপরাধচক্র তদন্তে’ সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘জনসমক্ষে ভুয়া তথ্য প্রচার’ এবং ‘অপরাধী সংগঠনকে সহায়তা করা।’ তবে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।
তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা ইমামোগলু গত মার্চ মাস থেকে আটক রয়েছেন । দুর্নীতির অভিযোগে তাকে ও তার কয়েকজন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। এখনও পর্যন্ত তার বিচার শুরু হয়নি।
তার গ্রেফতারের পর তুরস্কজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, যা গত এক দশকের মধ্যে দেশটির সবচেয়ে বড় গণবিক্ষোভ বলে বিবেচিত হজয়।
সিএইচপির উপপ্রধান বুরহানেত্তিন বুলুত অভিযোগ করেছেন, বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশের একটি দল সাংবাদিকদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। তিনি বলেন, এটি স্পষ্টভাবে বিরোধী কণ্ঠস্বর ও স্বাধীন গণমাধ্যমকে ভয় দেখানোর প্রচেষ্টা। সরকারের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে চলছে পরিকল্পিত ‘দমন অভিযান।’
প্রসিকিউশনের তালিকায় থাকা সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন সোনার ইয়ালচিন, সাবান সেভিনচ, আসলি আইদিনতাশবাস, রুশেন চাকির, ইয়াভুজ ওঘান ও বাতুহান চোলাক। তারা সবাই ইমামোগলুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
ইমামোগলুর বিরুদ্ধে গত ২৭ অক্টোবর গুপ্তচরবৃত্তির আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’-এর ২০২৫ সালের সূচক অনুযায়ী, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় তুরস্কের অবস্থান ১৮০ দেশের মধ্যে ১৫৯তম।
সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস
কেএএ/
এডমিন 







