চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর জনসংযোগে গুলি করে ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলাকে হত্যার ঘটনায় নগরের বায়েজীদ থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় এক যুবদল নেতাসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে সরোয়ারের বাবা আবদুল কাদের নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলাটি করেছেন। মামলায় বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ এবং তার বাহিনীর কিলিং স্কোয়াডের প্রধান হিসেবে পরিচিত রায়হান আলমসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন- বোরহান উদ্দিন, নেজাম উদ্দিন, আলাউদ্দিন, মোবারক হোসেন ওরফে ইমন ও হেলাল ওরফে মাছ হেলাল।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫-১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আলাউদ্দিন ও হেলালকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এদের মধ্যে আলাউদ্দিন নগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি ও হেলাল যুবদলকর্মী বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহারে সরোয়ারের বাবা অভিযোগ করেছেন, বিদেশে পলাতক সাজ্জাদ আলী দীর্ঘদিন ধরে সরোয়ার হোসেন বাবলাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। সর্বশেষ গত রোববার (২ নভেম্বর) সরোয়ারকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বলেন, ‘সময় শেষ, যা খাওয়ার খেয়ে নে’।
গত বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়া সরোয়ারকে সরাসরি পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। সাজ্জাদের নির্দেশে তার অনুসারীরা পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে র্যাবের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ শুক্রবার সকালে নগরীর চান্দগাঁও থানার হাজীরপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে আলাউদ্দিন ও হেলালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বাসা ওই এলাকায়। উভয়ে বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদের বাহিনীর সদস্য বলে জানান র্যাব।
এমআরএএইচ/এমএএইচ/এএসএম
এডমিন 






