০২:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাহবাগ থেকে আটক প্রাথমিকের ৫ শিক্ষকের মুক্তি দাবি

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০১:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • 1

তিন দফা দাবিতে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের চলমান কর্মসূচি থেকে পাঁচজন শিক্ষককে পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। অবিলম্বে আটকদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’র পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, শাহবাগ থেকে আটক শিক্ষকরা হলেন- জয়পুরহাটের সহকারী শিক্ষক ও সরকারি প্রাথ‌মিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় প‌রিষদের সমন্বয়ক মু. মাহবুবুর রহমান, পটুয়াখালীর লিটন মিয়া, জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের আব্দুল কাদের, ধামরাইয়ের শরিফুল ইসলাম ও কুমিল্লার মো. সোহেল।

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ রাত ১১টার দিকে জাগো নিউজকে বলেন, ‘মাহবুবুর রহমানসহ পাঁচজন শিক্ষককে আটক করে শাহবাগ থানায় রাখা হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তাদের মুক্তির জন্য আমরা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছি। এনসিপি নেতাদের পক্ষ থেকেও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে এখনও তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে পাঁচজন শিক্ষকের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। অন্যায়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে যদি কোনো মামলা দেওয়া হয়, তাহলে শিক্ষকসমাজ তা মেনে নেবে না।’ শিক্ষকদের ওপর হামলা চালিয়ে আবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হলে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেবেন বলেও হুঁশিয়ার করেন শিক্ষক নেতা শামছুদ্দীন মাসুদ।

তবে বিষয়টি নিয়ে শাহবাগ থানা পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী-শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তিন দফা দাবিতে লাগাতর অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। দুপুর পর্যন্ত অবস্থানের পর বিকেল সাড়ে ৩টায় তারা পদযাত্রা নিয়ে শাহবাগ মোড়ের দিকে যান।

তবে মোড়ে যাওয়ার আগেই তাদের সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে শিক্ষক-পুলিশ মুখোমুখি অবস্থান নেন। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে হঠাৎ শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন শিক্ষকরা।

এ ঘটনায় শিক্ষক নেত্রী ও শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপিসহ শতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে আহত সবার নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি শিক্ষক নেতারা।

সহকারী শিক্ষকদের ৩ দফা দাবিগুলো হলো—দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ বছর ও ১৬ বছরপূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা সাড়ে ৬৫ হাজারের বেশি। এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক সংখ্যা তিন লাখ ৮৪ হাজার। গত ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে দশম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে থাকা শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। তবে এ পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নন সহকারী শিক্ষকরা।

এএএইচ/এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

শাহবাগ থেকে আটক প্রাথমিকের ৫ শিক্ষকের মুক্তি দাবি

আপডেট সময়ঃ ০৬:০১:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

তিন দফা দাবিতে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের চলমান কর্মসূচি থেকে পাঁচজন শিক্ষককে পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। অবিলম্বে আটকদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

শনিবার (৮ নভেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’র পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, শাহবাগ থেকে আটক শিক্ষকরা হলেন- জয়পুরহাটের সহকারী শিক্ষক ও সরকারি প্রাথ‌মিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় প‌রিষদের সমন্বয়ক মু. মাহবুবুর রহমান, পটুয়াখালীর লিটন মিয়া, জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের আব্দুল কাদের, ধামরাইয়ের শরিফুল ইসলাম ও কুমিল্লার মো. সোহেল।

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম নেতা ও বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ রাত ১১টার দিকে জাগো নিউজকে বলেন, ‘মাহবুবুর রহমানসহ পাঁচজন শিক্ষককে আটক করে শাহবাগ থানায় রাখা হয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তাদের মুক্তির জন্য আমরা পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছি। এনসিপি নেতাদের পক্ষ থেকেও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে এখনও তাদের মুক্তি দেওয়া হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে পাঁচজন শিক্ষকের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। অন্যায়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে যদি কোনো মামলা দেওয়া হয়, তাহলে শিক্ষকসমাজ তা মেনে নেবে না।’ শিক্ষকদের ওপর হামলা চালিয়ে আবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হলে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেবেন বলেও হুঁশিয়ার করেন শিক্ষক নেতা শামছুদ্দীন মাসুদ।

তবে বিষয়টি নিয়ে শাহবাগ থানা পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী-শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তিন দফা দাবিতে লাগাতর অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। দুপুর পর্যন্ত অবস্থানের পর বিকেল সাড়ে ৩টায় তারা পদযাত্রা নিয়ে শাহবাগ মোড়ের দিকে যান।

তবে মোড়ে যাওয়ার আগেই তাদের সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে শিক্ষক-পুলিশ মুখোমুখি অবস্থান নেন। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে হঠাৎ শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও জলকামান নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েন শিক্ষকরা।

এ ঘটনায় শিক্ষক নেত্রী ও শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপিসহ শতাধিক শিক্ষক আহত হয়েছে বলে দাবি করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে আহত সবার নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি শিক্ষক নেতারা।

সহকারী শিক্ষকদের ৩ দফা দাবিগুলো হলো—দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ বছর ও ১৬ বছরপূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা সাড়ে ৬৫ হাজারের বেশি। এসব বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক সংখ্যা তিন লাখ ৮৪ হাজার। গত ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে দশম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে থাকা শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়। তবে এ পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নন সহকারী শিক্ষকরা।

এএএইচ/এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।