০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এম এন লারমার জীবন: আত্মত্যাগের এক অনন্য দলিল

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০৪:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
  • 1

১৯৬০

৭০-এর
দশকে
লারমা
ভ্রাতৃদ্বয়ের
আন্দোলন
তাঁদের
রাজনৈতিক
নেতৃত্বে
পরিণত
করে।
এম
এন
লারমা
১৯৭০
সালে
পূর্ব
পাকিস্তান
প্রাদেশিক
পরিষদে
সদস্য
নির্বাচিত
হন।
১৯৭২
সালের
১৫
ফেব্রুয়ারি
তৎকালীন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ
মুজিবুর
রহমানের
কাছে
চার
দফাসংবলিত
আঞ্চলিক
স্বায়ত্তশাসনের
দাবিনামা
পেশ
করেন।

১৯৭২
সালে
যখন
সংবিধান
সব
নাগরিককে
‘বাঙালি’
হিসেবে
সংজ্ঞায়িত
করে,
সাংস্কৃতিক
বৈচিত্র্য
অস্বীকার
করে,
তখন
এম
এন
লারমা
এর
প্রতিবাদস্বরূপ
গণপরিষদ
থেকে
ওয়াকআউট
করেন।
বাংলাদেশ
গণপরিষদ
বিতর্কের
সময়
তিনি
বলেছিলেন,
‘আমি
যে
অঞ্চল
থেকে
এসেছি,
সেই
পার্বত্য
চট্টগ্রামের
অধিবাসীরা
যুগ
যুগ
ধরে
বাংলাদেশে
বাস
করে
আসছে।
বাংলাদেশের
বাংলা
ভাষায়
বাঙালিদের
সঙ্গে
লেখাপড়া
শিখে
আসছি।
বাংলাদেশের
সঙ্গে
আমরা
ওতপ্রোতভাবে
জড়িত।…কিন্তু
আমি
একজন
চাকমা।
আমার
বাপ,
দাদা
চৌদ্দপুরুষ—কেউ
বলে
নাই,
আমি
বাঙালি।’

তিনি
আরও
বলেছিলেন,
‘পার্বত্য
চট্টগ্রামে
আমরা
দশটি
ছোট
ছোট
জাতি
বাস
করি।
চাকমা,
মগ
(মারমা),
ত্রিপুরা,
লুসাই,
বোম,
পাংখো,
খুমি,
খিয়াং,
মুরং

চাক—এই
দশ
ছোট
ছোট
জাতি
সবাই
মিলে
আমরা
নিজেদের
“পাহাড়ি”
বা
“জুম্ম
জাতি”
বলি।’

এম
এন
লারমা
শুধু
পার্বত্য
অঞ্চলের
বিভিন্ন
জাতিসত্তার
অধিকারের
কথাই
বলেননি।
গণপরিষদ
বিতর্কের
সময়
তিনি
দেশের
মাঝিমাল্লা,
জেলে,
প্রান্তিক
কৃষক,
রিকশাচালক,
কলকারখানার
শ্রমিক,
নারী
থেকে
শুরু
করে
সব
প্রান্তিকের
মানুষের
অধিকারের
কথা
তুলে
ধরেছিলেন
এবং
সংবিধানে
তাঁদের
অধিকার
নিশ্চিত
করার
দাবি
জানিয়েছিলেন।

১৯৭২
সালে
তিনি
পাহাড়ের
রাজনৈতিক
সংগঠন
পার্বত্য
চট্টগ্রাম
জনসংহতি
সমিতি
প্রতিষ্ঠা
করেন।
পরবর্তী
সময়
তিনি
১৯৭৩
সালে
বাংলাদেশের
প্রথম
জাতীয়
সংসদে
পার্বত্য
চট্টগ্রামের
প্রতিনিধি
নির্বাচিত
হন।
একই
বছর
তিনি
জনসংহতি
সমিতির
সভাপতির
দায়িত্ব
গ্রহণ
করেন।
তিনি
পাহাড়ের
জাতিসত্তাগুলোর
আন্দোলনে
দ্বন্দ্বমূলক
বস্তুবাদের
ধারণা
যুক্ত
করেন,
যা
ছিল
বিশ্বব্যাপী
খেটে
খাওয়া
মানুষের
অধিকার
প্রতিষ্ঠার
ক্ষেত্রে
সংগ্রামের
একটি
দার্শনিক
ভিত্তি।

তিনি
পাহাড়ে
আদিবাসী
সমাজে
শ্রেণি
বিশ্লেষণের
দ্বারা
রাজনৈতিক
রণনীতি

রণকৌশল
নির্ধারণ
করেছিলেন,
যাতে
অধিকার
আদায়ের
আন্দোলনে
শত্রু–মিত্র
চিহ্নিত
করা
যায়।
১৯৭৫
সালের
সামরিক
অভ্যুত্থানের
পর
তাঁকে
আত্মগোপনে
চলে
যেতে
হয়।
১৯৭৭

১৯৮২
সালের
জাতীয়
সম্মেলনে
তিনি
জনসংহতি
সমিতির
সভাপতি
নির্বাচিত
হন।
১৯৮৩
সালের
১০
নভেম্বর
তিনি
বিশ্বাসঘাতকতার
শিকার
হয়ে
নিহত
হন,
কিন্তু
মৃত্যু
হলেও
তাঁর
রাজনৈতিক
আদর্শ
অমরত্ব
পেয়ে
যায়।

ট্যাগঃ

এম এন লারমার জীবন: আত্মত্যাগের এক অনন্য দলিল

আপডেট সময়ঃ ১২:০৪:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫

১৯৬০

৭০-এর
দশকে
লারমা
ভ্রাতৃদ্বয়ের
আন্দোলন
তাঁদের
রাজনৈতিক
নেতৃত্বে
পরিণত
করে।
এম
এন
লারমা
১৯৭০
সালে
পূর্ব
পাকিস্তান
প্রাদেশিক
পরিষদে
সদস্য
নির্বাচিত
হন।
১৯৭২
সালের
১৫
ফেব্রুয়ারি
তৎকালীন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ
মুজিবুর
রহমানের
কাছে
চার
দফাসংবলিত
আঞ্চলিক
স্বায়ত্তশাসনের
দাবিনামা
পেশ
করেন।

১৯৭২
সালে
যখন
সংবিধান
সব
নাগরিককে
‘বাঙালি’
হিসেবে
সংজ্ঞায়িত
করে,
সাংস্কৃতিক
বৈচিত্র্য
অস্বীকার
করে,
তখন
এম
এন
লারমা
এর
প্রতিবাদস্বরূপ
গণপরিষদ
থেকে
ওয়াকআউট
করেন।
বাংলাদেশ
গণপরিষদ
বিতর্কের
সময়
তিনি
বলেছিলেন,
‘আমি
যে
অঞ্চল
থেকে
এসেছি,
সেই
পার্বত্য
চট্টগ্রামের
অধিবাসীরা
যুগ
যুগ
ধরে
বাংলাদেশে
বাস
করে
আসছে।
বাংলাদেশের
বাংলা
ভাষায়
বাঙালিদের
সঙ্গে
লেখাপড়া
শিখে
আসছি।
বাংলাদেশের
সঙ্গে
আমরা
ওতপ্রোতভাবে
জড়িত।…কিন্তু
আমি
একজন
চাকমা।
আমার
বাপ,
দাদা
চৌদ্দপুরুষ—কেউ
বলে
নাই,
আমি
বাঙালি।’

তিনি
আরও
বলেছিলেন,
‘পার্বত্য
চট্টগ্রামে
আমরা
দশটি
ছোট
ছোট
জাতি
বাস
করি।
চাকমা,
মগ
(মারমা),
ত্রিপুরা,
লুসাই,
বোম,
পাংখো,
খুমি,
খিয়াং,
মুরং

চাক—এই
দশ
ছোট
ছোট
জাতি
সবাই
মিলে
আমরা
নিজেদের
“পাহাড়ি”
বা
“জুম্ম
জাতি”
বলি।’

এম
এন
লারমা
শুধু
পার্বত্য
অঞ্চলের
বিভিন্ন
জাতিসত্তার
অধিকারের
কথাই
বলেননি।
গণপরিষদ
বিতর্কের
সময়
তিনি
দেশের
মাঝিমাল্লা,
জেলে,
প্রান্তিক
কৃষক,
রিকশাচালক,
কলকারখানার
শ্রমিক,
নারী
থেকে
শুরু
করে
সব
প্রান্তিকের
মানুষের
অধিকারের
কথা
তুলে
ধরেছিলেন
এবং
সংবিধানে
তাঁদের
অধিকার
নিশ্চিত
করার
দাবি
জানিয়েছিলেন।

১৯৭২
সালে
তিনি
পাহাড়ের
রাজনৈতিক
সংগঠন
পার্বত্য
চট্টগ্রাম
জনসংহতি
সমিতি
প্রতিষ্ঠা
করেন।
পরবর্তী
সময়
তিনি
১৯৭৩
সালে
বাংলাদেশের
প্রথম
জাতীয়
সংসদে
পার্বত্য
চট্টগ্রামের
প্রতিনিধি
নির্বাচিত
হন।
একই
বছর
তিনি
জনসংহতি
সমিতির
সভাপতির
দায়িত্ব
গ্রহণ
করেন।
তিনি
পাহাড়ের
জাতিসত্তাগুলোর
আন্দোলনে
দ্বন্দ্বমূলক
বস্তুবাদের
ধারণা
যুক্ত
করেন,
যা
ছিল
বিশ্বব্যাপী
খেটে
খাওয়া
মানুষের
অধিকার
প্রতিষ্ঠার
ক্ষেত্রে
সংগ্রামের
একটি
দার্শনিক
ভিত্তি।

তিনি
পাহাড়ে
আদিবাসী
সমাজে
শ্রেণি
বিশ্লেষণের
দ্বারা
রাজনৈতিক
রণনীতি

রণকৌশল
নির্ধারণ
করেছিলেন,
যাতে
অধিকার
আদায়ের
আন্দোলনে
শত্রু–মিত্র
চিহ্নিত
করা
যায়।
১৯৭৫
সালের
সামরিক
অভ্যুত্থানের
পর
তাঁকে
আত্মগোপনে
চলে
যেতে
হয়।
১৯৭৭

১৯৮২
সালের
জাতীয়
সম্মেলনে
তিনি
জনসংহতি
সমিতির
সভাপতি
নির্বাচিত
হন।
১৯৮৩
সালের
১০
নভেম্বর
তিনি
বিশ্বাসঘাতকতার
শিকার
হয়ে
নিহত
হন,
কিন্তু
মৃত্যু
হলেও
তাঁর
রাজনৈতিক
আদর্শ
অমরত্ব
পেয়ে
যায়।