সৈয়দ
মনজুরুল
ইসলাম
স্যার
আমার
সতীর্থ
ছিলেন
দুটো
প্রতিষ্ঠানে।
সিলেট
এমসি
কলেজ
ও
কানাডার
কুইন্স
ইউনিভার্সিটি।
আমরা
জন্মেছিলামও
একই
অঞ্চলে।
সিলেটে।
কিন্তু
এসব
তথ্যের
ভেতর
দিয়ে
আমি
নিজেকে
কোনোভাবেই
কোনো
দিক
থেকেই
তাঁর
সমকক্ষ
ভাবতে
পারিনি।
ফলে
তাঁর
প্রতি
আমার
সব
সময়
একধরনের
সম্ভ্রমমাখা
ভীতি
কাজ
করত।
তিনি
সব
সময়
গম্ভীর
ও
সৌম্য
একটি
ভাব
নিজের
ভেতর
বজায়
রাখতেন।
এই
আপাত
ভাবটিও
ভয়ের
অন্যতম
উৎস
হয়তো
ছিল।
সৈয়দ
মনজুরুল
ইসলামের
সঙ্গে
প্রথম
কবে,
কোথায়
পরিচয়
হয়,
তা
ঠিক
মনে
নেই।
প্রথম
প্রীতিময়
সম্পর্ক
তৈরি
হয়
একটি
বই
বিনিময়ের
মাধ্যমে।
সেই
সাল
ও
ক্ষণটি
আমার
এখনো
স্পষ্ট
মনে
আছে।
১৯৯৬
সালে
বাংলা
একাডেমির
তরুণ
লেখক
প্রকল্প
থেকে
প্রকাশিত
হয়
আমার
প্রথম
কাব্যগ্রন্থ
‘কাঠ
চেরাইয়ের
শব্দ’।
বইটি
প্রকাশের
পর
সে
সময়ের
তরুণ
পাঠক
সমাজে
খানিকটা
আলাপের
জন্ম
দেয়।
আমার
ইচ্ছা
হয়
মহাজনদেরও
মতামত
জানার।
সেই
বাসনা
থেকে
এক
দুপুরে
স্যারের
কাছে
উপস্থিত
হই।
স্যার
স্বভাবসুলভভাবে
সিলেটি
হিসেবেই
আমাকে
গ্রহণ
করেন
এবং
আঞ্চলিক
ভাষায়
মৃদুমন্দ
আলাপ
শুরু
করেন।
কিছুক্ষণ
পর
আমি
আমার
বইটি
বের
করে
স্যারের
হাতে
দিই।
স্যার
খুবই
আগ্রহের
সঙ্গে
বইটি
গ্রহণ
করতে
করতে
বলেন,
‘বইটির
কথা
আমি
আগেই
শুনেছি।
সংগ্রহের
অপেক্ষায়
ছিলাম।’
তাঁর
এই
ছোট্ট
‘সংগ্রহের
অপেক্ষায়
ছিলাম’
বাক্যটি
আমাকে
উদ্বেলিত
করে।
আনন্দিত
করে।
এত
বড়
একজন
লেখক
একটি
সদ্য
তরুণ
বইয়ের
খোঁজ
রেখেছেন
এবং
সংগ্রহের
অপেক্ষায়
ছিলেন,
এটি
আমার
জন্য
ও
সবার
জন্যই
একটি
দারুণ
বার্তা
ছিল।
স্যার
সত্যিকার
অর্থেই
তরুণদের
লেখার
খোঁজখবর
রাখতেন।
পরে
বিভিন্ন
আসরে
একান্তে
নানা
আলাপে
তাঁর
প্রমাণ
পেয়েছি।
তিনি
একসময়
তাঁর
অনেক
জুনিয়র
লেখক
ব্রাত্য
রাইসুর
সঙ্গে
মিলে
যৌথ
উপন্যাস
লিখেছেন।
এ
নিয়ে
সে
সময়
তরুণ
সাহিত্য
সমাজে
ব্যাপক
আলোচনা-সমালোচনা
তৈরি
হয়েছিল।
স্যার
এ
প্রসঙ্গে
আমাকে
বলেছিলেন,
‘লেখাটি
কেমন
হয়েছে
বলো।’
আমি
বলেছিলাম,
‘নিরীক্ষা
হিসেবে
বেশ।’
‘কমলকুমারের
নিরীক্ষার
সমতুল্য
নয়
নিশ্চয়ই’
বলে
মৃদু
হেসেছিলেন।
এডমিন 










