১২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ক্যানসার

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০১:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • 0

দিন
অতিবাহিত
হতে
থাকলেও
দিনের
দৈর্ঘ্য
ক্রমেই
বেড়ে
যাচ্ছে
দেবেশের,
সুস্থ
মানুষের
মতো
কোনো
পরিকল্পনা
তার
মাথায়
আর
বাসা
বাঁধে
না।
উন্মাদের
চরিত্রে
অভিনয়
করতে
করতে
সে
নিজেকে
প্রকৃত
জ্ঞানশূন্য
ভাবতে
শুরু
করেছে।
তবু
অবচেতনে
দেশ,
স্ত্রী

সন্তান
তাকে
ফিরিয়ে
নিতে
হাতছানি
দিলে
সে
নিরুপায়,
ফেরার
বৈধতা
সে
তো
হারিয়েছে।
পথ
এখন
গহিন,
বিএসএফের
গুলিতে
বিদীর্ণ
হয়ে
যাওয়ার
ভয়
নিয়ে
রাতের
অন্ধকারে
সাতক্ষীরার
ইছামতী
নদী
সাঁতরে
দেশে
ফেরার
পথে
ঝাঁপিয়ে
যে
পড়বে;
কী–ই
বা
করবে
দেশে
ফিরে,
বরং
পাগলবেশে
কালাতিপাত
করে
গুপ্তচরের
মতো
কোনো
জীবিকার
সন্ধান
করে
অর্থনৈতিকভাবে
স্বাবলম্বী
হলে
দালাল
ধরে
ভারতীয়
পাসপোর্ট
করে
সম্মানিত
ভারতীয়
নাগরিক
হয়ে
পেট্রোপল-বেনাপোল
পার
হয়ে
দেশে
গিয়ে
স্ত্রী-সন্তানদের
নিয়ে
আবার
ফিরে
আসবে
ভারতে।
বোলপুরে
জমি
কিনবে,
শান্তিনিকেতনের
হাওয়ায়
সন্তানদের
ফুসফুস
ফুলিয়ে
রাখবে।

রাত
হলে
স্টেশনের
প্ল্যাটফর্মের
নির্জনে
কোনো
একটা
মোটা
থামের
আড়ালে
ফ্রি
ওয়াইফাই
জোনের
সুবিধা
নিয়ে
তার
জীর্ণ
ঝুলির
ভেতর
থেকে
মুঠোফোন
বের
করে
পরিচিতজনদের
সাথে
বার্তা
বিনিময়
করে,
কাজের
সন্ধান
করে।
ইউটিউবে
দেশের
খবর
জানে।
হোয়াটসঅ্যাপের
মেসেজ
বক্সে
দেখতে
পায়
দুদিন
আগের
পাঠানো
দীপিকার
বার্তা,
‘বড়
মণির
এক
সপ্তাহ
ধরে
জ্বর,
কিছুতেই
সারছে
না।
বাজারের
পঙ্কজ
ডাক্তারের
ওষুধ
খাওয়াইছি,
কোনো
গতি
হচ্ছে
না।
ছেলে
নেতায়ে
পড়ছে
দিন
দিন…সদরে
নিয়ে
যাব,
হাতে
তেমন
টাকাও
নেই।’

দীপিকার
পাঠানো
বার্তায়
দেবেশের
হৃদয়
কম্পিত
হয়,
উন্মাদের
আবরণ
থেকে
বের
হয়ে
আসতে
চায়
তার
পিতৃত্ব;
দৌড়ে
শিয়ালদহ
গিয়ে
বনগাঁ
লোকালে
চড়ে
ইমিগ্রেশন
পার
হয়ে
সুধাসুন্দরে
ফিরে
জরাক্রান্ত
সন্তানের
মাথার
কাছে
পাখির
ডিমের
মতো
দুটো
গরম
রসমালাই
নিয়ে
বসে
থাকতে
তার
সাধ
হয়।
কিন্তু
বিষণ্নতা
তাকে
জাপটে
ধরে,
যেন
তার
হাতে–পায়ে
লোহার
বেড়ি!
আন্দামানের
জেলে
সে
বন্দী
হয়ে
আছে।

ভারাক্রান্ত
দেবেশের
চোখের
পাতা
ভারী
হয়ে
ঘুম
আসতে
চায়,
স্টেশনে
আসা-যাওয়া
করা
ট্রেনের
হুইসেলে
চোখের
ক্লান্ত
পাতারা
পরস্পর
মিলিত
হতে
চেয়েও
পারে
না।
কিন্তু
ঘন-আঠালো
ঝিমুনি
তার
চোখ
ছেড়ে
যায়
না,
ঘুমাচ্ছন্নতায়
ঘোর
আসে।
ঘোরের
মধ্যে
সে
দেখতে
পায়,
নির্জন
প্ল্যাটফর্মের
মৃদু
আলোর
ভেতর
দিয়ে
অন্ধকারের
পর্দা
সরিয়ে
সরিয়ে
একটা
বালক
এগিয়ে
আসছে
তার
দিকে।
বালকের
হাতে
একটা
পাখির
খাঁচা।
খাঁচায়
গোলাপি
রঙের
একটি
ছোট্ট
পাখি।
পাখিটি
অচেনা,
কোনো
দিন
গোলাপি
রঙের
পাখি
দেখেনি
সে;
আর
ততটাই
ক্ষুদ্র
সে
পাখি।
চড়ুই,
টুনটুনি
বা
কাকটুনটুনির
চেয়েও
ছোট।
ছোটবেলায়
একবার
পাখির
ডিম
পারতে
গিয়ে
অসচেতনতায়
ভাঁটপাতায়
নকশিকাঁথার
সেলাইয়ের
মতো
বাঁধা
একটা
টুনটুনি
পাখির
বাসা
ভেঙে
ফেলে
দেবেশ,
সম্পূর্ণ
উড়তে
না
জানা
টুনটুনির
এক
ছোট্ট
বাচ্চা
সেই
বাসা
থেকে
ধপাস
পড়ে
যায়।
দেবেশ
বাচ্চা
টুনটুনিটিকে
ধরার
অভিপ্রায়ে
অগ্রসর
হলে,
বাচ্চা
টুনটুনিটা
সংক্ষিপ্ত
উড়াল
দেয়।
দেবেশ
আরেকটু
এগোয়,
বাচ্চা
টুনটুনি
আবারও
উড়াল
দেয়।
আবারও
দেবেশের
নীরব
পদক্ষেপ,
আবারও
উড়াল,
পাখিটির
পেছনে
পেছনে
সারা
দিন,
সূর্যেরও
পরিক্রমা
অন্তে;
দেবেশ
বুঝতে
পারে,
পাখিটির
পেছনে
ছুটতে
ছুটতে
সে
এক
গহিন
জঙ্গলের
ভেতরে
চলে
এসেছে।
এমন
ঘন-গহিন
জঙ্গল
তাদের
গ্রামে
বা
আশপাশে
দেখেনি
কোনো
দিন।
দিনালোক
অবসান
হতে
থাকলে
বালক
দেবেশ
বাড়িতে
ফেরার
জন্য
উদগ্রীব
হয়।
কিন্তু
কোন
পথে
ফিরবে,
সেই
পথ
আবিষ্কার
করতে
পারে
না।
সারা
দিন
পাখিটির
পেছনে
দৌড়ে
দৌড়ে
ক্লান্ত
এবং
দিনান্তে
বাড়িতে
ফেরার
পথ
নির্ণয়ে
অপারগতা

ভয়ে
আক্রান্ত
দেবেশ,
জঙ্গলের
একটা
সুউচ্চ
গাছের
গুড়িতে
হেলিয়ে
বসে।
তখনো
গোধূলির
শেষ
সূর্যরেখার
মোলায়েম
আভা
জঙ্গলের
ঘন
বৃক্ষলতার
ঝালর
কেটে
এসে
পড়ছে
দেবেশের
মুখে।
ক্লান্তিতে
তার
ঝিমুনি
আসে।
আচম্বিতে
অনুভূত
হয়,
তার
ডান
কাঁধের
ওপরে
একটা
ছোট্ট
পাখি
এসে
বসেছে।

তো
সেই
ছোট্ট
টুনটুনি,
সারা
দিন
যাকে
আয়ত্তে
আনার
জন্য
হয়রান
হয়েছে।
পাখিটি,
স্বেচ্ছায়
এসে
তারই
কাঁধের
ওপর
অবতরণ
করেছে।
ছোট্ট
পাখি,
অতিকায়
ক্ষুদ্রতর
বাচ্চা
পাখিটিকে
দুহাতে
ক্রোড়ে
আলতো
করে
জড়িয়ে
ধরে
এবং
অনাবিল
আদরে
পাখিটিকে
ভালোবাসতে
থাকে।
পাখিটির
শরীরে
আঙুল
বোলাতে
বোলাতে
সে
আবিষ্কার
করে,
পাখিটির
গায়ের
রং
বদলে
যাচ্ছে।
গোলাপি,
লাল,
হলুদ,
বেগুনি—নানা
বর্ণিলতায়
পাখিটির
বিচিত্র
মূর্তি
দেবেশকে
বিহ্বল
করে।
পাখিটি
ধীরে
ধীরে
ডানা
ঝাপটায়
আর
ডানা
ক্রমেই
বড়
হতে
থাকে,
বড়
হতে
হতে
বিরাটাকার।
তারপর
পাখিটি
তার
বিরাট
ডানা
দেবেশের
দিকে
প্রসারিত
করে,
দেবেশ
সেই
বিরাটাকার
ডানায়
চড়ে
বসে।
পাখিটি
সন্ধ্যার
অন্ধকারে
উড়াল
দিয়ে
সাত
সমুদ্র
তেরো
নদী
পাড়ি
দিয়ে
মুহূর্তেই
দেবেশকে
তাদের
বাড়ির
উঠোনে
পৌঁছে
দেয়।

প্ল্যাটফর্মের
নির্জনে
দেবেশ
তার
ঝিমুনির
মধ্যে
চিনতে
পারে,
পাখির
খাঁচা
হাতে
বালকটি
তারই
জ্বরাক্রান্ত
বড়
পুত্র
অরিজিৎ
আর
তার
হাতের
খাঁচার
মধ্যে
গোলাপি
রঙের
ছোট্ট
একটা
পাখি।
অরিজিৎ
বলে,
‘বাবা,
বাড়ি
যাবা
না?
তোমারে
নিতে
আইছি,
এই
পাখির
ডানায়
উঠে
বসো।
তোমারে
নিয়ে
বাড়ি
ফিরে
যাই।’

‘এতটুকু
পাখির
ডানায়
কীভাবে
চড়ব
রে,
মণি…?’

খুব
চড়া
যাবে,
একটা
ডানায়
তুমি,
অন্যটায়
আমি।
মা
আমাদের
একসাথে
দেখলে
খুব
খুশি
হবে।

ট্যাগঃ

রাকসু তহবিলের ২২ বছরের টাকার হিসাব নেই রাবি প্রশাসনের কাছে

ক্যানসার

আপডেট সময়ঃ ১২:০১:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

দিন
অতিবাহিত
হতে
থাকলেও
দিনের
দৈর্ঘ্য
ক্রমেই
বেড়ে
যাচ্ছে
দেবেশের,
সুস্থ
মানুষের
মতো
কোনো
পরিকল্পনা
তার
মাথায়
আর
বাসা
বাঁধে
না।
উন্মাদের
চরিত্রে
অভিনয়
করতে
করতে
সে
নিজেকে
প্রকৃত
জ্ঞানশূন্য
ভাবতে
শুরু
করেছে।
তবু
অবচেতনে
দেশ,
স্ত্রী

সন্তান
তাকে
ফিরিয়ে
নিতে
হাতছানি
দিলে
সে
নিরুপায়,
ফেরার
বৈধতা
সে
তো
হারিয়েছে।
পথ
এখন
গহিন,
বিএসএফের
গুলিতে
বিদীর্ণ
হয়ে
যাওয়ার
ভয়
নিয়ে
রাতের
অন্ধকারে
সাতক্ষীরার
ইছামতী
নদী
সাঁতরে
দেশে
ফেরার
পথে
ঝাঁপিয়ে
যে
পড়বে;
কী–ই
বা
করবে
দেশে
ফিরে,
বরং
পাগলবেশে
কালাতিপাত
করে
গুপ্তচরের
মতো
কোনো
জীবিকার
সন্ধান
করে
অর্থনৈতিকভাবে
স্বাবলম্বী
হলে
দালাল
ধরে
ভারতীয়
পাসপোর্ট
করে
সম্মানিত
ভারতীয়
নাগরিক
হয়ে
পেট্রোপল-বেনাপোল
পার
হয়ে
দেশে
গিয়ে
স্ত্রী-সন্তানদের
নিয়ে
আবার
ফিরে
আসবে
ভারতে।
বোলপুরে
জমি
কিনবে,
শান্তিনিকেতনের
হাওয়ায়
সন্তানদের
ফুসফুস
ফুলিয়ে
রাখবে।

রাত
হলে
স্টেশনের
প্ল্যাটফর্মের
নির্জনে
কোনো
একটা
মোটা
থামের
আড়ালে
ফ্রি
ওয়াইফাই
জোনের
সুবিধা
নিয়ে
তার
জীর্ণ
ঝুলির
ভেতর
থেকে
মুঠোফোন
বের
করে
পরিচিতজনদের
সাথে
বার্তা
বিনিময়
করে,
কাজের
সন্ধান
করে।
ইউটিউবে
দেশের
খবর
জানে।
হোয়াটসঅ্যাপের
মেসেজ
বক্সে
দেখতে
পায়
দুদিন
আগের
পাঠানো
দীপিকার
বার্তা,
‘বড়
মণির
এক
সপ্তাহ
ধরে
জ্বর,
কিছুতেই
সারছে
না।
বাজারের
পঙ্কজ
ডাক্তারের
ওষুধ
খাওয়াইছি,
কোনো
গতি
হচ্ছে
না।
ছেলে
নেতায়ে
পড়ছে
দিন
দিন…সদরে
নিয়ে
যাব,
হাতে
তেমন
টাকাও
নেই।’

দীপিকার
পাঠানো
বার্তায়
দেবেশের
হৃদয়
কম্পিত
হয়,
উন্মাদের
আবরণ
থেকে
বের
হয়ে
আসতে
চায়
তার
পিতৃত্ব;
দৌড়ে
শিয়ালদহ
গিয়ে
বনগাঁ
লোকালে
চড়ে
ইমিগ্রেশন
পার
হয়ে
সুধাসুন্দরে
ফিরে
জরাক্রান্ত
সন্তানের
মাথার
কাছে
পাখির
ডিমের
মতো
দুটো
গরম
রসমালাই
নিয়ে
বসে
থাকতে
তার
সাধ
হয়।
কিন্তু
বিষণ্নতা
তাকে
জাপটে
ধরে,
যেন
তার
হাতে–পায়ে
লোহার
বেড়ি!
আন্দামানের
জেলে
সে
বন্দী
হয়ে
আছে।

ভারাক্রান্ত
দেবেশের
চোখের
পাতা
ভারী
হয়ে
ঘুম
আসতে
চায়,
স্টেশনে
আসা-যাওয়া
করা
ট্রেনের
হুইসেলে
চোখের
ক্লান্ত
পাতারা
পরস্পর
মিলিত
হতে
চেয়েও
পারে
না।
কিন্তু
ঘন-আঠালো
ঝিমুনি
তার
চোখ
ছেড়ে
যায়
না,
ঘুমাচ্ছন্নতায়
ঘোর
আসে।
ঘোরের
মধ্যে
সে
দেখতে
পায়,
নির্জন
প্ল্যাটফর্মের
মৃদু
আলোর
ভেতর
দিয়ে
অন্ধকারের
পর্দা
সরিয়ে
সরিয়ে
একটা
বালক
এগিয়ে
আসছে
তার
দিকে।
বালকের
হাতে
একটা
পাখির
খাঁচা।
খাঁচায়
গোলাপি
রঙের
একটি
ছোট্ট
পাখি।
পাখিটি
অচেনা,
কোনো
দিন
গোলাপি
রঙের
পাখি
দেখেনি
সে;
আর
ততটাই
ক্ষুদ্র
সে
পাখি।
চড়ুই,
টুনটুনি
বা
কাকটুনটুনির
চেয়েও
ছোট।
ছোটবেলায়
একবার
পাখির
ডিম
পারতে
গিয়ে
অসচেতনতায়
ভাঁটপাতায়
নকশিকাঁথার
সেলাইয়ের
মতো
বাঁধা
একটা
টুনটুনি
পাখির
বাসা
ভেঙে
ফেলে
দেবেশ,
সম্পূর্ণ
উড়তে
না
জানা
টুনটুনির
এক
ছোট্ট
বাচ্চা
সেই
বাসা
থেকে
ধপাস
পড়ে
যায়।
দেবেশ
বাচ্চা
টুনটুনিটিকে
ধরার
অভিপ্রায়ে
অগ্রসর
হলে,
বাচ্চা
টুনটুনিটা
সংক্ষিপ্ত
উড়াল
দেয়।
দেবেশ
আরেকটু
এগোয়,
বাচ্চা
টুনটুনি
আবারও
উড়াল
দেয়।
আবারও
দেবেশের
নীরব
পদক্ষেপ,
আবারও
উড়াল,
পাখিটির
পেছনে
পেছনে
সারা
দিন,
সূর্যেরও
পরিক্রমা
অন্তে;
দেবেশ
বুঝতে
পারে,
পাখিটির
পেছনে
ছুটতে
ছুটতে
সে
এক
গহিন
জঙ্গলের
ভেতরে
চলে
এসেছে।
এমন
ঘন-গহিন
জঙ্গল
তাদের
গ্রামে
বা
আশপাশে
দেখেনি
কোনো
দিন।
দিনালোক
অবসান
হতে
থাকলে
বালক
দেবেশ
বাড়িতে
ফেরার
জন্য
উদগ্রীব
হয়।
কিন্তু
কোন
পথে
ফিরবে,
সেই
পথ
আবিষ্কার
করতে
পারে
না।
সারা
দিন
পাখিটির
পেছনে
দৌড়ে
দৌড়ে
ক্লান্ত
এবং
দিনান্তে
বাড়িতে
ফেরার
পথ
নির্ণয়ে
অপারগতা

ভয়ে
আক্রান্ত
দেবেশ,
জঙ্গলের
একটা
সুউচ্চ
গাছের
গুড়িতে
হেলিয়ে
বসে।
তখনো
গোধূলির
শেষ
সূর্যরেখার
মোলায়েম
আভা
জঙ্গলের
ঘন
বৃক্ষলতার
ঝালর
কেটে
এসে
পড়ছে
দেবেশের
মুখে।
ক্লান্তিতে
তার
ঝিমুনি
আসে।
আচম্বিতে
অনুভূত
হয়,
তার
ডান
কাঁধের
ওপরে
একটা
ছোট্ট
পাখি
এসে
বসেছে।

তো
সেই
ছোট্ট
টুনটুনি,
সারা
দিন
যাকে
আয়ত্তে
আনার
জন্য
হয়রান
হয়েছে।
পাখিটি,
স্বেচ্ছায়
এসে
তারই
কাঁধের
ওপর
অবতরণ
করেছে।
ছোট্ট
পাখি,
অতিকায়
ক্ষুদ্রতর
বাচ্চা
পাখিটিকে
দুহাতে
ক্রোড়ে
আলতো
করে
জড়িয়ে
ধরে
এবং
অনাবিল
আদরে
পাখিটিকে
ভালোবাসতে
থাকে।
পাখিটির
শরীরে
আঙুল
বোলাতে
বোলাতে
সে
আবিষ্কার
করে,
পাখিটির
গায়ের
রং
বদলে
যাচ্ছে।
গোলাপি,
লাল,
হলুদ,
বেগুনি—নানা
বর্ণিলতায়
পাখিটির
বিচিত্র
মূর্তি
দেবেশকে
বিহ্বল
করে।
পাখিটি
ধীরে
ধীরে
ডানা
ঝাপটায়
আর
ডানা
ক্রমেই
বড়
হতে
থাকে,
বড়
হতে
হতে
বিরাটাকার।
তারপর
পাখিটি
তার
বিরাট
ডানা
দেবেশের
দিকে
প্রসারিত
করে,
দেবেশ
সেই
বিরাটাকার
ডানায়
চড়ে
বসে।
পাখিটি
সন্ধ্যার
অন্ধকারে
উড়াল
দিয়ে
সাত
সমুদ্র
তেরো
নদী
পাড়ি
দিয়ে
মুহূর্তেই
দেবেশকে
তাদের
বাড়ির
উঠোনে
পৌঁছে
দেয়।

প্ল্যাটফর্মের
নির্জনে
দেবেশ
তার
ঝিমুনির
মধ্যে
চিনতে
পারে,
পাখির
খাঁচা
হাতে
বালকটি
তারই
জ্বরাক্রান্ত
বড়
পুত্র
অরিজিৎ
আর
তার
হাতের
খাঁচার
মধ্যে
গোলাপি
রঙের
ছোট্ট
একটা
পাখি।
অরিজিৎ
বলে,
‘বাবা,
বাড়ি
যাবা
না?
তোমারে
নিতে
আইছি,
এই
পাখির
ডানায়
উঠে
বসো।
তোমারে
নিয়ে
বাড়ি
ফিরে
যাই।’

‘এতটুকু
পাখির
ডানায়
কীভাবে
চড়ব
রে,
মণি…?’

খুব
চড়া
যাবে,
একটা
ডানায়
তুমি,
অন্যটায়
আমি।
মা
আমাদের
একসাথে
দেখলে
খুব
খুশি
হবে।