ইদ্রিস
শেখ
যখন
হাজতখানার
ভেতরে
ঢুকতে
থাকেন,
তখন
তিনিও
আবেগতাড়িত
হয়ে
পড়েন।
ছেলেকে
দেখে
কাঁদতে
থাকেন।
নিজেই
তখন
বলছিলেন,
‘আমার
বয়স
এখন
১২০
বছর।
এই
বয়সেও
আমাকে
জেলে
যেতে
হচ্ছে।
আমি
ন্যায্য
বিচার
পাইলাম
না।’
ইদ্রিস
শেখ
হাজতখানার
ভেতরে
ঢুকে
যান।
তখন
হাজতখানার
সামনেই
অপেক্ষা
করতে
থাকেন
তাঁর
ছেলে
বাবুল
শেখ।
বাবুল
তখন
প্রথম
আলোকে
বলেন,
‘আমারই
বয়স
এখন
৭০
বছর।
আমরা
পাঁচ
ভাই–বোন
ছিলাম।
আমার
আরও
তিন
ভাই
মারা
গেছে।
আমার
বাবার
বয়সী
কোনো
লোক
এলাকায়
বেঁচে
নেই।
বহু
বছর
আগে
একটি
খুনের
মামলায়
আমার
বাবাকে
জড়ানো
হয়েছিল।
সেই
মামলার
ঘানি
টেনে
চলেছেন
উনি।’
ইদ্রিস
শেখ
যখন
হাজতখানার
ভেতরে,
তখন
হাজতখানার
বাইরে
পায়চারি
করতে
থাকেন
ছেলে
বাবুল
শেখ।
বৃদ্ধ
বাবাকে
কখন
কারাগারে
নিয়ে
যাওয়া
হবে,
তিনি
বাবার
সঙ্গে
কথা
বলবেন,
সেই
অপেক্ষার
পালা
শুরু
হয়
বাবুল
শেখের।
এ
সময়
বাবুল
শেখ
কাঁদতে
কাঁদতে
বলেন,
‘আমার
বাবা
তো
বাড়িতেই
ঠিকমতো
চলতে-ফিরতে
পারে
না।
কারাগারে
গিয়ে
আমার
বাবা
ক্যামনে
থাকবেন,
জানি
না।’