০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘ইয়াকিন’ কীভাবে অর্জন করা যায়

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 24

  • রবুবিয়্যাত:

    আল্লাহ
    সবকিছুর
    প্রতিপালক,
    পরিচালক

    রিজিকদাতা—এই
    জ্ঞানে
    হৃদয়
    স্থির
    হয়ে
    যায়।
    ফলে
    বান্দা
    তার
    রিজিক,
    হায়াত

    ভাগ্যের
    ব্যাপারে
    চিন্তামুক্ত
    থাকে
    এবং
    আল্লাহর
    ফয়সালায়
    সন্তুষ্ট
    থাকে।


  • উলুহিয়্যাত:

    আল্লাহই
    একমাত্র
    উপাস্য—এই
    জ্ঞানে
    হৃদয়
    আল্লাহ
    ছাড়া
    অন্য
    কারও
    দিকে
    ফিরে
    তাকায়
    না
    বা
    কারও
    সঙ্গে
    সম্পর্ক
    স্থাপন
    করে
    না।


  • আসমা
    ওয়া
    সিফাত:

    আল্লাহ
    পরাক্রমশালী,
    সর্বশক্তিমান

    সদা
    তত্ত্বাবধানকারী—এই
    জ্ঞানে
    বান্দা
    একমাত্র
    আল্লাহকেই
    ভয়
    করে
    এবং
    হারাম
    থেকে
    বিরত
    থাকে।


৩.
নফস

সৃষ্টি
সম্পর্কে
জ্ঞান

নিজের
দুর্বলতা,
অক্ষমতা
এবং
সৃষ্টির
অধীনতা
সম্পর্কে
জ্ঞান
রাখলে
বান্দা
কখনো
নিজের
ওপর
বা
সৃষ্টির
ওপর
ভরসা
করে
না।

শফিক
ইবনে
ইবরাহিম
বলখি
বলেন,
‘যে
ব্যক্তি
আল্লাহ
সম্পর্কে
নিজের
জ্ঞান
জানতে
চায়,
সে
যেন
দেখে,
আল্লাহ
তাকে
যা
ওয়াদা
করেছেন
আর
মানুষ
যা
ওয়াদা
করেছে,
কার
ওয়াদার
ওপর
তার
হৃদয়ের
ভরসা
বেশি।’
(আবু
নুয়ায়েম,

হিলয়াতুল
আউলিয়া
,
খণ্ড:
৮,
পৃষ্ঠা:
৬৪)


৪.
অভ্যন্তরীণ
জিহাদ

প্রবৃত্তি

সন্দেহের
মোকাবিলা:
ইয়াকিন
অর্জনের
জন্য
দুটি
স্তরে
শয়তানের
বিরুদ্ধে
ক্রমাগত
জিহাদ
বা
সংগ্রাম
করতে
হয়:


  • সন্দেহ

    ওয়াসওয়াসার
    জিহাদ:

    ইয়াকিনকে
    দুর্বল
    করে
    দেয়
    এমন
    সব
    সন্দেহ

    কুচিন্তা
    (শুবহাত)
    থেকে
    নিজেকে
    দূরে
    রাখা।
    সন্দেহ
    সৃষ্টিকারী
    বই
    পড়া
    বা
    তাদের
    সঙ্গে
    বিতর্কে
    জড়ানো
    থেকে
    বিরত
    থাকা
    অত্যন্ত
    গুরুত্বপূর্ণ।


  • মন্দ
    প্রবৃত্তি

    আকাঙ্ক্ষার
    জিহাদ:

    ইবনে
    তাইমিয়ার
    মতে,
    ধৈর্য
    (সবর)

    ইয়াকিনের
    মাধ্যমেই
    দ্বীনের
    ইমামত
    লাভ
    করা
    যায়।
    ধৈর্য
    সব
    অবৈধ
    প্রবৃত্তি

    আকাঙ্ক্ষা
    (শাহওয়াত)
    দমন
    করে,
    আর
    ইয়াকিন
    সব
    সন্দেহ

    অস্পষ্টতা
    (শুবহাত)
    দূর
    করে।
    (মাজমুউল
    ফাতাওয়া
    ,
    খণ্ড:
    ৩,
    পৃষ্ঠা:
    ৩৫৮)


৫.
সৎকর্মে
সুদৃঢ়
সংকল্প

নেক
আমল,
যেমন
তওবা,
দান
বা
সাওম—এগুলো
দৃঢ়সংকল্প
নিয়ে
করতে
হবে,
জাগতিক
লাভ-ক্ষতির
হিসাব
না
করে।
যে
ব্যক্তি
কেবল
লাভের
চিন্তা
করে
নেক
আমল
থেকে
বিরত
থাকে,
সে
ইয়াকিন
অর্জনে
ব্যর্থ
হয়।
মুমিনের
একমাত্র
লক্ষ্য
হবে
আল্লাহর
সন্তুষ্টি।


৬.
প্রবৃত্তি
থেকে
মুক্ত
হওয়া

প্রবৃত্তি

নফসের
আকাঙ্ক্ষায়
ডুবে
থাকলে
ইয়াকিন
অর্জন
করা
অসম্ভব।
ইবনুল
কাইয়্যিম
(রহ.)
বলেন,
‘তাকওয়ার
মূল
হলো
নিষিদ্ধ
বিষয়াদি
থেকে
দূরে
থাকা,
আর
এর
মানে
হলো
নফস
(প্রবৃত্তি)
থেকে
দূরে
থাকা।
প্রবৃত্তির
সঙ্গ
ছেড়ে
দিলে
ইয়াকিন
অর্জিত
হয়।’
(মাদারিজুস
সালিকিন
,
খণ্ড:
২,
পৃষ্ঠা:
৩৯৯)

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

খালেদা জিয়া ছিলেন দুঃখের পাষাণে গড়া শুভ্র চন্দনের মতো: আলাল

‘ইয়াকিন’ কীভাবে অর্জন করা যায়

আপডেট সময়ঃ ১২:০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

  • রবুবিয়্যাত:

    আল্লাহ
    সবকিছুর
    প্রতিপালক,
    পরিচালক

    রিজিকদাতা—এই
    জ্ঞানে
    হৃদয়
    স্থির
    হয়ে
    যায়।
    ফলে
    বান্দা
    তার
    রিজিক,
    হায়াত

    ভাগ্যের
    ব্যাপারে
    চিন্তামুক্ত
    থাকে
    এবং
    আল্লাহর
    ফয়সালায়
    সন্তুষ্ট
    থাকে।


  • উলুহিয়্যাত:

    আল্লাহই
    একমাত্র
    উপাস্য—এই
    জ্ঞানে
    হৃদয়
    আল্লাহ
    ছাড়া
    অন্য
    কারও
    দিকে
    ফিরে
    তাকায়
    না
    বা
    কারও
    সঙ্গে
    সম্পর্ক
    স্থাপন
    করে
    না।


  • আসমা
    ওয়া
    সিফাত:

    আল্লাহ
    পরাক্রমশালী,
    সর্বশক্তিমান

    সদা
    তত্ত্বাবধানকারী—এই
    জ্ঞানে
    বান্দা
    একমাত্র
    আল্লাহকেই
    ভয়
    করে
    এবং
    হারাম
    থেকে
    বিরত
    থাকে।


৩.
নফস

সৃষ্টি
সম্পর্কে
জ্ঞান

নিজের
দুর্বলতা,
অক্ষমতা
এবং
সৃষ্টির
অধীনতা
সম্পর্কে
জ্ঞান
রাখলে
বান্দা
কখনো
নিজের
ওপর
বা
সৃষ্টির
ওপর
ভরসা
করে
না।

শফিক
ইবনে
ইবরাহিম
বলখি
বলেন,
‘যে
ব্যক্তি
আল্লাহ
সম্পর্কে
নিজের
জ্ঞান
জানতে
চায়,
সে
যেন
দেখে,
আল্লাহ
তাকে
যা
ওয়াদা
করেছেন
আর
মানুষ
যা
ওয়াদা
করেছে,
কার
ওয়াদার
ওপর
তার
হৃদয়ের
ভরসা
বেশি।’
(আবু
নুয়ায়েম,

হিলয়াতুল
আউলিয়া
,
খণ্ড:
৮,
পৃষ্ঠা:
৬৪)


৪.
অভ্যন্তরীণ
জিহাদ

প্রবৃত্তি

সন্দেহের
মোকাবিলা:
ইয়াকিন
অর্জনের
জন্য
দুটি
স্তরে
শয়তানের
বিরুদ্ধে
ক্রমাগত
জিহাদ
বা
সংগ্রাম
করতে
হয়:


  • সন্দেহ

    ওয়াসওয়াসার
    জিহাদ:

    ইয়াকিনকে
    দুর্বল
    করে
    দেয়
    এমন
    সব
    সন্দেহ

    কুচিন্তা
    (শুবহাত)
    থেকে
    নিজেকে
    দূরে
    রাখা।
    সন্দেহ
    সৃষ্টিকারী
    বই
    পড়া
    বা
    তাদের
    সঙ্গে
    বিতর্কে
    জড়ানো
    থেকে
    বিরত
    থাকা
    অত্যন্ত
    গুরুত্বপূর্ণ।


  • মন্দ
    প্রবৃত্তি

    আকাঙ্ক্ষার
    জিহাদ:

    ইবনে
    তাইমিয়ার
    মতে,
    ধৈর্য
    (সবর)

    ইয়াকিনের
    মাধ্যমেই
    দ্বীনের
    ইমামত
    লাভ
    করা
    যায়।
    ধৈর্য
    সব
    অবৈধ
    প্রবৃত্তি

    আকাঙ্ক্ষা
    (শাহওয়াত)
    দমন
    করে,
    আর
    ইয়াকিন
    সব
    সন্দেহ

    অস্পষ্টতা
    (শুবহাত)
    দূর
    করে।
    (মাজমুউল
    ফাতাওয়া
    ,
    খণ্ড:
    ৩,
    পৃষ্ঠা:
    ৩৫৮)


৫.
সৎকর্মে
সুদৃঢ়
সংকল্প

নেক
আমল,
যেমন
তওবা,
দান
বা
সাওম—এগুলো
দৃঢ়সংকল্প
নিয়ে
করতে
হবে,
জাগতিক
লাভ-ক্ষতির
হিসাব
না
করে।
যে
ব্যক্তি
কেবল
লাভের
চিন্তা
করে
নেক
আমল
থেকে
বিরত
থাকে,
সে
ইয়াকিন
অর্জনে
ব্যর্থ
হয়।
মুমিনের
একমাত্র
লক্ষ্য
হবে
আল্লাহর
সন্তুষ্টি।


৬.
প্রবৃত্তি
থেকে
মুক্ত
হওয়া

প্রবৃত্তি

নফসের
আকাঙ্ক্ষায়
ডুবে
থাকলে
ইয়াকিন
অর্জন
করা
অসম্ভব।
ইবনুল
কাইয়্যিম
(রহ.)
বলেন,
‘তাকওয়ার
মূল
হলো
নিষিদ্ধ
বিষয়াদি
থেকে
দূরে
থাকা,
আর
এর
মানে
হলো
নফস
(প্রবৃত্তি)
থেকে
দূরে
থাকা।
প্রবৃত্তির
সঙ্গ
ছেড়ে
দিলে
ইয়াকিন
অর্জিত
হয়।’
(মাদারিজুস
সালিকিন
,
খণ্ড:
২,
পৃষ্ঠা:
৩৯৯)