জুলাইয়ের
অভ্যুত্থান
বাংলাদেশের
কোনো
মৌলিক
কাঠামোগত
রূপান্তরে
সক্ষম
হয়নি,
এ
কথা
অনেকেই
বলছেন।
এবারের
গণ–অভ্যুত্থানের
বহু
সংগঠকের
মধ্যে
এবং
গণ–অভ্যুত্থানের
পরিণামে
উপদেষ্টা
হওয়া
অধিকাংশের
মধ্যে
আমলাতন্ত্র
বিষয়ে
কোনো
উপলব্ধি,
এর
রূপান্তর
বা
সংস্কার
বিষয়ে
কোনো
পূর্বপ্রস্তুতি
অথবা
সাহসী
উদ্যোগেরও
হয়তো
ঘাটতি
ছিল।
কিন্তু
আকারবিহীন
জনসাধারণের
মতো
বিস্মৃতিপ্রবণ
নয়
আমলাতন্ত্র।
তাদের
রয়েছে
প্রাতিষ্ঠানিক
স্মৃতি;
তাই
দেখা
যাবে,
একদম
শুরুতেই
আমলাতন্ত্রের
ভেতরের
লোকদের
নিয়েই
গঠিত
হয়েছে
জনপ্রশাসন
সংস্কার
কমিশন।
বাংলাদেশের
ক্ষমতায়
যাঁরা
এলেন,
তাঁদের
কোনো
কোনো
ক্ষেত্রে
বশীভূত
করে
এবং
কোনো
কোনো
ক্ষেত্রে
বিকল
করে
দিয়ে
বাংলাদেশ
রাষ্ট্র
তার
আমলাতান্ত্রিক
চরিত্র
সম্পূর্ণ
বহাল
রাখতে
পেরেছে।
বরং
এই
অন্তর্বর্তী
সরকারের
আমলেই
প্রায়
চুপিসারে
তারা
স্থানীয়
সরকার
ও
শিক্ষাব্যবস্থার
ওপর
নিজেদের
কর্তৃত্ব
আরও
এক
ধাপ
বৃদ্ধি
করতে
সক্ষম
হয়েছে।
চব্বিশের
গণ–অভ্যুত্থান
আমলাতন্ত্রের
দেয়ালের
ঠিক
সামনে
এসে
ফেরত
গেছে।
কিন্তু
পুরোনো
বন্দোবস্ত
যে
শেষ
পর্যন্ত
টিকবে
না,
সেই
বার্তাও
শত
ব্যর্থতাও
সত্ত্বেও
এই
অভ্যুত্থানেই
পরিষ্কার।
কেননা,
বাইরের
খোলস
সরিয়ে
ভেতরে
তাকালেই
আমরা
দেখতে
পাব,
বাংলাদেশের
আমলাতান্ত্রিক
কাঠামোটি
আর
জনগোষ্ঠীর
আবেগ–অনুভূতি–প্রত্যাশাকে
ধারণ
করতে
পারছে
না।
ইতিহাসে
কখনো
কখনো
এ
রকম
ঘটে।
বুদ্ধিমান
শাসকেরা
তখন
আমলাতন্ত্রের
সংস্কার
করেন;
তার
অন্যথা
হলে
রাষ্ট্রের
মৌলিক
সংস্কারের
জন্য
তাই
হয়তো
জনতার
নতুন
নতুন
আন্দোলন–অভ্যুত্থানের
ঢেউয়ের
জন্ম
হতে
থাকে।
*মতামত
লেখকের
নিজস্ব
এডমিন 











