০১:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একসঙ্গে ঝুলছিল বাবা-ছেলে, পাশে পড়ে ছিল মা-মেয়ের নিথর দেহ

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:৫২:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
  • 111

রাজশাহীর পবা উপজেলায় এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বামুনশিকড় গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- মিনারুল ইসলাম (৩০), তার স্ত্রী সাধিনা বেগম (২৮), ছেলে মাহিম (১৩) এবং মেয়ে মিথিলা (১৮ মাস)। স্থানীয় খড়খড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল মাহিম।

ঘটনার বিষয়ে মতিহার থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কালাম পারভেজ জানান, ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি পারিবারিক আত্মহত্যা হতে পারে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মালেক জানান, মিনারুল ইসলাম পেশায় কৃষক ছিলেন এবং ঋণের ভারে ছিলেন ন্যুব্জ। তাদের পরিবারটি একটি মাটির ঘরে বসবাস করত। ঘটনার সময় মা ও শিশুকন্যার মরদেহ ঘরের উত্তর পাশে পড়ে ছিল, আর দক্ষিণ পাশে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল বাবা ও ছেলের মরদেহ।

পুলিশ জানিয়েছে, অর্থনৈতিক সংকট ও পারিবারিক চাপের কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরিবারের আর কোনো সদস্য বেঁচে নেই, ফলে ঘটনার পেছনের কারণ নির্ণয়ে প্রতিবেশীদের বক্তব্য, স্থানীয় তথ্য এবং ফরেনসিক রিপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

ট্যাগঃ

শত কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ ব্যক্তি আটক

একসঙ্গে ঝুলছিল বাবা-ছেলে, পাশে পড়ে ছিল মা-মেয়ের নিথর দেহ

আপডেট সময়ঃ ০৪:৫২:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫

রাজশাহীর পবা উপজেলায় এক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে। একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বামুনশিকড় গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- মিনারুল ইসলাম (৩০), তার স্ত্রী সাধিনা বেগম (২৮), ছেলে মাহিম (১৩) এবং মেয়ে মিথিলা (১৮ মাস)। স্থানীয় খড়খড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল মাহিম।

ঘটনার বিষয়ে মতিহার থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কালাম পারভেজ জানান, ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি পারিবারিক আত্মহত্যা হতে পারে। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মালেক জানান, মিনারুল ইসলাম পেশায় কৃষক ছিলেন এবং ঋণের ভারে ছিলেন ন্যুব্জ। তাদের পরিবারটি একটি মাটির ঘরে বসবাস করত। ঘটনার সময় মা ও শিশুকন্যার মরদেহ ঘরের উত্তর পাশে পড়ে ছিল, আর দক্ষিণ পাশে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল বাবা ও ছেলের মরদেহ।

পুলিশ জানিয়েছে, অর্থনৈতিক সংকট ও পারিবারিক চাপের কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরিবারের আর কোনো সদস্য বেঁচে নেই, ফলে ঘটনার পেছনের কারণ নির্ণয়ে প্রতিবেশীদের বক্তব্য, স্থানীয় তথ্য এবং ফরেনসিক রিপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।