০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজাগামী ফ্লোটিলার সর্বশেষ জাহাজটিও আটক করল ইসরায়েল

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১১:৪২:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫
  • 9

ফিলিস্তিনের গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র সর্বশেষ জাহাজটিও আটক করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে ‘দ্য ম্যারিনেট’ নামের পোল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজটি ফিলিস্তিন উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছালে সেটিতে হামলা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ নেয় ইসরায়েলি কমান্ডোরা। এতে থাকা ৬ জন নাবিকও ইসরায়েলের হেফাজতে রয়েছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

লাইভস্ট্রিম ভিডিওতে দেখা যায়, জাহাজে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ইসরায়েলি সেনারা। ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র এটিই ছিল শেষ সক্রিয় জাহাজ। এর আগে ইসরায়েল ৪৩টি জাহাজ আটক করে এবং তাতে থাকা অধিকাংশ অধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তার করে।

আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী আচরণ’ বলে আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ছিল গাজার জন্য সমুদ্রপথে চালানো এক আন্তর্জাতিক ত্রাণ পাঠানোর অভিযান। এ বহরে যুক্ত হয়েছিল বিশ্বের ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ জন প্রতিনিধি, যাদের মধ্যে ছিলেন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য, চিকিৎসক, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবীরা।

এই নৌবহরটি গত ৩১ আগস্ট যাত্রা শুরু করে স্পেনের বার্সেলোনা থেকে। পরবর্তী সময়ে তিউনিসিয়া, ইতালির সিসিলি ও গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকেও ত্রাণবাহী নৌযান এতে যুক্ত হয়। বর্তমানে বহরটিতে রয়েছে ৪০টির বেশি নৌযান।

ইসরায়েল শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, এই ফ্লোটিলার সঙ্গে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের যোগসূত্র রয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি তারা।

ট্যাগঃ

শত কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ ব্যক্তি আটক

গাজাগামী ফ্লোটিলার সর্বশেষ জাহাজটিও আটক করল ইসরায়েল

আপডেট সময়ঃ ১১:৪২:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

ফিলিস্তিনের গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র সর্বশেষ জাহাজটিও আটক করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে ‘দ্য ম্যারিনেট’ নামের পোল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজটি ফিলিস্তিন উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছালে সেটিতে হামলা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ নেয় ইসরায়েলি কমান্ডোরা। এতে থাকা ৬ জন নাবিকও ইসরায়েলের হেফাজতে রয়েছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

লাইভস্ট্রিম ভিডিওতে দেখা যায়, জাহাজে জোরপূর্বক প্রবেশ করে ইসরায়েলি সেনারা। ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র এটিই ছিল শেষ সক্রিয় জাহাজ। এর আগে ইসরায়েল ৪৩টি জাহাজ আটক করে এবং তাতে থাকা অধিকাংশ অধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তার করে।

আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী আচরণ’ বলে আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ছিল গাজার জন্য সমুদ্রপথে চালানো এক আন্তর্জাতিক ত্রাণ পাঠানোর অভিযান। এ বহরে যুক্ত হয়েছিল বিশ্বের ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ জন প্রতিনিধি, যাদের মধ্যে ছিলেন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য, চিকিৎসক, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও আইনজীবীরা।

এই নৌবহরটি গত ৩১ আগস্ট যাত্রা শুরু করে স্পেনের বার্সেলোনা থেকে। পরবর্তী সময়ে তিউনিসিয়া, ইতালির সিসিলি ও গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকেও ত্রাণবাহী নৌযান এতে যুক্ত হয়। বর্তমানে বহরটিতে রয়েছে ৪০টির বেশি নৌযান।

ইসরায়েল শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, এই ফ্লোটিলার সঙ্গে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের যোগসূত্র রয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি তারা।