০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৃদ্ধকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা আত্মসাৎ, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সেই নারী!

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:১৩:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
  • 40

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাহিনুর নামে ৩৫ বছর বয়সী এক নারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শনিবার (১৬ আগস্ট) বৃদ্ধ আবুল কাসেম মুন্সি ঠুটাখালী গ্রামে অনশনে বসেন, যা গ্রামজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

বৃদ্ধ কাসেম মুন্সির দাবি, দুই মাস আগে পরিচয়ের পর মাহিনুর তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা নেন। পরে ভুয়া ঠিকানা দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে পালিয়ে যান। শেষমেশ মাহিনুরের আসল ঠিকানা খুঁজে বের করে কাসেম একটি শর্ত দেন—টাকা ফেরত দিতে হবে, অথবা বিয়ে করতে হবে।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, মাহিনুর আগেও একাধিক ব্যক্তিকে এভাবে প্রতারণা করেছেন। গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, তিনি ৭-৮ বার বিয়ে করেছেন এবং প্রতিবারই প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ বা সুবিধা আদায় করেছেন। ঘটনার পর থেকে মাহিনুরের বাড়িতে তালা ঝুলছে, রান্নাঘর ও আশপাশ ফাঁকা পড়ে রয়েছে।

এলাকাবাসীর দাবি, মাহিনুরের প্রতারণার জন্য পুরো এলাকার মানসম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

মঠবাড়িয়ার ইউএনও আবদুল কাইয়ূম বলেন, “আমি বিষয়টি জেনেছি। স্থানীয় থানাকে বলেছি এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিতে।”

ট্যাগঃ

শত কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ ব্যক্তি আটক

বৃদ্ধকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা আত্মসাৎ, পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সেই নারী!

আপডেট সময়ঃ ০৬:১৩:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাহিনুর নামে ৩৫ বছর বয়সী এক নারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শনিবার (১৬ আগস্ট) বৃদ্ধ আবুল কাসেম মুন্সি ঠুটাখালী গ্রামে অনশনে বসেন, যা গ্রামজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

বৃদ্ধ কাসেম মুন্সির দাবি, দুই মাস আগে পরিচয়ের পর মাহিনুর তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা নেন। পরে ভুয়া ঠিকানা দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে পালিয়ে যান। শেষমেশ মাহিনুরের আসল ঠিকানা খুঁজে বের করে কাসেম একটি শর্ত দেন—টাকা ফেরত দিতে হবে, অথবা বিয়ে করতে হবে।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, মাহিনুর আগেও একাধিক ব্যক্তিকে এভাবে প্রতারণা করেছেন। গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, তিনি ৭-৮ বার বিয়ে করেছেন এবং প্রতিবারই প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ বা সুবিধা আদায় করেছেন। ঘটনার পর থেকে মাহিনুরের বাড়িতে তালা ঝুলছে, রান্নাঘর ও আশপাশ ফাঁকা পড়ে রয়েছে।

এলাকাবাসীর দাবি, মাহিনুরের প্রতারণার জন্য পুরো এলাকার মানসম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

মঠবাড়িয়ার ইউএনও আবদুল কাইয়ূম বলেন, “আমি বিষয়টি জেনেছি। স্থানীয় থানাকে বলেছি এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিতে।”