রাত্রি-গতকালের দেয়া এক অনলাইন ফাইল (অডিও-টেক্সট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে— ছাত্র‑জনতার আন্দোলনের সময় সরকারবিরোধী ঘটনাগুলোর দায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ওপর চাপানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফাঁস হওয়া ওই ফোনালাপে কথাবার্তার অংশবিশেষে দুই পরিচিত নেতার নাম উল্লেখ রয়েছে বলে ব্যবহারকারী এবং সোশ্যাল পোস্টগুলোতে বলা হচ্ছে।
ফাঁস হওয়া কথোপকথনে যে বিষয়গুলো বলা হয়েছে সেগুলো হলো (প্রকাশিত কপি অনুযায়ী, অনুবাদভিত্তিক সারমর্ম):
* জ্বালানি বিল সংক্রান্ত সংবাদ ও তথ্য পরিবেশনের রীতি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা।
* নির্দিষ্ট পলিটিক্যাল গ্রুপকে (বিবেচ্য হিসেবে) গোষ্ঠীভিত্তিক অভিযোগ চাপানো এবং ঘটনাগুলো সংবাদের আঙ্গিকে উপস্থাপন করার পরামর্শ।
* বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে চলা সংবাদ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিক্রিয়া তদারকি করার কথা।
এ ধরনের দাবি বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হলেও এগুলো এখনো স্বাধীনভাবে যাচাই করা হয়নি। যে অডিও/টেক্সটটি অনলাইনে ছড়িয়েছে, তার উৎস অজানা বা অনিশ্চিত; কিছ এযধঃধহায় যেসব উৎস দাবি করেছে তাদের মধ্যে পার্থক্যও বিদ্যমান।
* এখন পর্যন্ত ভাষানির্ধারিত কোনো সরকারি বিবৃতিতে এই ফোনালাপের সত্যতা স্বীকার বা খণ্ডন করা হয়নি (আপডেট পাওয়া গেলে রিপোর্টে যুক্ত করা হবে)।
* উল্লিখিত ব্যক্তিদের প্রতিনিধিরা, যদি অনুরোধ করেন, আমরা তাদের মন্তব্য গ্রহণ করে এখানে আপডেট করব।
এমন সংবেদনশীল বিষয় সংবাদ হিসেবে প্রকাশের আগে কঠোর যাচাই আবশ্যক। ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ সাংবাদিকভাবে তুলে ধরলে তা মানহানি/দুর্নাম‑সংক্রান্ত আইনি ঝুঁকি তৈরি করতে পারে যদি তা ভিত্তিহীন প্রমাণের ওপর দাঁড় করানো হয়। ফলে বর্তমানে এই প্রতিবেদনটিতে আমি কেবল অনলাইনভাবে ছড়ানো ফাঁস হওয়া ফোনালাপ‑এর কথা তুলে ধরলাম এবং পাঠককে অনুরোধ করব—রয়্যাল/ওপেন সোর্স কিংবা অফিসিয়াল সূত্রে তথ্য যাচাই করে নিন।
এডমিন 












