০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাদা পাথর লুপাট ঠেকাতে ব্যর্থ, কোম্পানীগঞ্জের ইউএনওকে বদলি

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৫:৪৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫
  • 103

ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর লুটপাট ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারকে বদলি করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আজিজুন্নাহারকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। তার জায়গায় ফেঞ্চুগঞ্জের বর্তমান ইউএনও মো. শফিকুল ইসলামকে কোম্পানীগঞ্জে পদায়ন করা হয়েছে।

আজিজুন্নাহার চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি কোম্পানীগঞ্জে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব নেন। এরপর থেকেই ভোলাগঞ্জের পাথর কোয়ারিতে ব্যাপক লুটপাট শুরু হয় বলে অভিযোগ উঠে।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সমালোচনার মুখে গত ১২ আগস্ট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তবে সেখানে ইউএনও আজিজুন্নাহারকেও সদস্য রাখা হয়, যা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দেয়। অভিযোগ ছিল, লুটপাট ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া সত্ত্বেও তাঁকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।

এর আগে একই ঘটনায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদকে ওএসডি করা হয়। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সারওয়ার আলম, যিনি একসময় র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, নতুন আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এক মাস পর অর্থাৎ ১২ সেপ্টেম্বর শের মাহবুব মুরাদকে সিলেটের ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

শত কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ ব্যক্তি আটক

সাদা পাথর লুপাট ঠেকাতে ব্যর্থ, কোম্পানীগঞ্জের ইউএনওকে বদলি

আপডেট সময়ঃ ০৫:৪৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫

ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর লুটপাট ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন্নাহারকে বদলি করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আজিজুন্নাহারকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। তার জায়গায় ফেঞ্চুগঞ্জের বর্তমান ইউএনও মো. শফিকুল ইসলামকে কোম্পানীগঞ্জে পদায়ন করা হয়েছে।

আজিজুন্নাহার চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি কোম্পানীগঞ্জে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব নেন। এরপর থেকেই ভোলাগঞ্জের পাথর কোয়ারিতে ব্যাপক লুটপাট শুরু হয় বলে অভিযোগ উঠে।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সমালোচনার মুখে গত ১২ আগস্ট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তবে সেখানে ইউএনও আজিজুন্নাহারকেও সদস্য রাখা হয়, যা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দেয়। অভিযোগ ছিল, লুটপাট ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া সত্ত্বেও তাঁকে কমিটিতে রাখা হয়েছে।

এর আগে একই ঘটনায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদকে ওএসডি করা হয়। তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সারওয়ার আলম, যিনি একসময় র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, নতুন আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এক মাস পর অর্থাৎ ১২ সেপ্টেম্বর শের মাহবুব মুরাদকে সিলেটের ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।