০১:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিগারেট খেতে নিষেধ করায় মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারে ভাঙচুর

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:৩৯:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 19

রাজধানীর মালিবাগে সিগারেট খাওয়া নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারে ভয়াবহ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় পরিবহনের মালিক আলী হাসান তালুকদার পলাশসহ অন্তত ১৪-১৫ জন আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারের সামনে দুই যুবক সিগারেট খাচ্ছিলেন। পরিবহনের কর্মীরা তাদের ধূমপানের জন্য দূরে যেতে অনুরোধ করলে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। কিছু সময় পর ওই দুইজন ফিরে আসে ৬০-৭০ জনের একটি দল নিয়ে, এবং স্লোগান দিতে দিতে কাউন্টারে হামলা চালায়।

হামলাকারীরা শুধু কাউন্টারেই নয়, মালিক আলী হাসান তালুকদারের মালিবাগের বাসাতেও হামলা করে। হামলা ঠেকাতে গিয়ে তার ড্রাইভার মাসুদ দেশীয় অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি ঢামেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

সোহাগ পরিবহন ও মালিকপক্ষের দাবি, হামলার নেতৃত্ব দেন রমনা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি বিল্লাল। মালিকের ভাই মাজেদুল হক নাদিম অভিযোগ করে বলেন, “বিল্লালের নেতৃত্বেই পরিকল্পিতভাবে হামলা হয়। শুধু বাস কাউন্টার নয়, বাসার গেটও ভেঙে ফেলা হয়েছে।”

ঘটনার পর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে রমনা মডেল থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এসআই মো. নাহিদ জানান, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ৬০-৭০ জন ব্যক্তি এলোপাতাড়ি মারধর ও ভাঙচুরে অংশ নেয়। দুজন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।”

ট্যাগঃ

সিগারেট খেতে নিষেধ করায় মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারে ভাঙচুর

আপডেট সময়ঃ ০৬:৩৯:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজধানীর মালিবাগে সিগারেট খাওয়া নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারে ভয়াবহ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় পরিবহনের মালিক আলী হাসান তালুকদার পলাশসহ অন্তত ১৪-১৫ জন আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারের সামনে দুই যুবক সিগারেট খাচ্ছিলেন। পরিবহনের কর্মীরা তাদের ধূমপানের জন্য দূরে যেতে অনুরোধ করলে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। কিছু সময় পর ওই দুইজন ফিরে আসে ৬০-৭০ জনের একটি দল নিয়ে, এবং স্লোগান দিতে দিতে কাউন্টারে হামলা চালায়।

হামলাকারীরা শুধু কাউন্টারেই নয়, মালিক আলী হাসান তালুকদারের মালিবাগের বাসাতেও হামলা করে। হামলা ঠেকাতে গিয়ে তার ড্রাইভার মাসুদ দেশীয় অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হন। বর্তমানে তিনি ঢামেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

সোহাগ পরিবহন ও মালিকপক্ষের দাবি, হামলার নেতৃত্ব দেন রমনা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি বিল্লাল। মালিকের ভাই মাজেদুল হক নাদিম অভিযোগ করে বলেন, “বিল্লালের নেতৃত্বেই পরিকল্পিতভাবে হামলা হয়। শুধু বাস কাউন্টার নয়, বাসার গেটও ভেঙে ফেলা হয়েছে।”

ঘটনার পর ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে রমনা মডেল থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এসআই মো. নাহিদ জানান, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ৬০-৭০ জন ব্যক্তি এলোপাতাড়ি মারধর ও ভাঙচুরে অংশ নেয়। দুজন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।”