০৯:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাত-পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়েই সম্পন্ন হলো বিয়ে

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০১:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 20

ভালোবাসা ও পারিবারিক সিদ্ধান্তের কাছে হার মানল দুর্ঘটনা। হাত-পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়েই হাসপাতালের বেডে শুয়ে বিয়ে করলেন মানিকগঞ্জের আনন্দ সাহা। এই ব্যতিক্রমধর্মী বিয়ের আয়োজন হয় মানিকগঞ্জ শহরের আফরোজা বেগম জেনারেল হাসপাতালে, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে।

দুই সপ্তাহ আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন আনন্দ সাহা। তার হাত ও পায়ে ব্যান্ডেজ, চলাফেরা কঠিন—তবুও পেছানো হয়নি নির্ধারিত বিয়ের তারিখ। পঞ্জিকা অনুযায়ী শুভ লগ্ন পরিবর্তন না করেই বর ও কনের পরিবার হাসপাতালেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

আনন্দ সাহা মানিকগঞ্জ শহরের বাজার রোড এলাকার বাসিন্দা এবং কনে অমৃতা সরকার ঘিওরের বানিয়াজুরি গ্রামের। দুই পরিবারের সম্মতিতে ও চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই উদ্যোগে সহায়তা করে।

আনন্দ সাহা বলেন, “আহতের পর এখন অনেকটাই সুস্থ। ধর্মীয় রীতি মেনেই বিয়ে হয়েছে—সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।”

কনে অমৃতা বলেন, “আমি খুব খুশি। আমাদের বিয়ে সুন্দরভাবে হয়েছে। স্বামীর জন্য সবার দোয়া চাই।”

হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটের প্রধান ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে এবং কনসালট্যান্টদের পরামর্শে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

ভারতে সংখ্যালঘু হত্যাকাণ্ডে উদ্বেগ জানালো বাংলাদেশ

হাত-পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়েই সম্পন্ন হলো বিয়ে

আপডেট সময়ঃ ০১:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভালোবাসা ও পারিবারিক সিদ্ধান্তের কাছে হার মানল দুর্ঘটনা। হাত-পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়েই হাসপাতালের বেডে শুয়ে বিয়ে করলেন মানিকগঞ্জের আনন্দ সাহা। এই ব্যতিক্রমধর্মী বিয়ের আয়োজন হয় মানিকগঞ্জ শহরের আফরোজা বেগম জেনারেল হাসপাতালে, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে।

দুই সপ্তাহ আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন আনন্দ সাহা। তার হাত ও পায়ে ব্যান্ডেজ, চলাফেরা কঠিন—তবুও পেছানো হয়নি নির্ধারিত বিয়ের তারিখ। পঞ্জিকা অনুযায়ী শুভ লগ্ন পরিবর্তন না করেই বর ও কনের পরিবার হাসপাতালেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

আনন্দ সাহা মানিকগঞ্জ শহরের বাজার রোড এলাকার বাসিন্দা এবং কনে অমৃতা সরকার ঘিওরের বানিয়াজুরি গ্রামের। দুই পরিবারের সম্মতিতে ও চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই উদ্যোগে সহায়তা করে।

আনন্দ সাহা বলেন, “আহতের পর এখন অনেকটাই সুস্থ। ধর্মীয় রীতি মেনেই বিয়ে হয়েছে—সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।”

কনে অমৃতা বলেন, “আমি খুব খুশি। আমাদের বিয়ে সুন্দরভাবে হয়েছে। স্বামীর জন্য সবার দোয়া চাই।”

হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটের প্রধান ডা. সিরাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়েছে এবং কনসালট্যান্টদের পরামর্শে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।