১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীদের এক দফা দাবিতে উত্তল ঢাকা

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৫:৩৯:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
  • 13

বাংলাদেশ দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি দৈনিক ভিত্তিক সাময়িক শ্রমিক নীতিমালা ২০২৫ বাতিল করে সরকারি দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়িত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে মজুরি ভিত্তিতে কর্মরতদের বয়স শিথিল করে শ্ব শ্ব প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীকরণের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) তারিখ সকাল ৯:০০টা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মচারীদের দুঃখ দুর্দশা ও বঞ্চনা এবং বৈষম্য তুলে ধরে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ ও দাবি পেশ করা হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির আহ্বায়ক মোঃ বোরহান উদ্দিন এবং সদস্য-সচিব মোঃ মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বে সকল স্তরের কর্মচারীদের নিয়ে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এবং এক দফা দাবি পেশ করেন।

আহ্বায়ক মোঃ বোরহান উদ্দিন দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মচারীদের যে সকল দুঃখ দুর্দশা ও বঞ্চনা এবং বৈষম্য তুলে ধরেন সেগুলো হলো – মাসিক বেতন প্রদান ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার নির্ধারণ এবং বাৎসরিক ৫% হারে বেতন বৃদ্ধিকরা।

উৎসব বোনাস, বৈশাখী ভাতা, ঝুঁকি ভাতা, অধিকাল ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও শিক্ষা ভাতা চালু করা।

নারী সহকর্মীর জন্য মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে ৯০ (নব্বই) দিন মাতৃত্বকালীন ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি এবং বাৎসরিক ২০ (বিশ) দিন নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান করা।

চাকরির নিশ্চয়তা, বিনা কারণে চাকরিচ্যুত করা, তদন্ত কমিটি গঠন ছাড়াই চাকরিচ্যুত করা।

যেসব কর্মচারী টানা ৩ (তিন) বছর বা তার বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁদের যোগ্যতা

ও কর্মদক্ষতা যাচাইপূর্বক পর্যায়ক্রমে স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা করা।

দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারীর জন্য প্রতি অর্থ বছরে দুই সেট ইউনিফর্ম প্রদান করা যেতে পারে এবং

ইউনিফর্মের ব্যয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানির নির্ধারিত খাত হতে পরিশোধ করা।

দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়নসহ আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

চাকুরির নিয়োগপত্র প্রদান ও কর্মঘন্টা নির্ধারণ এবং অনেক প্রতিষ্ঠানে পদবী নির্ধারণ করা।

সবশেষে বাংলাদেশ দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারী

কল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য-সচিব মোঃ মিজানুর রহমান বাদল বলেন, বৈষম্য চাইনা, চাই মর্যাদাপূর্ণ জীবন ধারণের অধিকার, চাই শ্রমিকের চাকরির নিশ্চয়তা, চাই সুখী সমৃদ্ধশালী বৈষম্য মুক্ত দাসত্ব মুক্ত আধুনিক বাংলাদেশ। আমরা অবহেলিত দৈনিক মুজুরী ভিত্তিক কর্মচারীদের পক্ষে আছি। বর্তমান সরকারকে অনুরোধ করব আমাদের দুঃখ দুর্দশা দেখে আমাদের দাবি গুলো মেনে নিন এবং যোগ্যতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে আমাদেরকে স্থায়ীকরণ করুন।

সালাউদ্দিন/সাএ

ট্যাগঃ

সজলকে ধরে রাখে রনি, পরে গুলির শব্দ পাই

দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীদের এক দফা দাবিতে উত্তল ঢাকা

আপডেট সময়ঃ ০৫:৩৯:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশ দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি দৈনিক ভিত্তিক সাময়িক শ্রমিক নীতিমালা ২০২৫ বাতিল করে সরকারি দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়িত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে মজুরি ভিত্তিতে কর্মরতদের বয়স শিথিল করে শ্ব শ্ব প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীকরণের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) তারিখ সকাল ৯:০০টা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মচারীদের দুঃখ দুর্দশা ও বঞ্চনা এবং বৈষম্য তুলে ধরে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ ও দাবি পেশ করা হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির আহ্বায়ক মোঃ বোরহান উদ্দিন এবং সদস্য-সচিব মোঃ মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বে সকল স্তরের কর্মচারীদের নিয়ে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করেন এবং এক দফা দাবি পেশ করেন।

আহ্বায়ক মোঃ বোরহান উদ্দিন দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মচারীদের যে সকল দুঃখ দুর্দশা ও বঞ্চনা এবং বৈষম্য তুলে ধরেন সেগুলো হলো – মাসিক বেতন প্রদান ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ন্যূনতম মজুরি ৩০ হাজার নির্ধারণ এবং বাৎসরিক ৫% হারে বেতন বৃদ্ধিকরা।

উৎসব বোনাস, বৈশাখী ভাতা, ঝুঁকি ভাতা, অধিকাল ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও শিক্ষা ভাতা চালু করা।

নারী সহকর্মীর জন্য মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে ৯০ (নব্বই) দিন মাতৃত্বকালীন ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি এবং বাৎসরিক ২০ (বিশ) দিন নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান করা।

চাকরির নিশ্চয়তা, বিনা কারণে চাকরিচ্যুত করা, তদন্ত কমিটি গঠন ছাড়াই চাকরিচ্যুত করা।

যেসব কর্মচারী টানা ৩ (তিন) বছর বা তার বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁদের যোগ্যতা

ও কর্মদক্ষতা যাচাইপূর্বক পর্যায়ক্রমে স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা করা।

দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারীর জন্য প্রতি অর্থ বছরে দুই সেট ইউনিফর্ম প্রদান করা যেতে পারে এবং

ইউনিফর্মের ব্যয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানির নির্ধারিত খাত হতে পরিশোধ করা।

দৈনিক ভিত্তিক কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়নসহ আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

চাকুরির নিয়োগপত্র প্রদান ও কর্মঘন্টা নির্ধারণ এবং অনেক প্রতিষ্ঠানে পদবী নির্ধারণ করা।

সবশেষে বাংলাদেশ দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারী

কল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য-সচিব মোঃ মিজানুর রহমান বাদল বলেন, বৈষম্য চাইনা, চাই মর্যাদাপূর্ণ জীবন ধারণের অধিকার, চাই শ্রমিকের চাকরির নিশ্চয়তা, চাই সুখী সমৃদ্ধশালী বৈষম্য মুক্ত দাসত্ব মুক্ত আধুনিক বাংলাদেশ। আমরা অবহেলিত দৈনিক মুজুরী ভিত্তিক কর্মচারীদের পক্ষে আছি। বর্তমান সরকারকে অনুরোধ করব আমাদের দুঃখ দুর্দশা দেখে আমাদের দাবি গুলো মেনে নিন এবং যোগ্যতা ও মর্যাদার ভিত্তিতে আমাদেরকে স্থায়ীকরণ করুন।

সালাউদ্দিন/সাএ