১০:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনতার প্রতিবাদের মুখে আটক ছাত্রলীগ নেতাকে ছেড়ে দিল পুলিশ

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১১:৫৯:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • 5

নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নে ফুটবল খেলা চলাকালে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করা নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে উত্তেজিত জনতার তীব্র প্রতিবাদের মুখে শেষ পর্যন্ত আটককৃত যুবককে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।

শনিবার (৮ই নভেম্বর) বিকেলে বিলমাড়িয়া ফুটবল মাঠে খেলা চলার সময় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন বিকেলে বিলমাড়িয়া মাঠে একটি ফুটবল ম্যাচের হাফটাইম চলছিল। এসময় সাদা পোশাকে থাকা পুলিশের কয়েকজন সদস্য হঠাৎ সাহিদ (২১) নামের এক যুবককে আটক করে। সাহিদ লালপুর উপজেলার মাধবপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয়ভাবে ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে পরিচিত।

পুলিশ সদস্যরা সাহিদকে আটক করে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে ফেলার পরপরই আশপাশের দর্শকরা এবং স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা তাৎক্ষণিক এই আটকের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে শত শত মানুষ পুলিশকে ঘিরে ফেললে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জনতার তীব্র চাপের মুখে পুলিশ সদস্যরা হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থাতেই সাহিদকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।

তবে, স্থানীয়রা অভিযোগ করেন যে, ঘটনার সময় পুলিশ সদস্যরা সাহিদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে গেছেন।

এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রসঙ্গে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ মূলত একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে ধরতে গিয়েছিল। কিন্তু ভুলবশত সাহিদকে আটক করা হয়েছিল। তবে আটককৃত যুবকের মোবাইল ফোন নিয়ে আসার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, এই বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই।

কুশল/সাএ

ট্যাগঃ

ফরিদপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাল্টাপাল্টি মামলা

জনতার প্রতিবাদের মুখে আটক ছাত্রলীগ নেতাকে ছেড়ে দিল পুলিশ

আপডেট সময়ঃ ১১:৫৯:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নে ফুটবল খেলা চলাকালে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করা নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে উত্তেজিত জনতার তীব্র প্রতিবাদের মুখে শেষ পর্যন্ত আটককৃত যুবককে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।

শনিবার (৮ই নভেম্বর) বিকেলে বিলমাড়িয়া ফুটবল মাঠে খেলা চলার সময় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন বিকেলে বিলমাড়িয়া মাঠে একটি ফুটবল ম্যাচের হাফটাইম চলছিল। এসময় সাদা পোশাকে থাকা পুলিশের কয়েকজন সদস্য হঠাৎ সাহিদ (২১) নামের এক যুবককে আটক করে। সাহিদ লালপুর উপজেলার মাধবপুর গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয়ভাবে ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে পরিচিত।

পুলিশ সদস্যরা সাহিদকে আটক করে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে ফেলার পরপরই আশপাশের দর্শকরা এবং স্থানীয় জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা তাৎক্ষণিক এই আটকের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। একপর্যায়ে শত শত মানুষ পুলিশকে ঘিরে ফেললে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জনতার তীব্র চাপের মুখে পুলিশ সদস্যরা হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থাতেই সাহিদকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।

তবে, স্থানীয়রা অভিযোগ করেন যে, ঘটনার সময় পুলিশ সদস্যরা সাহিদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে গেছেন।

এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রসঙ্গে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ মূলত একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে ধরতে গিয়েছিল। কিন্তু ভুলবশত সাহিদকে আটক করা হয়েছিল। তবে আটককৃত যুবকের মোবাইল ফোন নিয়ে আসার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, এই বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই।

কুশল/সাএ