১০:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় অবৈধ ইটভাটায় বড় ধরনের অভিযান, ১৩ ভাটা উচ্ছেদ

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৫:৫২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
  • 15

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদন ছাড়াই পরিচালিত ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার চরসাধিপুর ইউনিয়নে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ১৩টি অবৈধ ইটভাটা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসিফুর রহমান। অভিযান চলাকালে প্রতিটি ভাটার কাঁচা ইট, পোড়া ইট ও ব্যবহৃত সরঞ্জাম বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়— যাতে ভবিষ্যতে এগুলো পুনরায় চালু করার সুযোগ না থাকে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ড্রাম চিমনি ব্যবহার ২০০৬ সাল থেকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু আইন অমান্য করে এলাকার বেশ কিছু ভাটা মালিক এখনো এই ক্ষতিকর প্রযুক্তি ব্যবহার করছিলেন। বিষয়টি নজরে আসার পর আজকের অভিযানে একে একে সবগুলো অবৈধ ভাটা উচ্ছেদ করা হয়। বাকি ভাটাগুলোকেও পর্যায়ক্রমে আইনগত ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ছাড়াও পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা অংশ নেন।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. এমদাদুল হক বলেন, “ড্রাম চিমনি ব্যবহারকারী ভাটাগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। ধাপে ধাপে জেলার সব অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধেই অভিযান পরিচালিত হবে।

সাজু/নিএ

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

কুষ্টিয়ায় অবৈধ ইটভাটায় বড় ধরনের অভিযান, ১৩ ভাটা উচ্ছেদ

আপডেট সময়ঃ ০৫:৫২:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদন ছাড়াই পরিচালিত ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার চরসাধিপুর ইউনিয়নে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ১৩টি অবৈধ ইটভাটা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসিফুর রহমান। অভিযান চলাকালে প্রতিটি ভাটার কাঁচা ইট, পোড়া ইট ও ব্যবহৃত সরঞ্জাম বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয়— যাতে ভবিষ্যতে এগুলো পুনরায় চালু করার সুযোগ না থাকে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, ড্রাম চিমনি ব্যবহার ২০০৬ সাল থেকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু আইন অমান্য করে এলাকার বেশ কিছু ভাটা মালিক এখনো এই ক্ষতিকর প্রযুক্তি ব্যবহার করছিলেন। বিষয়টি নজরে আসার পর আজকের অভিযানে একে একে সবগুলো অবৈধ ভাটা উচ্ছেদ করা হয়। বাকি ভাটাগুলোকেও পর্যায়ক্রমে আইনগত ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ছাড়াও পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা অংশ নেন।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. এমদাদুল হক বলেন, “ড্রাম চিমনি ব্যবহারকারী ভাটাগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। ধাপে ধাপে জেলার সব অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধেই অভিযান পরিচালিত হবে।

সাজু/নিএ