বাংলাদেশ কৃষিজীবী শ্রমিক ইউনিয়ন সদর উপজেলা শাখার উদ্যোগে শেরপুরে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) জমসেদ আলী মেমোরিয়াল কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন শেরপুর-১ (সদর) আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ মো. রাশেদুল ইসলাম।
শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি ডা. আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন জামায়াতের জেলা আমীর মাওলানা হাফিজুর রহমান, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ডা. মো. আনোয়ার হোসাইন, জামায়াত নেতা মাওলানা নূরে আলম সিদ্দিকী, মাওলানা নুরুল আমীন, মাওলানা আব্দুস সোবহান, প্রভাষক জাহিদ আনোয়ার, শহিদুর রহমান জর্জ, মো. নজরুল ইসলাম, মো. রেজাউল করিম, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. রেদওয়ান ইসলাম, মো. সাইফুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, ইদ্রিস আলী, মো. শাহজাহান সরকার, মো. আব্দুল মালেক, মো. মোশারফ হোসেন, মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হাফেজ মো. রাশেদুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যদানকালে বলেন, বিগত সরকারের নতজানু পররাস্ট্র নীতির কারণে আমাদের কৃষি শিল্প আজ অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক সততার অভাব ও দুর্নীতির কারণে বাংলাদেশে কৃষিতে আমদানী নির্ভরতা বেড়েছে। অথচ বাংলাদেশে কৃষি পণ্য উৎপাদন ও বিপননে সঠিক ব্যবস্থাপনা থাকলে আমদানী নির্ভরতা অনেকাংশে কমে যাবে। এতে কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পেতে আর কোনো অন্তরায় থাকবে না।
তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশের সোনালী আঁশ বলে পরিচিত পাট শিল্পের ধ্বংস শুধুমাত্র ভারতীয় আগ্রাসী মনোভাবের কারণেই হয়েছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমাদের নদীগুলো কেন মরে গেলো, এর পিছনেও কি ভারতের আগ্রাসী মনোভাবই দায়ী নয়? আমাদের কৃষি ও কৃষককে বাঁচিয়ে রাখতে পরিকল্পিত নদী খনন, শাসন এবং টেকসই বাঁধ সংস্কারের মাধ্যমে পানির রিজার্ভার বাড়াতে হবে ও সেই পানি কৃষি কাজে ব্যবহার করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমার স্বপ্ন, আমি নির্বাচিত হই বা না হই কৃষকের পাশে থাকতে সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে শেরপুর সদরে কৃষি ক্লিনিক, পর্যাপ্ত হিমাগার ও কৃষি হাব স্থাপনে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
কুশল/সাএ
এডমিন 














