০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজা শহর দখলের অনুমোদন দিতে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৪:৩৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫
  • 19

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তিনি গাজা শহর দখলের পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি এবং প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান নিশ্চিত করতে হামাসের সঙ্গে আলোচনা পুনরায় শুরুরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) গাজার কাছে সেনাদের সঙ্গে কথা বলার সময় নেতানিয়াহু বলেন, তিনি এখনো গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনায় অটল আছেন। এ পরিকল্পনায় প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়া এবং ঘরবাড়ি ধ্বংসের অভিযান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তিনি বলেন, “আমরা এখন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছি। একই সঙ্গে সব জিম্মিকে মুক্তি এবং যুদ্ধের অবসানের জন্য ইসরায়েলের গ্রহণযোগ্য শর্তে অবিলম্বে আলোচনা শুরুর নির্দেশ দিয়েছি।”

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার বিকেলে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে নেতানিয়াহু চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে কয়েক দিনের মধ্যেই গাজা সিটিতে বড় আকারের অভিযান শুরু হতে পারে। ইতোমধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনী শহরে আক্রমণ জোরদার করেছে এবং গত ১০ দিনে ট্যাঙ্ক মোতায়েনের কারণে হাজারো ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।

এদিকে হামাস জানিয়েছে, তারা কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। ইসরায়েল যদি তা মেনে নেয়, তবে সম্ভাব্য রক্তক্ষয়ী অভিযান এড়ানো সম্ভব হবে।

অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনা ডাকতে এবং অতিরিক্ত ২০ হাজার সেনার মেয়াদ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।

ট্যাগঃ

সজলকে ধরে রাখে রনি, পরে গুলির শব্দ পাই

গাজা শহর দখলের অনুমোদন দিতে যাচ্ছেন নেতানিয়াহু

আপডেট সময়ঃ ০৪:৩৪:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তিনি গাজা শহর দখলের পরিকল্পনার চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি এবং প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধের অবসান নিশ্চিত করতে হামাসের সঙ্গে আলোচনা পুনরায় শুরুরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) গাজার কাছে সেনাদের সঙ্গে কথা বলার সময় নেতানিয়াহু বলেন, তিনি এখনো গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনায় অটল আছেন। এ পরিকল্পনায় প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়া এবং ঘরবাড়ি ধ্বংসের অভিযান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তিনি বলেন, “আমরা এখন সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছি। একই সঙ্গে সব জিম্মিকে মুক্তি এবং যুদ্ধের অবসানের জন্য ইসরায়েলের গ্রহণযোগ্য শর্তে অবিলম্বে আলোচনা শুরুর নির্দেশ দিয়েছি।”

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার বিকেলে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে নেতানিয়াহু চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে কয়েক দিনের মধ্যেই গাজা সিটিতে বড় আকারের অভিযান শুরু হতে পারে। ইতোমধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনী শহরে আক্রমণ জোরদার করেছে এবং গত ১০ দিনে ট্যাঙ্ক মোতায়েনের কারণে হাজারো ফিলিস্তিনি ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।

এদিকে হামাস জানিয়েছে, তারা কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। ইসরায়েল যদি তা মেনে নেয়, তবে সম্ভাব্য রক্তক্ষয়ী অভিযান এড়ানো সম্ভব হবে।

অন্যদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনা ডাকতে এবং অতিরিক্ত ২০ হাজার সেনার মেয়াদ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।